মুদ্রণশিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ কর কমানোর দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটেড-গ্রাফিক পেপার, কার্ড র্বোড (আনিকোটেড)), ডুপ্লেক্স র্বোড, আর্টকার্ড, ফোল্ডিং বক্স র্বোড ও সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার আমদানিতে শতকরা হারে পাঁচ শতাংশ শুল্ক (কর) কমানোর দাবি জানিয়েছেন মুদ্রণ শিল্পের ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২২ জুন) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কনফারেন্স কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনীয়াবাত লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশেন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতি, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে।

লিখিত বক্ত্যেবে বলা হয়, বর্তমানে মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল পণ্যে আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, মূসক, এটিডি ও এআইটি মিলে শতকরা ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ কর ধার্য রয়েছে। এ খাতের পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় এসব পণ্য বৈধপথে আমদানি হচ্ছে না, আসছে অবৈধ পথে।

বন্ডেড সুবিধার অপব্যহার করে কাঁচামাল আমদানি করে খোলাবাজারে বিক্রি করছে। আর তাতে সরকার প্রতিবছর দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আর দেশীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শহীদ সেরনীয়াবাত বলেন, ‘মুদ্রণ প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল বিনা শুল্কে আমদানি করছেন বন্ডেড প্রাপ্ত লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা। আমাদের আমদানি করতে হলে ৬১ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। দেশে উৎপাদিত হয় না এমন কাঁচামাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে পাঁচ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ করার দাবি জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পেপার ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা বলেন, ‘আমরা বন্ডেড ব্যবহার বন্ধ চাই না, আমাদের দাবি বন্ডেড মিস ইউজ যাতে না হয়। খোলাবাজারে যাতে বন্ডেড পণ্য বিক্রি না হয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশেনের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্বত বলেন, ‘রফতানিকারকদের বন্ড সুবিধা অব্যহত রেখে বাণিজ্যিকভাবে পাঁচ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে বিদেশি কাগজ আমদানি করার সুযোগ দিলে বন্ডের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, বোর্ডের ৩৭ কোটি পাঠ্যপুস্তকের যে কাভার পেজ তৈরি করে মুদ্রণ শিল্প সমিতি, সেটাও বৈধভাবে আমদানি হয় না। দেশে নোট বইসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০ কোটি বই ছাপানো হয়; সিরাপ ওষুধের কাভারের কাগজ, বার্ষিক দিনপঞ্জির কাগজও দেশে তৈরি হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।'

আনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন-এর সভাপতি তোফায়েল খান, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদে বেলাল।

   

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেল বগুড়ার হযরত আলী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ অফারে মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক হযরত আলী’র হাতে তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

ঈদ অফারে মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক হযরত আলী’র হাতে তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হযরত আলী। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান
‘মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এই সুবিধা পান তিনি। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে একই সুবিধা পেয়েছিলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না বেগম।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে শান্তাহার রোডের জেকে কলেজ গেইট এলাকায় মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ এ আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। আরও আছে লাখ
লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

নওগাঁ’র গাওসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিষয়ে ২০২০ সালে কামিল পাশ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বেলহাট্টি গ্রামের হযরত আলী। মা-বাবা ও স্ত্রীসহ তার চার সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। তাই গত ১৫ মে তারিখে ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১৩ লিটার ধারণক্ষমতার একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন তিনি।

কেনার পর ক্যাম্পেইনের চলমান সিজন-২০ এর আওতায় তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ পান যায়।

অনুষ্ঠানে হযরত আলী বলেন, “বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখলাম-মার্সেল ফ্রিজ দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী, মানও ভালো। তাই মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। কিন্তু ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ি। ক্রেতাদের দেয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে মার্সেল। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশেই আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি করছে মার্সেল। আমাদের দেশে মার্সেলের মতো কোম্পানি যদি তৈরি না হতো, তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে হতো আমাদের। তাই আমাদের সবারই দেশিয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা উচিৎ।

নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘মার্সেল কোম্পানি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাÐও পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা। আমাদের প্রত্যাশা- মার্সেল একসময় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুর রশীদ, চামরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল নর্থ জোনের ইন-চার্জ কুদরত-ই-খোদা সফওয়ান, মার্সেল ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম রেজা, ব্র্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুবাশ্বির মুরশিদ, সেতু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্তাধিকারী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।

;

পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিং জোরালো করার তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারাখানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক লিড স্বীকৃতি পাওয়া সেরা কারখানাগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে অবস্থিত। তৈরি পোশাক শিল্পের এই অনন্য অর্জনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

পাশাপাশি, নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার (১ জুন) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত আরএমজি এবং নিটওয়্যার বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই ‘র পরিচালক এবং বিজিএমইএ -এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

মাহবুবুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অন্যান্য শিল্পের মতো তৈরি পোশাক খাতকেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে কম্প্লায়েন্স এর দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এই অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে এই শিল্পটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের বাইরে আমাদের নন-কটন গার্মেন্টসে মনযোগ দিতে হবে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তৈরি পোশাক খাতের বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং গুণগত জ্বালানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো, আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত রফতানি বহুমুখীকরণে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পেও পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন বাজার ধরতে আমাদের উদ্যোক্তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।

শিল্পের সমস্যাগুলো নিয়ে অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ফারুক হাসান জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন এবং পণ্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিক রাখতে গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, কাস্টমস ও বন্ডের জটিলতা হ্রাস, অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধ, স্থানীয় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন, পণ্য জাহাজীকরণে লিড-টাইম কমিয়ে আনা, পণ্যের নূন্যতম ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র পরিচালক বি.এম. শোয়েব, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ।

;

রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, মে মাসে এলো ২১৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া মে মাসে বৈধ পথে ২১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এ নিয়ে পরপর দুই মাস দেশে আসা প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের ওপরে রয়েছে। গত এপ্রিলে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার। 

প্রবাসী আয়সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে বৈধ পথে প্রবাসী আয় এসেছে ২১৪ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৫৯ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৮ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মে মাসের প্রবাসী আয়ের যে হিসাব দিয়েছে, সেটি ২৯ মে, বুধবার পর্যন্ত। এরপর গত বৃহস্পতিবার লেনদেন চালু ছিল ব্যাংকে। ওই দিন ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ের হিসাব যুক্ত হলে তাতে মে মাসে আসা আয় আরও বাড়বে। তাই চূড়ান্ত হিসাবে মে মাসে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি হলে চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড হবে মে মাসে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল গত ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে দেশে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ২১৬ কোটি ডলার।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৯ মে পর্যন্ত দেশে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১২৬ কোটি ডলার। ২০২২–২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের উল্লেখিত সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৯৯ কোটি ডলার, এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১০ কোটি ডলার, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এবং এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

;

ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু রোববার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামীকাল রোববার (২ জুন) থেকে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

এ দফায় সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও চাল ৩০ টাকা।

শনিবার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের বিক্রির কার্যক্রম রোববার (২ জুন) থেকে সারাদেশে শুরু হবে। এই কার্যক্রম দোকান/নির্ধারিত স্থায়ী জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিচালনা করবে ডিলাররা।

কার্যক্রমটি রোববার (২ জুন) রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের পল্লবীর ৩ নং ওয়ার্ডের শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু উদ্বোধন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

;