নিয়ম না মেনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মোরশেদ আলম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মোরশেদ আলম, ছবি: সংগৃহীত

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মোরশেদ আলম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মনীতি ও আইনের তোয়াক্কা না করে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স (এনএলআই) কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুষ্ঠিতব্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় মোরশেদ আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হতে পারে। ব্যাংকের একাধিক পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির একজন পরিচালক বলেন, 'চলতি বছরের ২০ জুন অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় বেশিরভাগ সদস্যই মোরশেদ আলমকে চেয়ারম্যান হিসেবে মেনে নিতে চাননি। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান একেএম সাহিদ রেজা একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হওয়ায় পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবছরও পরিচালকরা সাহিদ রেজাকে চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়েছিলেন। তখন মোরশেদ আলম একটি সংস্থার ভয় দেখিয়ে নিজের নাম চেয়ারম্যান হিসেবে পাস করিয়ে নিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'বাৎসরিক সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানটি মোরশেদ আলম নিজের লোকদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। যে কারণে এজিএমে ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা পছন্দের কাউকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেননি। কোনো কথা বলার সাহস পাননি।'

ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর ২৩-এর ১(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, 'কোনো ব্যক্তি কোনো ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক হলে একই সময়ে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকবেন না। তবে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর হতে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে কোনো বিমা কোম্পানির পরিচালক থাকতে পারবেন।'

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩-এর ২৫-এর ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা একাধিক ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক থাকবেন না।'

তবে প্রস্তাবিত ফিন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০১৪-এর ২৭-এর ১(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, 'ফিন্যান্স কোম্পানির কোনো পরিচালক একই সময়ে অন্য কোনো ফিন্যান্স কোম্পানি বা ব্যাংক কোম্পানির পরিচালক থাকবেন না।'

জানা গেছে, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। বিমা ও ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি অন্য কোনো ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিমা কোম্পানির পরিচালক বা চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। অথচ জনগণের ভোটে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন।

বিমা আইনের ৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, 'অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিমা কোম্পানির কোনো পরিচালক একই সঙ্গে কোনো বিমা, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য গকুল চাঁদ দাস বলেন, 'বিমা আইন অনুযায়ী একই ব্যক্তি একই সঙ্গে কোনো বিমা ও ব্যাংকে পরিচালক পদে থাকতে পারেন না।'

একই ব্যক্তি ব্যাংক ও বিমা কোম্পানির পরিচালক পদে আছেন, এ ধরনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মোরশেদ আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

   

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন হালিমা আক্তার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সুপার ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন ঢাকার ডেমরার হালিমা আক্তার দিপু।

সারাদেশে চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’-এর আওতায় কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৮তম মিলিয়নিয়র।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হালিমা আক্তার!

মঙ্গলবার (২৮ মে) সংবাদমাধ্যমে ওয়ালটন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (২৭ মে) রাজধানী ঢাকার ডেমরায় এমএস টাওয়ারে ওয়ালটন প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক, শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

চলমান ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ১৮ মে ডেমরার এমএস টাওয়ার ওয়ালটন প্লাজা থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় ৩১২ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন হালিমা আক্তার।

ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইল ফোনে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।

হালিমা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির গজারিয়ায়। ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। ৪ সদস্যের বাসায় নিজেদের ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন তিনি।

পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তার বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজের গুণগতমান যেমন ভালো, তেমনি দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই, বাসার জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা কখনো ভাবিনি। ওয়ালটনের কাছ থেকে পাওয়া এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো। ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’!

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে, ওয়ালটন। ওয়ালটন শুধু ব্যবসাই করছে না, তারা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে।

আমাদের দেশেই এখন আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই, আমাদের উচিত কষ্টার্জিত টাকায় বিদেশি পণ্য না কেনা।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুব্রত পোদ্দার, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহার, ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার জাকির হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আবু নাসের প্রধান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান ও ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মেহেদি হাসান।

;

নগদ ও সোলায়মান সুখনের বিডব্লিউআইও অ্যাওয়ার্ড লাভ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সামাজিক কর্মকা-ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় দ্য বিজনেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (বিডব্লিউআইও) ইন লিডারশিপ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার (ডেপুটি সিএমও) মোহাম্মাদ সোলায়মান (সুখন)

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করা, ব্যবসা সম্প্রসারণে অভিনব চিন্তা ও তার সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন আর এক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠান নগদই তাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।

সম্প্রতি শ্রীলংকার তাজ সমুদ্র কলম্বোয় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও তারকাদের উপস্থিতিতে ২০২৪ সালের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বিডব্লিউআইও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড বিডব্লিউআইও, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন আইএনসি-এর মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক ব্যবসায়ীক কর্মকা- পরিচালনায় দক্ষতার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা জয় করা উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।

শ্রীলংকার এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন এছাড়া শ্রীলংকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক আরিফুল ইসলামসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন

অ্যাওয়ার্ড অর্জনের বিষয়ে নগদের ডেপুটি সিএমও মোহাম্মাদ সোলায়মান (সুখন) বলেন, ‘যেকোনো স্বীকৃতিই আনন্দের যখন আমাদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব অন্য দেশের কেউ লক্ষ্য করে এবং স্বীকৃতি দেয় এবং কথা শুনতে চায়, সেটি অবশ্যই একটি আনন্দের বিষয় আমার ও নগদের জন্য’ তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার মানুষ বাংলাদেশের বিষয়ে দারুণ ইতিবাচক বিশেষ করে দ্বীপ দেশটির কঠিন সময়ে বাংলাদেশের অবদান তাদের আতিথেয়তা দেখে বুঝতে পেরেছি আশা করি এই সম্পর্ক অটুট থাকবে এই স্বীকৃতির ফলে আরো কিছু ইতিবাচক কাজ করতে পারব বলে আশা করি’।

প্রতিবছর অন্তত ৩০টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিয়ে থাকে বিডব্লিউআইও এরমধ্যে স্টার্টআপ, টেকসই উন্নয়ন, বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পেশাদার যারা নিজ নিজ জায়গায় দক্ষতার সাথে কাজ করছেন এবং সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন--তাদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।

;

রিমালের ৪৫ ঘণ্টা পরও পৌনে ২ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎহীন

বিদ্যুৎহীন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের ৪৫ ঘণ্টা পরও সারাদেশে ১ কোটি ৭৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।

ঝড়ের কারণে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত এক কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অন্যদিকে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ১ লাখ ৪৪ হাজার গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় বলা হয়, ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৩টি, ট্রান্সফরমার ২ হাজার ৮১৮টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া) ৭৬ হাজার ৪০৪টি, ইনসুলেটর ভাঙা ২৪ হাজার ২৫৮টি, মিটার বিকল হয়েছে ৫৯ হাজার ৩৯৯টি।।

অতীতে কখনও একসঙ্গে এতো বেশি সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার নজির নেই। আবার এতো দীর্ঘ সময় ধরে ঝড়ের নজিরও কম। সারাদেশে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। প্রতিটি লাইন ধরে পরীক্ষা করে চালু করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানিয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের বঞ্চিত নারীদের জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রামীণ আমেরিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড (GAI) ওয়েলস ফার্গো ফাউন্ডেশনের উল্লেখযোগ্য অনুদান সহযোগিতায় ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় নতুন শাখা খোলার ঘোষণা দিয়েছে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজে ও অল্প খরচে পুঁজির সুবিধা নিশ্চিত করতে ওয়েলস ফার্গো গ্রামীণ আমেরিকাকে ফিনিক্সে তার কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে এবং গ্রামীণ আমেরিকার প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে আরো এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে সংস্থাটিকে আগামী তিন বছরে ৩.২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে।

ওয়েলস ফার্গো থেকে প্রাপ্ত অনুদানের মাধ্যমে গ্রামীণ আমেরিকা ফিনিক্সে তার নতুন শাখাটি থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ২,০০০ জনেরও বেশি নিম্ন আয়ের মহিলাকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণ করতে পারবে বলে আশা করছে। চালু হবার পর থেকে ফিনিক্স শাখা এরই মধ্যে ১৩০ জন নারী উদ্যোক্তার নিকট ৩২৭,০০০ ডলারেরও বেশী ঋণপুঁজি বিতরণ করেছে।

উল্লেখ্য যে, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে গ্রামীণ আমেরিকা সরাসরি মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা উদ্যোগে অল্প খরচে ৪ বিলিয়নেরও বেশী পুঁজি বিতরণ করেছে। প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ আমেরিকা এরই মধ্যে দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের নিকট স্বল্প খরচে ব্যবসায় পুঁজি পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক অতিক্রম করছে। এই অর্জনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ আমেরিকার অবস্থান আরো শক্তিশালী হলো।

২০০৮ সালে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যের ২৭টি শহরে ১৯৭,০০০ এর বেশি নারী উদ্যোক্তার নিকট এই ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ পরিশোধের হার ৯৯% এর বেশি। সংস্থাটি এখন ২০৩৩ সালের মধ্যে দেশটির দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণের পরিকল্পনা করেছে।

;