রাজস্ব আদায়ে এনবিআর'র লক্ষ্যপূরণ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ২

  • Font increase
  • Font Decrease
আগের দুই অর্থবছরের মত এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর। তবে, কথা থাকলেও চলতি অর্থবছর থেকে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর না হওয়ায় তাদের সামনে এখন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আরও বড় লক্ষ্য পূরণ করা বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর, যা তাদের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বেশি। এবারের রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৯ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরে একে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সফলতা’ হিসেবে মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। গত অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। অবশ্য পরে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, আদায় সন্তোষজনক না হওয়ায় তা সংশোধন করে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি থেকে নামিয়ে আনা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। ওই অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা এনবিআরের মাধ্যমে আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
   

‘আগামীতে মধ্যবিত্তদের জন্যও টিসিবি পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীতে মধ্যবিত্তদের জন্যও ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (২ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের প্যারিস রোডে শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠ থেকে দেশব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রয়ের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসেই আমরা সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দিতে চাই। এই কর্মযজ্ঞটা অনেক বড়। এই মাসে এটা শুরু করতে ভালো লাগছে। ঈদের আগে মানুষের হাতে টিসিবির পণ্যটা যেনো পৌঁছে যায় এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। ১ কোটি পরিবার যখন এখান থেকে এসব পণ্য পায় তখন বাজারে চিনি, চাল, ডালসহ এসব পণ্যের উপর চাপ কমে যায়।

আগামীতে মধ্যবিত্তদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টিসিবি চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মোস্তফা কামাল ইকবাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য, টিসিবির মাধ্যমে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবার চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। একজন কার্ডধারী ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি। প্রতিটি প্যাকেজের মূল্য পড়ছে ৫৪০ টাকা।

এসময় জানানো হয়, টিসিবি মাধ্যমে নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এ পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।

;

আজ থেকে ১০০ টাকায় তেল, ৭০ টাকায় চিনি দেবে টিসিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আজ থেকে ভর্তুকি মূল্যে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের জন্য চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি শুরু করবে ।

শনিবার (১ জুন) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার মিরপুর-১১ পল্লবী শেখ ফজলুল হক মনি খেলার মাঠে এ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। একজন কার্ডধারী ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকা, চিনি ৭০ টাকা ও প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এতে জুন মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের ভোক্তা চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে কিনতে পারবেন। এই পণ্যগুলো ক্রেতারা টিসিবির নির্ধারিত ডিলারদের দোকান কিংবা নির্ধারিত বিক্রয় স্থান থেকে কিনতে পারবেন। এই বিক্রি কার্যক্রমে সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে।

;

মার্সেল ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেল বগুড়ার হযরত আলী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ অফারে মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক হযরত আলী’র হাতে তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

ঈদ অফারে মার্সেল ফ্রিজ কিনে পাওয়া ১০ লাখ টাকার চেক হযরত আলী’র হাতে তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পেলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার হযরত আলী। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান
‘মার্সেল ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’ এর আওতায় এই সুবিধা পান তিনি। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে একই সুবিধা পেয়েছিলেন ফেনীর গৃহিণী ঝর্না বেগম।

শুক্রবার (৩১ মে) বিকেলে শান্তাহার রোডের জেকে কলেজ গেইট এলাকায় মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ এ আনুষ্ঠানিকভাবে হযরত আলীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান এবং জনপ্রিয় নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন।

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশব্যাপী চলছে জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো শোরুম থেকে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ। আরও আছে লাখ
লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার।

নওগাঁ’র গাওসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে তাফসির বিষয়ে ২০২০ সালে কামিল পাশ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের বেলহাট্টি গ্রামের হযরত আলী। মা-বাবা ও স্ত্রীসহ তার চার সদস্যের পরিবারে একটি ফ্রিজ প্রয়োজন ছিল। তাই গত ১৫ মে তারিখে ‘সেতু ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ৩৪ হাজার ৬০০ টাকায় ২১৩ লিটার ধারণক্ষমতার একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন তিনি।

কেনার পর ক্যাম্পেইনের চলমান সিজন-২০ এর আওতায় তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ পান যায়।

অনুষ্ঠানে হযরত আলী বলেন, “বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের শোরুম ঘুরে দেখলাম-মার্সেল ফ্রিজ দেখতে সুন্দর, দামে সাশ্রয়ী, মানও ভালো। তাই মার্সেল ফ্রিজ কিনেছি। কিন্তু ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পাবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার ম্যাসেজ পেয়ে হতবাক হয়ে পড়ি। ক্রেতাদের দেয়া কথা শতভাগ রক্ষা করে মার্সেল। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”

মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান বলেন, ‘দেশেই আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি করছে মার্সেল। আমাদের দেশে মার্সেলের মতো কোম্পানি যদি তৈরি না হতো, তাহলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশি ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনতে হতো আমাদের। তাই আমাদের সবারই দেশিয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা ও ব্যবহার করা উচিৎ।

নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা মামনুন হাসান ইমন বলেন, ‘মার্সেল কোম্পানি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কর্মকাÐও পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে তারা। আমাদের প্রত্যাশা- মার্সেল একসময় বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আব্দুর রশীদ, চামরুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, মার্সেলের হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান, মার্সেল নর্থ জোনের ইন-চার্জ কুদরত-ই-খোদা সফওয়ান, মার্সেল ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম রেজা, ব্র্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার মুবাশ্বির মুরশিদ, সেতু ইলেকট্রনিক্সের স্বত্তাধিকারী ফেরদৌস আলম প্রমুখ।

;

পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিং জোরালো করার তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারাখানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক লিড স্বীকৃতি পাওয়া সেরা কারখানাগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে অবস্থিত। তৈরি পোশাক শিল্পের এই অনন্য অর্জনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

পাশাপাশি, নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করার পরামর্শ দেন তিনি।

শনিবার (১ জুন) সকালে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত আরএমজি এবং নিটওয়্যার বিষয়ক এফবিসিসিআই’র স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং টর্ক ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই ‘র পরিচালক এবং বিজিএমইএ -এর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।

মাহবুবুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অন্যান্য শিল্পের মতো তৈরি পোশাক খাতকেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে কম্প্লায়েন্স এর দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এই অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে এই শিল্পটিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের বাইরে আমাদের নন-কটন গার্মেন্টসে মনযোগ দিতে হবে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তৈরি পোশাক খাতের বিদ্যমান নানা চ্যালেঞ্জের কথাও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং গুণগত জ্বালানি সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ইতিবাচক ফলাফল মিলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো, আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত রফতানি বহুমুখীকরণে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পেও পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্রকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন বাজার ধরতে আমাদের উদ্যোক্তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।

শিল্পের সমস্যাগুলো নিয়ে অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।

কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ফারুক হাসান জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন এবং পণ্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিক রাখতে গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতকরণ, কাস্টমস ও বন্ডের জটিলতা হ্রাস, অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধ, স্থানীয় গার্মেন্টস এক্সেসরিজ শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন, পণ্য জাহাজীকরণে লিড-টাইম কমিয়ে আনা, পণ্যের নূন্যতম ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র পরিচালক বি.এম. শোয়েব, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্যবৃন্দ।

;