মোহাম্মদপুরে ‘সারা’র আউটলেট উদ্বোধন
মিরপুর ও বসুন্ধরা সিটির পর এবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রিং রোডে (বাড়ি নং-১৯ বি/৪ ও বি/ডি, ব্লক-এফ) আউটলেটের যাত্রা শুরু করেছে ‘স্নোটেক্স আউটওয়্যার লিমিটেড’-এর দেশীয় পোশাক ব্র্যান্ড ‘সারা’।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় ‘সারা’ লাইফস্টাইল ও স্নোটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এসএম খালেদ ও পরিচালক শরীফুন নেসা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডেল ও অভিনেতা নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং মামনুন হাসান ইমন।
নতুন এই আউটলেটটি বেশ বড় পরিসরে সাজানো হয়েছে। এখানে দুটি ফ্লোর রয়েছে। পরিবেশও বেশ মনোমুগ্ধকর।
সব বয়সীদের ক্রেতার কথা মাথায় রেখে নতুন এই আউটলেটটি সাজানো হয়েছে। এখানে শার্ট, এনথিক টপস, এক্সক্লুসিভ পার্টি টপস, শাড়ি, নিট টি শার্ট, লেগিংস, ডেনিম, লন, শ্রাগস, পালাজো ফর লেডিস অ্যান্ড গার্লস, জিন্স ফর মেনজ অ্যান্ড বয়েজ, পলো টি শার্ট ও পাঞ্জাবিসহ নানা রঙের বাহারি ডিজাইনের পোশাক রয়েছে।
শুধু তাই নয়, আসছে শীতকে সামনে রেখে সারা নিয়ে এসেছে নতুন নতুন জ্যাকটে ও শীতকালীন পোশাক।
গুণগত মান ও সব ধরনের ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি ‘সারা’ প্রাধান্য দেয়। আর তাই ক্রেতার কাছে দিন দিন এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। শিগগিরই উত্তরা ও বারিধারায় সারার আরও দুটি আউটলেটের যাত্রা শুরু করবে।
রাজধানীতে ‘সারা’র আউটলেট এখন তিনটি। বাকি দুটির একটি রয়েছে বসুন্ধরা সিটিতে ( লেভেল-১, ব্লক-এ এর ৪০ ও ৫৪ শপ)। অন্যটি রাজধানীর মিরপুর-৬।
আউটলেট ছাড়াও অনলাইনে সারার পোশাক অর্ডার করে বিনামূল্যে ঢাকার ভেতরে হোম ডেলিভারি পাওয়া যাবে।
সারার ওয়েবসাইট www.saralifestyle.com.bd, ফেসবুক পেজ www.facebook.com/saralifestyle.bd এবং ইনস্টাগ্রাম saralifestyle.bd থেকে ক্রেতারা সরাসরি অর্ডার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, স্নোটেক্স ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা প্রতিষ্ঠা করে স্নোটেক্স অ্যাপারেলস। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে স্লোটেক্স আউটওয়্যার প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে তিনটি বড় কারখানা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
‘সারা’ হচ্ছে এর প্রথম লাইফস্টাইল ব্রান্ড। স্লোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রীন ফ্যাক্টরি হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়াও শ্রম ও কর্মসংস্থার মন্ত্রনালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে স্নোটেক্স।
প্রতিষ্ঠানটি ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা হবে প্রতিষ্ঠানটিতে।