পাইকারি দাম বাড়লে খুচরা দাম বাড়ানোর পক্ষে বিপিডিবি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) তাদের বিতরণ অঞ্চলে (সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ) খুচরা বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য সরাসরি কোনো আবেদন করেনি। সংস্থাটি তাদের প্রস্তাবে বলেছে যদি পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায় সেটি সমন্বয় করা প্রয়োজন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিইআরসিতে গণশুনানিতে এমন প্রস্তাব তুলে ধরেন বিপিডিবিরর চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম কমিশনের অপর তিন সদস্য রহমান মুর্শেদ মিজানুর রহমান, মাহমুদউল হক ভুঁইয়া শুনানি গ্রহণ করছেন।
বিপিডিবির প্রস্তাবে নতুন কিছু বিধি নিষেধ আরোপের আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে, পুনঃসংযোগ ফি নির্ধারণ ও ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধি। বিতরণ সংস্থাটি বিদায়ী বছরে বিতরণ খরচ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ইউনিট প্রতি বিতরণ ব্যয় ছিলো ১.০৯ টাকা। বর্তমান পঞ্জিকা বর্ষে যা ১.০৫ টাকায় নেমে আসবে। এতে করে তাদের মুনাফা কিছুটা বাড়বে। সে কারণে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি না হলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পাইকারি দাম বৃদ্ধি হলে পাস-থ্রু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
গণশুনানিতে ক্যাবসহ বিভিন্ন ট্রুড বডির নেতারা অংশ নিয়েছে। নিয়ম রয়েছে বিপিডিবির প্রস্তাব উপস্থাপনের পর বিইআরসির কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এরপর গ্রাহকরা প্রশ্ন, বিবৃতি কিংবা জেরা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।