‘বিনিয়োগের জন্য প্রতিদিন বিদেশী কোম্পানি যোগাযোগ করে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে বিদেশী ১০টি কোম্পানি যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। বিদেশী কোম্পানি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিনিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী বলেও জানান তিনি।  

মঙ্গলাবার (১০ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সফররত সিঙ্গাপুর বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এফবিসিসিআই এবং সিঙ্গাপুর বিজসেস ফোরাম যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) এতে সভাপতিত্ব করেন।

সিঙ্গাপুরের ২৪টি বেসরকারি কোম্পানি ও দুটি সরকারি সংস্থার ৩৬ জনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এসবিএফ চেয়ারম্যান টেও সিওং সেং। এক সপ্তাহের সফরে  রোববার (৮ জুলাই) দলটি ঢাকায় পৌঁছায়। সফরকালে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, বাংলাদেশকে বুঝতে হলে বর্তমান থেকে ১০ বছর পেছনে যেতে হবে। তখনকার সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তুলনা করলেই উন্নয়ন চিত্র উঠে আসবে। বর্তমানে বিদেশিরা বিনিয়োগে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০টি চায়না কোম্পানি আমার সঙ্গে বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ করছে। যারা সৎ ও বিজ্ঞ। তারা বলে বাংলাদেশের যে কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে তাদের থেকে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগে আমরা বেশি অগ্রাধিকার দিতে চাই। আশা করি সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ বাড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, জাপান এবং মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরও কয়েকটি দেশ বিনিয়োগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর চাইলে আরও বেশি বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগে সবধরনের নিরাপত্তা ও সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দিয়েছেন, সিঙ্গাপুর বিজনেস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান টিও সিওং সেং, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচেম) প্রেসিডেন্ট মো. শাহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব কাজী এম আমিনুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভাইস চেয়ারম্যান প্রসুন মুখার্জি প্রমুখ।

   

সিটি ব্যাংকের নতুন ডিএমডি অরূপ হায়দার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি সিটি ব্যাংক অরূপ হায়দারকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করেছে। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিটেল ব্যাংকিং হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

অরূপ ২০১৬ সালে হেড অব ক্রেডিট এন্ড কালেকশনস হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্রেডিট ও কালেকশন টিমের পুনর্গঠনের মাধ্যমে এর রিটেল লোন ও কার্ড লোন ব্যবসায়কে শক্তিশালী করার পেছনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ২০১৮ সালে তিনি হেড অব রিটেল ব্যাংকিং হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাংকের কৌশলগত দিকনির্দেশনা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার তত্ত্বাবধানে রিটেইল ব্যাংকিং ও কার্ড ব্যবসা অনেক প্রসার লাভ করে এবং সিটিটাচ ডিজিটাল অ্যাপের জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে ব্যাংকের রিটেইল ব্যবসায়ের নতুন অভিমুখ তৈরি হয়।

২১ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অরূপ ২০০৩ সালে প্রাইম ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি ব্র্যাক ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এসএমই ও কনজুমার ক্রেডিট বিভাগে নীতিনির্ধারণী পদে কাজ করেন। অরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

;

বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।

সোমবার (২৭ মে) এফবিসিসিআই’র গুলশান কার্যালয়ে রুশ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সাথে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এই কথা জনান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার ট্রেড কমিশনার ড. আলেকজান্ডার রাইবাস। এসময় এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, শমী কায়সার, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আালেকজান্ডার ভি. ম্যান্টিটস্কি, এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বাগত ভাষণে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ অবধি বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক।

তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক খাতে দুই দেশের ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল পণ্য, প্লাস্টিক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি এবং সুলভ জনশক্তির সাথে রাশিয়ার আধুনিক প্রযুক্তি দুই দেশের সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে এখন রফতানির জন্য প্রস্তুত। তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানিকারক। বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে শীর্ষ ৮টি কারখানাই বাংলাদেশে অবস্থিত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি এখন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর বাইরেও ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাট পণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং গৃহস্থালী সামগ্রীর রপ্তানিকারক সুনাম কুঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি রুশ বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার বাণিজ্য কমিশনার ড. আলেকজান্ডার রাইবাস তার বক্তৃতায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা বিরাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি. ম্যান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো রাশিয়াও দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে বি২বি মিটিং আয়োজনে আগ্রহী বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বাংলাদেশি ও রুশ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে এফবিসিসিআই’র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রুশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড়ে সিদ্ধিরগঞ্জ গ্রিড লাইন বন্ধ, ঢাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সিদ্ধিরগঞ্জ-উলন গ্রিড ট্রিপ করেছে। বর্তমানে বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এ কারণে কিছুটা সংকট হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুলাহ নোমান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, আমাদের টিম কাজ করছে (বিকেল ৫টা) কিছুক্ষণের মধ্যেই সংকট দূর হয়ে যাবে।

ডিপিডিসি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটায়, উলন-সিদ্ধিরগঞ্জ লাইনে ট্রিপ করে। একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ হরিপুর লাইন ট্রিপ করেছে। এরপর থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বৃষ্টি এবং তাপমাত্রা কম থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। অন্যান্য সময়ে ২ হাজার মেগাওয়াটের মতো চাহিদা হতো। বিকেল সাড়ে ৫টায় ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদা ছিল। যে কারণে আমাদের সরবরাহের কোনো সমস্যা হয়নি।

ঢাকার বাংলামোটর, ধানমণ্ডিসহ অনেক এলাকা থেকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডিপিডিসির বক্তব্য হচ্ছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিতরণ লাইন এবং ট্রান্সফরমারে অনেক জায়গায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে সে সব এলাকায় কিছুটা সংকট হতে পারে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি ৭৯০২ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুসার ১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

;

ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ খাতে ক্ষতি ৭৯ কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি ৭৯ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় বলা হয়েছে, ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে ৬৫টি সমিতিতে গ্রাহক সংযোগ আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। প্রাথমিক ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যে পোল বিনষ্ট-২৩৯২টি, ট্রান্সফরমার বিনষ্ট-১৯৮২টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া)-৬২ হাজার ৪৫৪টি, ইন্সুলেটর ভাঙ্গা ২১ হাজার ৮৪৮টি, মিটার বিনষ্ট-৪৬ হাজার ৩১৮টি।

অন্যদিকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) পোল বিনষ্ট-২০টি, পোলে হেলে পড়েছে ১৩৫টি, বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেছে ২৪ দশমিক ৩৪ কি:মি, ১১ কেভি পোল ফিটিংস বিনষ্ট ১৪২ সেট, ট্রান্সফরমার ১২টি, ১১ কেভি ১৩৪ টি বিনষ্ট হয়েছে। কোম্পানিটির ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মতো।


বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাগণের সাথে টেলিফোনে আলোচনা করে ক্ষয়-ক্ষতির একটি প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কন্ট্রোল রুম-এর মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে। জেলা পর্যায় ও সমিতি ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম রয়েছে। পরিবরহন ঠিকাদারকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) এলাকায় সকল ধরনের কর্মকর্তাগণের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) লোকজন প্রয়োজনীয় মালামালসহ প্রস্তুত রয়েছে। ঝড় বা বাতাস কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে।

ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” পরবর্তী এফএসআরইউ অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থাপনাসমূহের কোনো ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়নি। এখনো প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি ও হাই ওয়েভ বিদ্যমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হ্রাসকৃত এলএনজি সরবরাহ গতকাল বিকেল থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে বর্তমানে তা ১০০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দুপুর হতেই তা ১১০০ এমএমসিএফডিতে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলমান থাকায় ক্ষয়-ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

;