গোষ্ঠীভিত্তিক নয়, ‘সারা’ দেশীয় আমজনতার ব্র্যান্ড



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড আন্তর্জাতিক পোশাক উৎপাদনে ১৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেছে তাদের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’। সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত পোশাক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় ‘সারা’র। দেশি ও বিদেশি ফেব্রিকে ‘সারা’ ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করছে। বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও রয়েছে বাহারি সব পোশাক। ঐতিহ্য এবং পাশ্চাত্য ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে স্বল্প মূল্যে ভালো মানের পোশাক ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশীয় এই ব্র্যান্ড।

মিরপুর, বসুন্ধরা সিটি, মোহাম্মদপুর, বারিধারা ও উত্তরাতে রয়েছে ‘সারা’র আউটলেট। এই পাঁচটি আউটলেট নিয়ে লাইফস্টাইল জগতে ‘সারা’ নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘সারা’ একসময় বিশ্ব বাজারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নয়, সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ক্রয়মূল্য সাধ্যের মধ্যে রেখে ‘সারা’কে আমজনতার ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেডের যাত্রা শুরুসহ ব্র্যান্ডটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন সারা লাইফস্টাইল ও স্নোটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম খালেদ।

স্নোটেক্স গ্রুপের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারার’ শুরুর গল্প শুনতে চাই-

স্বপ্নটা অনেক বড় ছিল। শুরুর দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও তা বেশিদূর এগোয়নি। পরে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করি। ২০০০ সালে স্নোটেক্স আউটওয়্যার নিয়ে যাত্রা শুরু করি। আজ প্রায় ১৯ বছরে আমাদের ব্যবসা। স্নোটেক্সের প্রথম ফ্যাক্টরি চালু হয় ২০০৫ সালে। আর বর্তমানের ফ্যাক্টরিটি চালু হয় ২০১২ সালে। যাদের সঙ্গে ১৮ বছর আগে আমরা ব্যবসা শুরু করি আমেরিকায় তাদের ফ্যাক্টরি ছিল কিন্তু এখন তা নেই। আর ১৭ বছর ধরে যে বায়ারের সঙ্গে কাজ করছি তাদের ফ্যাক্টরি কানাডায় কিন্তু তারাও যেকোনো সময় ফ্যাক্টরিটি বন্ধ করবে। দুই বছর আগে যখন ফ্রান্সে গেলাম তখন দেখলাম লিল নামের একটি জায়গায় ৩০ বছর আগে হাজার হাজার গার্মেন্টস ছিল, এগুলো এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের এখানে যেহেতু লাইফস্টাইল ভালো হচ্ছে, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর দেখবো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো ভালো ব্যবসা করছে না। তখন হয়তো অন্য কোনো ব্যবসা আসবে, কিন্তু আমাদের জেনারেশনকে কি ব্যবসা দেবো। আমরা যখন ব্যবসায় থাকবো না, তখন আমরা কি করবো। আমরা যেই ব্যবসাটা গত প্রায় ২০ বছর ধরে শিখলাম, সেই ব্যবসাটাকে আমরা একই ট্রেন্ডে নেওয়ার জন্য ‘সারা’ শুরু করলাম। শুধু আমরা গার্মেন্টসটা কিভাবে কম দামে ভালো কোয়ালিটি করতে হয় এতটুকু আমরা গত প্রায় ২০ বছরে শিখেছি। আর ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং, ফ্যাশন এটা গত দেড় বছর ধরে আমরা শিখছি এবং আরো শিখতে হবে। প্রতিনিয়ত শেখার মধ্য দিয়ে ‘সারা’ এগিয়ে যাবে। ১০ বছর পরে ‘সারা’ যখন অনেক স্ট্রং হবে, স্নোটেক্স ধীরে ধীরে দুর্বল হবে। সেজন্যই আমাদের ‘সারা’র যাত্রা শুরু।

‘সারা’ নিয়ে স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

সারার অ্যাম্বিশন খুবই বড়। আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে চাই। ফ্রান্সে যখন ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে যারা গার্মেন্টস করেছিল তারা অনেকে নিঃস্ব হয়ে যায়। কিন্তু যারা তখন রিটেইলে আসে, তারাই আমাদের বড় বায়ার। তাদের জন্য এখন আমরা স্নোটেক্স প্রোডাক্ট করছি। আমরাও এ ব্যবসাটাকে একসময় অনেক বড় পর্যায়ে নিতে পারব। যে রিটেইল স্টোরগুলোর জন্য আমরা বাংলাদেশে ব্যবসা করছি, ‘সারা’ কেউ সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এবং ১০ থেকে ১৫ বছর পর আমরা তেমন একটি পর্যায়ে যেতে চাই।

সারা দেশীয় ব্র্যান্ড, একে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড করার পরিকল্পনা আছে কিনা?

‘সারা’ বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন আমরা দেখি। এক সময় আমরা দেশের বাইরে যাবো, কারণ আমাদের একটি স্টোর মানে কিছু শার্ট, কিছু প্যান্ট, কিছু টি-শার্ট, কিছু লেডিস ড্রেস থাকবে। ম্যাকডোনাল্ডস যখন বাইরে তাদের পণ্য বিক্রি করে তখন একটু পেঁয়াজ কম, একটু স্পাইসি কম রাখে। আবার যখন এটি ভারতে আসে তখন একটু স্পাইসি করে, কিছু লোকাল ফ্লেভার যুক্ত করে। কিন্তু বার্গার চিকেন কিন্তু একি থাকে। তেমনি ‘সারা’র বিষয়টিও একই রকম। যদি আমাদের একটি দোকান সাকসেসফুল হয়, এটা বাংলাদেশেও যেমন সাকসেসফুল হবে। সেটি ভারত, চায়না, ব্যাংকক, মালয়েশিয়াও হবে, সব জায়গায় হবে। আমরা যদি ৫০টি দোকানকে বাংলাদেশে সাকসেসফুল করতে পারি তাহলে কেন কলকাতায় নয়, কেন অন্য দেশে নয়। সুতরাং আমরা বিষয়টিকে বিশ্বব্যাপী চিন্তা করি। আমরা একটি স্টোরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে ৫টা, ৫০টা আর ৫ হাজারটা ওই একই জিনিস। তাতে কোনো সমস্যা দেখি না।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ‘স্নোটেক্স’ ও ‘সারা’ শ্রমিকবান্ধব বলে বাজারে আলোচনা রয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?

আমি ব্যবসায়ী হবো এমনটি কখনো চিন্তা করিনি। আমি সবসময় সোশ্যাল লাইফ কাটাতে চেয়েছি, সেই চিন্তাটা আমার মাথায় ছিল। আমি যখন ব্যবসায় আসি আমার একটি চিন্তা ছিল কোনো একসময় ব্যবসা বন্ধ করে সেখানেই (সামাজিক কাজে) যাব। পরে চিন্তা করলাম যদি আমরা এটিকে সবার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ করি, সবাইকে যদি একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দিতে পারি; সেটাও সমাজকল্যাণমূলক কাজ হতে পারে। এখানে ‘স্নোটেক্স’ ও ‘সারা’ মিলিয়ে যে ১৮ হাজার লোক তাদের যদি ঠিক মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি সেটাও তো সামাজিক কাজ। আমাদের শ্রমিকদের আমরা দুপুরের খাবার দিচ্ছি, প্রভিডেন্ট ফান্ড দিচ্ছি। এমনকি এ বছর লভ্যাংশের ১৫ শতাংশ শেয়ার দিচ্ছি। লেবার ল' এর বাইরেও যেগুলো কোথাও দেওয়া হয় না এমন অনেক কিছুই দিচ্ছি। সেজন্যই আমাদের সবাই খুশি, মাস শেষে আমরা দেখি আমাদের লোকজন চলে যায় খুব কম। এর ফলে আমাদের উৎপাদন খুবই ভালো, এতে করে আমরাও ভালো ব্যবসা করতে পারি। আমরা একটু আয়ও বেশি করতে পারি। আর আয় বেশি করতে পারলে আমরা বায়ারকে একটু কম পরিমাণে দিতে পারি, আর আমাদের এখানে যে ১৮ হাজার মানুষ তাদেরকেও একটু বেশি পরিমাণে দিতে পারি। আমরা যারা ১৮ হাজার মানুষ তারা যদি খুশি থাকি, যারা আমাদের কাজ দিচ্ছে তারা যদি একটু কম পায় তাহলে ব্যবসাটা খুব জটিল কিছু না। আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে চাই। আমরা চাই আমাদের সবাইকে ইতিবাচকভাবে সাপোর্ট করতে।

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’র পরিকল্পনা কিভাবে আসল?

আমরা যখন বর্তমান ফ্যাক্টরিটি করি, তখন আমাদের গ্রিন সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। তখন বিষয়টি এমন ছিল গ্রিন ফ্যাক্টরি করার ক্ষেত্রে হয়তো বা একজন দুইজন প্রসেসিংয়ে আছে, এখনো কেউ পায়নি, আমরাও শুনছি মাত্র। আমরা তখন গ্রিন ফ্যাক্টরি সম্পর্কে জানতে ম্যানুয়াল ডাউনলোড করলাম। কিভাবে এটি করা যায়, তা নিয়ে অনেক বই পড়েছি। পরে কিছুদূর যাওয়ার পর বুঝলাম, গ্রিন মানে লো ইউটিলিটি, এটা আমাদের খরচ সাশ্রয় করবে। আমরা যখন একটা ভালো কনসেপ্ট পেলাম তখন এটা আমরা নেবো না কেন, আমরা যে কোন কিছুর বিনিময় করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। এখন আমাদের ফ্যাক্টরি গ্রিন ফ্যাক্টরি, এটা মানুষকে দেখানোর জন্য না। এটার অর্থ হল ইউটিলিটি কস্টিং কম। এর ফলে আমাদের পানি খরচ, বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে সার্বিক অপারেশন খরচ কম হয়। এর ফলে আমরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বেস্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ার্ড, ইংল্যান্ডের সেডেক্স থেকে আমাদের হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।  আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আমাদের বেস্ট প্রাক্টিস অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। আমরা চাই আমাদের জন্য একটি ভালো কর্ম পরিবেশ তৈরি করা। তাতে ব্যবসাটা আরো সহজ হচ্ছে, খরচ বেশি করা মানে এটা নয় যে খরচ বেশি হচ্ছে। এর ফলে প্রোডাক্টিভিটি ভালো হয় এবং এতে বায়ার ও ১৮ হাজার পরিবারকে খুশি রাখতে পারছি।

গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে বাংলাদেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি হচ্ছে, এখন গ্রিন এভেইলেবল। সবাই জানে গ্রিন মানে কি, গ্রিন কিভাবে করতে হয়। কিন্তু আমরা যখন প্রথমে শুরু করি তখন এত সহজ ছিল না, এটা বেশ কঠিন ছিল। আমাদের অনেক পরিশ্রম করে এটা বের করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ও আমেরিকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে তারপর এখানে গ্রিন ফ্যাক্টরির কনসেপ্ট ইমপ্লিমেন্ট করতে হয়েছে। গত বছর আমরা চারজন প্রোডাকশন এবং ম্যানেজমেন্ট সব মিলিয়ে সেরা ছয় জন যারা ফ্যাক্টরিকে পরিচালনা করে তাদের নিয়ে চায়নার পাঁচটি ফ্যাক্টরি ভিজিট করি।

সেখানে আমরা দেখি সেই ফ্যাক্টরির এফিশিয়েন্সি কেমন, মেশিন কেমন, কি ব্যবহার করে, আমরা কি করি না। এরপর গত তিন চার মাস আগে ভিয়েতনামে এমন পাঁচটা ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করে এসেছি, যেগুলো সেখানকার সেরা ফ্যাক্টরি। আমরা সেগুলো দেখে অনেক কিছু শিখেছি, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। সেখান থেকে গ্রিন এর চায়না এবং ভিয়েতনামের বেস্ট টেকনোলজিরগুলো এমন যেগুলো আমরা সেখানে দেখে এসেছি সেগুলো আমরা এখানে প্রয়োগ করছি।

সাধারণ ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় তা একটি শ্রেণির ক্রেতাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ‘সারা’ কি তেমন কোন ব্র্যান্ড হবে, নাকি আমজনতার ব্র্যান্ড হবে? 

‘সারা’ বর্তমানে দুই ধরনের পোশাক বিক্রি করে। যার মধ্যে এক প্রকার পোশাকে দাম খুবই কম, আর উচ্চমানের যে পোশাক তার দামও অন্য ব্র্যান্ডের পোশাকের চেয়ে কম। আমরা চেষ্টা করি কত কম দামে সাধারণ মানুষের হাতে পোশাক তুলে দেওয়া যায়। আমরা দুই ধরনের প্রোডাক্টই এনকারেজ করার চেষ্টা করছি। আমরা যখন প্যান্ট তৈরি করি তখন চেষ্টা করি খুব কম মূল্যের মধ্যে ভাল একটি প্যান্ট মানুষের হাতে তুলে দিতে।

আবার কখনো খুব ভালো কাপড়ের প্যান্ট কিভাবে সর্বনিম্ন মূল্যে তাদের হাতে তুলে দিতে পারি তাও আমাদের চেষ্টা থাকে। যে প্যান্ট আমরা ১২০০ টাকায় বিক্রি করি অন্যরা সেটি ১৮০০টাকায়ও সেই কোয়ালিটির প্যান্ট বিক্রি করে না। আমরা যেসব দেশ থেকে র' মেটেরিয়াল ক্রয় করি, তাদের প্রত্যেককেই আমরা চিনি। আমরা জানি কত কম দামে ভালো মানের মেটেরিয়াল ক্রয় করা যায়। ফলে আমরা সবচেয়ে কম দামে ভালো মানের পোশাক তৈরি করতে পারি, এবং ক্রেতাদের হাতে তা তুলে দিতে পারি।

তাছাড়া আমরা যেটি করি বিনিয়োগে কখনো কার্পণ্য করি না। আমরা সবসময় সেরা মেশিন কেনার চেষ্টা করি। কারণ একটি প্যান্টের দাম ৫ ডলার হলে আমরা যদি ৪.৯৫ ডলারে সেটি দিতে পারি, তাহলে অর্ডারের কোনো অভাব নেই। আবার যদি ৫ ডলারে সবাই দেয়, আমরা যদি ৫ ডলার ৫ সেন্ট যদি অফার করি তাহলে আর সেই অর্ডার আমরা আর পাবো না। আমাদের লক্ষ্য সেরা পণ্য দেওয়া ও সেরা ফ্যাক্টরি করা, যাতে এখানে যারা কাজ করে তারা যেনো ভালো একটি পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা পায়। আমরাও ভালোভাবে কাজ করতে পারি।

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;