ভ্যাট ফাঁকি রোধে বাণিজ্য মেলায় এনবিআরের আট টিম
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০ (ডিআইটিএফ-২০২০) এ কর ফাঁকি রোধে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব র্বোডের (এনবিআর) আটটি টিম।
বুধবার (০১) জানুয়ারি শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আইন অনুসারে সঠিকভাবে মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক কর দিচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখছে এসব টিম।
এনবিআরের ঢাকা পশ্চিম বিভাগের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট বাণিজ্য মেলায় নতুন ভ্যাট আইনের যথাযথ মনিটর করার জন্য আটটি টিমকে টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বুথে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে। স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ টিকেটের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকেটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে। খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।
অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে দু’টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক এবং ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।
এ বিষয়ে ডেপুটি কমিশনার মো. রেজাউল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর আওতায় মেলায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিকে সহজতর ও ভ্যাট সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মেলায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বুথ থেকে ভ্যাট সম্পর্কিত যে কোনো সেবা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সবাইক ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ, ক্রেতার অনূকুল মূসক ৬.৩ এ কর চালনপত্র ইস্যুকরণ ও ভ্যাট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে বিক্রির জন্য প্রদেয় ভ্যাট যথারীতি পরিশোধ করতে এবং বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্যাদি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে মেলা প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভ্যাট কার্যালয়ে নিয়মিতভাবে দাখিল করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে দেশের পণ্য প্রদর্শনী এবং পারিবারিক বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে দৃষ্টিনন্দন করে এবারের মেলা প্রাঙ্গণকে সাজানো হয়েছে। ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা।