বহুমুখী বস্ত্র মেলা ৯ ও ১১ জানুয়ারি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন  বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী ৯ ও ১১ জানুয়ারি বহুমুখী বস্ত্র মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

তিনি জানান, আগামী ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। আর ৯ ও ১১ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী বহুমুখী বস্ত্র মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন ও রপ্তানি বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নয়টি অ্যাসোসিয়েশন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উদযাপন এবং দুই দিনব্যাপী বহুমুখী জাতীয় বস্ত্র মেলা আয়োজন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, বহুমুখী বস্ত্র মেলা ৯ থেকে ১১ জানুয়ারি নির্ধারিত থাকলেও মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনার অনুষ্ঠানের জন্য ১০ জানুয়ারি বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞাপন

গত ৪ ডিসেম্বর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে বস্ত্র খাতের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে তৈরি পোশাক খাত। এ খাত থেকে দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ অর্জিত হয়। দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ আসে বস্ত্র খাত থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ বাংলাদেশের সমাজ জীবনে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে বস্ত্র খাতে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ নারী। ফলে নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বস্ত্র খাত। বস্ত্র শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও আধুনিকায়নের ধারা বেগবান করা এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা লক্ষ্য নিয়ে ৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ উদযাপন করা হয়। এবারের জাতীয় বস্ত্র দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বস্ত্র খাতের বিশ্বায়ন-টেকসই উন্নয়ন’।

সচিব জানান, বিদ্যমান ও বিকাশমান বস্ত্র শিল্প কারখানার জন্য মানসম্মত বস্ত্র উৎপাদনে দক্ষ বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন। এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তর সরকারি পর্যায়ে ৪২টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, সাতটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং সাতটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাধ্যমে স্বল্প খরচে বস্ত্র খাতের জন্য দক্ষ শ্রমিক, সুপারভাইজার, ডিপ্লোমা প্রযুক্তিবিদ সর্বোপরি স্নাতক পর্যায়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি বস্ত্র শিল্প কারখানায় সরবরাহ করছে।

দেশের তাঁত শিল্পের উন্নয়নের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সাতটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ এর পুরস্কার ও সম্মাননা পাচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠান- বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ার লুম ইন্ডাস্টিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় কারু শিল্প পরিষদ।