মুক্তার পানি তৃষ্ণা মেটাচ্ছে বাণিজ্য মেলার দর্শনার্থীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাণিজ্য মেলায় মুক্তার স্টল, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাণিজ্য মেলায় মুক্তার স্টল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাসব্যাপী শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এরইমধ্যে ১৪ দিনে গড়িয়েছে। প্রায় অর্ধেক সময় পার হয়েছে। বাড়তে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের ভিড়। মেলায় দর্শনার্থীদের পানির তৃষ্ণা মেটাতে আছে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হাতে তৈরি করা মুক্তা পানি। যে পানি একেবারেই বিশুদ্ধ।

দর্শনার্থীরা হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে তৃষ্ণার্ত হলে মুক্তা পানির স্টল দেখে ঢুকে পরছে। স্টলের সম্মুখে বড় করে দুইটি বোতলের ছবি দেওয়া থাকায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে এই স্টলে পানি পাওয়া যাবে। পানি কিনে খাচ্ছেন সাথে প্লাস্টিকের পণ্যও দেখে কিনছেন। স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় এই পানির চাহিদা বেড়েছে বাণিজ্যমেলার অন্যান্য স্টলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছেও।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৈত্রী শিল্পের আওতায় দুইশরও বেশি প্রতিবন্ধী তৈরি করেন এসব পানি। শুধু পানিই নয় আরো ৭৫ প্রকারের প্লাস্টিক পণ্যও তৈরি করেন তারা। ঢাকার টঙ্গীতে এ শিল্পের স্থায়ী কারখানা। এর মাধ্যমে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করতে পারছে শারীরিকভাবে অক্ষম এসব মানুষরা। শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের মাধ্যমে তাদের জন্য ব্যয় হবে এসব অর্থ।

মেলার ৫ নম্বর স্টলে বিভিন্ন সাইজের বোতলে স্বল্প মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এই পানি। বাইরে বা মেলার অন্যান্য স্টলে হাফ লিটার পানির মূল্য ১৫ টাকা কিন্তু বাণিজ্য মেলার স্টলে মাত্র ৯ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে। এবং ৫ লিটার পানি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। মেলায় এই দুই সাইজের বোতলের পানির চাহিদা বেশি। প্লাস্টিকের পণ্যেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়।

শুধু পানিই নয় আরো ৭৫ প্রকারের প্লাস্টিক পণ্যও তৈরি করেন প্রতিবন্ধী

বিভিন্ন সাইজের পানির পাশাপাশি প্লাস্টিকের বিভিন্ন সাইজের এয়ারটাইট বক্স, বালতি, মগ, বেলচাসহ গৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য পাওয়া যাচ্ছে এই স্টলে।

অনেক দর্শনার্থীই জানেন না যে এগুলো প্রতিবন্ধীদের হাতে তৈরি। স্টলে এসে জানার পর অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করছেন। সেইসাথে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এই উদ্যোগকে। পণ্য পছন্দ হলে আগ্রহ সহকারে কিনছেন তারা।

সুমি নামের এক দর্শনার্থী বলেন, 'প্রতিবন্ধীরা এসব পণ্য তৈরি করেন ভাবাই যায় না। প্লাস্টিকের জিনিসগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজবুত। আমরা এসব পণ্য কিনলে তার কিছু অংশ প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় হবে শুনেছি। সেজন্য অবশ্যই কেনা উচিত। তবে শুধু এই কারণেই নয় পণ্য গুলোও অনেক ভালো তাই কিনবো।'

শাহেদ নামে একজন বলেন, এই পানির বিষয়ে আমি আগেই শুনেছিলাম যে এই পানি অনেক বিশুদ্ধ এবং এসব প্রতিবন্ধীরা তৈরি করেন। ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না। দোকান থেকে মিনারেল ওয়াটার কিনলেও ভেতরে একটা ভয় কাজ করে বিশুদ্ধ হবে কিনা। তাই এই পানি বাণিজ্যিকভাবে আরো ছড়িয়ে দেয়া উচিত।

সনিয়া নামে আরেকজন বলেন, এখানকার পণ্য গুলোও দেখে ভালো লাগছে। বক্স দেখছি ভালই লাগছে কয়েকটা কিনব ভাবছি।

মৈত্রী শিল্পের মার্কেটিং ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নিয়েছেন । আগে আমরা মানুষকে বলতাম প্রতিবন্ধীদেরকে হেল্প করার জন্য এসব কিনতে কিন্তু এখন আর তা বলতে হচ্ছে না কারণ পণ্যগুলো অনেক ভালো ভাবে তৈরি করেন তারা। বোঝার উপায় নেই কারা তৈরি করে।

দর্শনার্থীদের অনেক আগ্রহ মুক্তার পণ্যের প্রতি

তিনি আরো জানান, সরকারের এককালীন ব্যয়ে এই শিল্পের কারখানা তৈরি হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোনো খরচ করতে হচ্ছে না। কারণ শারীরিকভাবে অক্ষম এসব মানুষরা যা তৈরি করেন তা দিয়েই তাদের মজুরি এবং অন্যান্য খরচ উঠে আসে। মেলায় দর্শনার্থীদের অনেক আগ্রহ আমাদের পণ্যের প্রতি।

বাণিজ্যিকভাবে আরো ছড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চিন্তা করছি শুধু বিশেষ কিছু জায়গায় নয় এর বাণিজ্যিক ব্যবহার সবখানেই বৃদ্ধি করব।

মেলার স্টলে দায়িত্বে থাকা রাইসা জানান, মেলার শুরু থেকেই আমরা ভালো বিক্রি করছি। অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবার। শুধু এই স্তরের দায়িত্বে আছি বলে বলছি না সত্যি পণ্যগুলো অনেক ভালো। নিজে ব্যবহার করেই বুঝতে পেরেছি। আসলে নিজের প্রয়োজনেও লাগে আবার তাদেরও হেল্প হয়।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;