ওয়ালটনের কাট-অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা
বিডিংয়ের (নিলাম) মাধ্যমে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের কাট-অফ প্রাইস ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দরে প্রস্তাবকারীরা ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকার শেয়ার কিনবেন।
গত ২ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত টানা ৭২ ঘণ্টা বিডিং হয়। এরপর সোমবার (৯ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ের জন্য ২৩৩ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেন। বিডারদের মধ্যে ২১০ টাকা দরে সবচেয়ে বেশি ১৪ জন বিডার দর প্রস্তাব করেছেন। এরপরে ১৫০ টাকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছেন ১০ জন বিডার।
বিডিংয়ে ২৩৩ জন সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ১২ টাকার মধ্যে দর প্রস্তাব করেন। মোট ১৮৬ কোটি ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৩০০ টাকার দর প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে বিডাররা সবাই এই দরে শেয়ার পাবেন না। তাদের মধ্যে দর প্রস্তাব অনুযায়ী ৩১৫ টাকা থেকে ৭৬৫ টাকা দরে প্রতিটি শেয়ার ইস্যু করা হবে। ফলে বিডিংয়েই শেয়ার দরে পার্থক্য তৈরি হয়েছে ৪৫০ টাকা।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, ওয়ালটন থেকে প্রস্তাবিত দরে শেয়ার কিনতে হবে যোগ্য বিনিয়োগকারীকে। এ ক্ষেত্রে শেয়ারের সর্বোচ্চ দর প্রস্তাবকারী থেকে বিতরণ শুরু হবে, যা ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামবে এবং যে মূল্যে বিতরণ শেষ হবে, সেটাই কাট-অফ প্রাইস হবে।
ওয়ালটনের নিলামে প্রতিটি শেয়ারে সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা থেকে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে নামতে নামতে ৩১৫ টাকায় এসে ৬১ কোটি টাকার চাহিদা পূরণ হয়েছে। ফলে কাট-অফ প্রাইস হয়েছে ৩১৫ টাকা। যিনি ৭৬৫ টাকা দর প্রস্তাব করেছেন তাকে ৭৬৫ টাকা করেই শেয়ার কিনতে হবে। আর যিনি ৩১৫ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন তিনি ৩১৫ টাকায় শেয়ার পাবেন।
এদিকে আর কাট-অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দরে বা প্রতিটি ২৮৩ টাকা করে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকার শেয়ার আইপিও ইস্যু করা হবে। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওয়ালটনের শেয়ার কিরতে আবেদন করতে পারবেন ২৮৩ টাকায়।
গত ৭ জানুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭১৪তম সভায় কোম্পানিটির বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ওয়ালটন হাইটেক বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এই অর্থ কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) দাঁড়িয়েছে ২৪৩.১৬ টাকায় এবং শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ১৩৮.৫৩ টাকায়। বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ২৮.৪২ টাকা। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।