করোনায় পুঁজি ফিরেছে দেড় হাজার কোটি টাকা

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রক্তক্ষরণ চলা পুঁজিবাজারকে রক্ষায় কৌশলে সার্কিট ব্রেকার আরোপের পর কিছু টাকা দরপতন ঠেকেছে বাজারে। ফলে বিদায়ী সপ্তাহে দুদিন পতন আর দুদিন সূচকের উত্থান হয়েছে দেশের দুই বাজারে। আর তাতে বিনিয়োগকারীরা হাতের হারানো পুঁজির দেড় হাজার কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, ২২-২৫ মার্চ সপ্তাহে মোট চার কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আর তাতে চার দিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার ২৫ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৫৮কোটি ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৮ টাকা। যা আগের সপ্তাহের ৩৮০ কোটি টাকা কম। অর্থাৎ ২৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ লেনদেন কম হয়েছে।

তিন সূচকের পথচলা ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৩০ পয়েন্ট আর ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ পয়েন্ট কমে ৯২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০টির, কমেছে ১৯৬টির কমেছে ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। সূচক ও আগের সপ্তাহের চেয়ে কিছু বেশি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৫০১ কোটি ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ৬৫ টাকা।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ১৯৪ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৩২৮ পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে। তাতে লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি ৪৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬২টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৪টি কোম্পানির শেয়ারের। তাতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে ২২ হাজার ৭৬৮কোটি ৬ লাখ ৪ হাজার টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ছিলো একেবারেই কম। যে কয়টি শেয়ার কেনা-বেচা হয়েছে তা প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ ট্রেডাররা তাদের শেয়ার লেনদেন করেছেন। ফলে দিন শেষে কিছুটা লেনদেন হয়েছে।

তারা বলছেন, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দাম কমার উপর সার্কিট ব্রেকারের নতুন ফর্মুলা আবিষ্কার করেছে। আর তাতে দরপতন কিছুটা থেমেছে। তবে এটা বাজারের জন্য খুব বেশি পজিটিভ নয়।