পর্যটন খাতে বিশেষ প্রণোদনা চায় বিটিইএ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় রফতানিকারক কারখানাগুলোর মতই প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরারস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)।

সংগঠনের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর পর্যটন খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি প্রদান করে এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তার জন্য ৬ প্রণোদনার প্রস্তাব করেন।

এগুলো হচ্ছে- ট্যুর অপারেটরদের তিন মাসের অফিস ভাড়া ও কর্মচারীর বেতনের ব্যবস্থা করা, পর্যটন স্পট নির্ভর প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান, পর্যটন শিল্পে যেসব লোন আছে ছয় মাসের কিস্তি মওকুফ, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে নতুন লোন প্রদান করা, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে অনলাইন ট্যুর অপারেটরদের বিনা সুদে লোন প্রদান ও প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদান এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইভেন্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং করানো।

গোটা বিশ্ব আজ করোনাভাইরাস সমস্যার সম্মুখীন। স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শিথিল হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। ক্ষমতাশালী দেশগুলোও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে এই সংকট মোকাবেলায়। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এই মহা-দুর্যোগ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবেলার জন্য যে অসীম ধৈর্য, সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শুনিয়েছেন আশার বাণী, দিয়েছেন দিকনির্দেশনা ও করণীয় ।

ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা প্যাকেজ। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু করোনা যুদ্ধ প্রথম যেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে তাহলো পর্যটন। সারা বিশ্বে প্রথমত বন্ধ করা হয়েছে এয়ারলাইন্স, তার প্রভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইন, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প।

'দ্যা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল' ধারণা করছে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরায় ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি লোক তাদের চাকরী হারাবে। এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে গেলেও, শিল্পটি পুনরুদ্ধারে ১০ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

দ্যা ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম ফোরাম ইনস্টিউটের প্রধান বুলেট বাগসি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ১০শতাংশ। বিশ্বব্যাপী পর্যটন বাজার বছরে গড়ে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে এবং ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি ৬০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যা বছর শেষ হতে হতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশও এই ক্ষতির বাইরে নয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথমেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমান চলাচল ও দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র। যেখানে শুধুমাত্র রিসোর্ট মালিকগণেরই এই শিল্পে বিনিয়োগ প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা।

এছাড়াও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও পর্যটন নির্ভর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগের যোগফল হবে আরো বেশি। শুধুমাত্র রিসোর্ট সমূহেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোক প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত এছাড়াও পর্যটন শিল্পের অন্যান্য শাখায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ লোক। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা হুমকির মুখে।

অন্যান্য শিল্প দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরপরই উৎপাদন শুরু করতে অথবা গতিশীলতায় আসতে পারলেও তেমনটির সম্ভাবনা নেই পর্যটন শিল্পে। পুনরায় পর্যটন শিল্পের গতি ফিরতে সময় লাগবে বছরখানেকেরও বেশি। এখনই পরিকল্পনা না করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এই আপদকালীন সময় সরকারি প্রণোদনা না পেলে, বন্ধ হবে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরি হারাবে অনেক কর্মচারী। দেশে বেকারত্ব বাড়বে।

আর তাই এই খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি প্রয়োজন এবং এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করছে বিটিইএ।

   

১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা

১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবে সরকার। দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড করা হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাস্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জন সিআইপি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যাবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

;

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত দাতা সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেয়া হবে।

ঋণ পাওয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মূলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

এর আগে বেশ কিছু লক্ষ্য পূরণের শর্ত দিয়ে গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাত কিস্তিতে ছাড় করা হবে এই ঋণ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কিস্তিতে আইএমএফ ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ছাড় করে। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ছাড় করা হয় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার।

;

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সংস্থাটির ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

আইএমএফ প্রতিনিধি দল অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারে কতটা অগ্রগতি ও আরও কতটা করতে হবে সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন আইএমএফ প্রতিনিধি দল সরকারের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে। তার সারমর্ম নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে সফররত প্রতিনিধি দলটি।

আইএমএফ প্রতিনিধিদল অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারের কতটা অগ্রগতি এবং আরও কতটা করতে হবে সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ভোগান্তি হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সফর নিয়ে এদিন কথা বলেন অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারও। তিনি জানান, ১০টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আসছে জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

;

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

টিসিবির জন্য ৪৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেল-ডাল কিনবে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও রাইস ব্রান কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার টন মসুর ডাল, এক কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল রয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে নাবিল নাবা ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছ থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬১ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ২৪ টাকা। যা আগে ছিল ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা।

টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১০৩ দশমিক ৭৫ টাকা। যা আগে ছিল ১০৪ দশমিক ৭০ টাকা।

অপর এক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ছয় হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। রাজশাহীর মেসার্স সালমান খুরশীদের কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং খুলনার শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০১ দশমিক ৪০ টাকা। যা আগে ছিল ১০২ দশমিক ৯০ টাকা।

;