কারখানা লে-অফ ঘোষণা চায় বিজিএমইএ

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা কারখানাগুলো লে-অফ ঘোষণার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শকের কাছে এই অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি ড. রুবানা হক।

বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়ে মহামারি রূপ নেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতাগণ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। এছাড়াও ক্রেতাগণ উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট না করা এবং মজুদকৃত ফেব্রিক্স না কাটার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন। করোনাভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করায় মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন বন্ধের ঘোষণা দেয়, তখন কারখানা মালিকের ধারনা ছিল স্বল্প সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়া যাবে।

তাই মালিকগণ শ্রম আইনের কোনো ধরনের ধারা উল্লেখ না করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে ৷ কেউ বা আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধ ঘোষণা দেয়। যদিও এ ধরনের পরিস্থিতিতে ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোনো বিধান নেই।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করছেন। এপ্রিল মাসের মজুরি হিসাবকালে সরকার কর্তৃক ঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণ গ্রহণের আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

এই কঠিন পরিস্থিতিতে যে সকল কারখানা কোনো ধরনের ধারা উল্লেখ না করে এবং যে সকল আইনের ১২ এবং ১৭ ধারার বিধান উল্লেখ করে ঘোষণা দেয়। সকল কারখানাকে লে অফ হিসেবে গণ্য করে আপনার দফতর থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এদিকে বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, করোনার কারণে তৈরি পোশাক খাতের ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। পাশপাশি ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ পণ্য আমদানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।