মার্চের বেতন পেয়েছেন ৯১ শতাংশ পোশাক শ্রমিক

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তৈরি পোশাক খাতের ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯১৭ জন শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন, যা মোট কারখানার ৯১.০৭ শতাংশ।

শনিবার (১৮ এপ্রিল) তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএর তথ্যমতে, বর্তমানে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানায় কর্মরত ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৪১৭ শ্রমিক। এ পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন ২৩ লাখ ৭০ হাজার ৯১৭ জন। এ হিসেবে এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি এক লাখ ১ হাজার ৫০০ গার্মেন্টস শ্রমিক।

সংগঠনটি জানিয়েছে, বিজিএমইএর সদস্য দুই হাজার ২৭৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭১টি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে যা মোট কারখানার ৯১ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া আর বাকিদের বেতন পরিশোধ প্রক্রিয়াধীন। সে হিসেবে এখনো ২০৩টি কারখানার শ্রমিক বেতন-ভাতা পাননি।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘বেশিরভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। যারা বেতন দেননি তাদের অধিকাংশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আর্থিক সমস্যা, ব্যাংকিং জটিলতা ও চলমান পরিস্থিতিতে যাতায়াতের কারণে বেতন পরিশোধ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে আগামী ২০ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক মার্চে বেতন পাবেন বলেন তিনি আশ্বাস দেন।’

এদিকে, বেতন না পেয়ে করোনাভাইরাস উপেক্ষা করেও মার্চ মাসের বেতন-ভাতার দাবিতে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

অন্যদিকে, শ্রমিকদের মজু‌রি না দেওয়া গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেফতারের দা‌বি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামক একটি সংগঠন। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দা‌বি জানান।

এর আগে ১৩ এপ্রিল এক বিবৃতিতে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের মার্চের বেতন ১৬ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।