কারখানা ভাঙচুরকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে তৈরি পোশাক খাত এখন বিপর্যস্ত। একের পর এক চলমান ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন ক্রেতারা। এমনকি অনেক ক্রেতা দেউলিয়াও হয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম স্পর্শকাতর সময়ে শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে ব্যবহার করে পোশাক শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন বলে দাবি করেছেন পোশাক মালিকরা।

বুধবার (২০ মে) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়ে‌ছেন।

সংগঠন দু‌টি বলছে, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে গত ক’দিন ধরে বেতন-ভাতা পরিশোধের আন্দোলনের নামে যেভাবে পোশাক কারখানা ভাঙচুর করছে, তাতে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে গভীর উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক সমস্যা কোভিড-১৯ এর প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতির গতি প্রকৃতি নড়ে গেছে, যার প্রত্যক্ষ প্রভাবে দেশের প্রধান রফতানিখাত তৈরি পোশাক শিল্পখাতও বিপর্যস্ত। ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন। এমনকি অনেক ক্রেতা দেউলিয়াও হয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এরকম একটি স্পর্শকাতর সময়ে শ্রমিকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদেরকে ব্যবহার করে শিল্পে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। যা মোটেও কাম্য নয়। আবার, এই আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারীরাও রয়েছেন, যারা প্রকৃত শ্রমিক নন। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে ছোট ও মাঝারি কারখানার পাশাপাশি বড় বড় কমপ্লায়েন্ট পোশাক কারখানা, যাদের কর্মপরিবেশ ভালো, বেতন-ভাতাও নিয়মিত পরিশোধ করা হয়, সেগুলোও আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করে শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এই নৈরাজ্যজনক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবং এই অরাজকতা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সংগঠন দুটি।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে, বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে বেতন বোনাস ইস্যুতে কারখানা ভাঙচুর করার যৌক্তিকতা নেই। কারণ, সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রি-পক্ষীয় সিদ্ধান্তের আলোকে কারখানাগুলো সংকটের মধ্যে থেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে। কিছু কিছু কারখানায় অবশ্য ব্যতয় ঘটছে। এই কারখানাগুলোর অনেকেরই হাতে এখন কোনো কাজ নেই। তারপরও কারখানাগুলো এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো, ত্রি-পক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন-বোনাস পরিশোধ করা সত্ত্বেও অনেক কারখানা ভাঙচুরের সম্মুখীন হচ্ছে, যা শিল্পের জন্য একটি অশনি সংকেত। এটি ভবিষ্যতে উদ্যোক্তাদেরকে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নিরুৎসাহিত করবে বলে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে।

উল্লেখ করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান রফতানিখাত পোশাক শিল্পসহ রফতানিখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সহজ শর্তে ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হলেও অনেক উদ্যোক্তা আবেদন করেও এখনও ঋণ পাননি। ঋণ আবেদনের জন্য গতকাল পর্যন্ত বিজিএমইএ এর সনদ নিয়েছে ১ হাজার ৩৭৭টি কারখানা এবং বিকেএমইএ এর কাছ থেকে সনদ নিয়েছে ৫১৯টি কারখানা।

পরিশেষে, শিল্প ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক। শিল্প ভালো থাকলে শ্রমিক ভালো থাকবে। শ্রমিক তার জীবিকার উৎস ধ্বংস হতে দিবে না, এটাই কাম্য। মঙ্গলবার (১৯ মে) পর্যন্ত ডিবিএল, ওপেক্স, মেডলার, ইমপ্রেস, ভিশন, ডিজাইনটেক্স, সেনটেক্স, সিভিক এপারেলস লি. ও ফকির নিটওয়্যারসহ অনেক পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। বেলিসিমা ও সিভিক এপারেলস লি. এর মালিকদেরকে সরাসরিভাবে অপদস্থও করা হয়েছে, যা একান্তভাবে অনভিপ্রেত। এসব আইন বহির্ভূত ঘটনায় বহিরাগতদেরও উষ্কানি রয়েছে।

উপরোক্ত ঘটনাগুলোর উপযুক্ত ছবি, তথ্য ও পর্যাপ্ত প্রমাণ বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর হাতে রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি চলমান থাকলে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি ও ভাঙচুরের কারণে কারখানা ও ব্যবসা বন্ধ হলে মালিক-শ্রমিক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বিশেষ করে লাখ লাখ শ্রমিক ভাইবোন কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

এতে করে সার্বিকভাবে অর্থনীতি পিছিয়ে পড়বে, সেইসঙ্গে সামাজিক ভারসাম্যও বিনষ্ট হবে, যা মোকাবিলা করা জাতির পক্ষে অত্যন্ত দুরূহ। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলায় লিপ্ত দুষ্কৃতিকারীদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ ও জোর দাবি জানায়। পাশাপাশি, এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকেও জোরালো পদক্ষেপ একান্তভাবে আশা করছে মালিকরা।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মনে করে, কোনো কারণে তৈরি পোশাকখাত ধ্বংস হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা। কারণ, তারা কর্মহীন হয়ে পড়লে তাদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব, এমন কোনো খাত এখনও গড়ে উঠেনি। তৈরি পোশাক শিল্পখাতে স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে সবার সহযোগিতা চেয়েছে সংগঠন দুটি।

গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি: প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবীদের কাজের সমন্বয় থাকা জরুরি।

সোমবার (২৭ মার্চ) বুয়েটে হাইড্রোকার্বন ইউনিট এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের “জ্বালানি গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি” সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাশ্রয়ী মূল্য আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদেরকেই সমাধান বের করতে হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কারিগরি সংস্থা হিসেবে হাইড্রোকার্বন ইউনিট তৈল ও গ্যাসের মজুদ ও সম্ভাব্য উৎস নিরূপন ও হালনাগাদকরণ; জ্বালানি সংক্রান্ত ডাটাবেস এর হালনাগাদকরণ ও সম্প্রসারণ; উৎপাদন বন্টন চুক্তি এবং যৌথ উদ্যোগ চুক্তি বিষয়ে মতামত প্রদান; জ্বালানির অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ; তৈল ও গ্যাসের অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উৎপাদন এর পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা; জ্বালানি খাতের সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ করে । এসব খাতে সত্যিকারের গবেষণা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ।

তিনি আরও বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সাথে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমঝোতা গবেষণার ক্ষেত্রকে আরো সম্প্রসারিত করবে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবস্থা, ভূর্তকি, সেচ, হাইড্রোজেন ফুয়েল, ফসিল ফুয়েল, নাবায়নযোগ্য জ্বালানি, এনার্জি ইকোনমিক্স ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ডঃ মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জব্বার খান, জ্বালানি ও টেকসই গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফারসীম মান্নান মোহাম্মেদি ও হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মিজ তাহমিনা ইয়াসমিন বক্তব্য রাখেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ মার্চ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড- এর ৪৯৪তম বোর্ড সভায় বেলাল আহমেদ ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১৭ সাল হতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক- এর পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বেলাল আহমেদ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৮ সালে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

তিনি একজন তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা। বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইউনিটেক্স গ্রুপের ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, ইউনিটেক্স কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, ইউনিটেক্স এলপি গ্যাস লিমিটেড, ইউনিটেক্স পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, ইউনিটেক্স সিমেন্ট লিমিটেড এবং ইউনিটেক্স স্টিল মিলস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জনাব বেলাল আহমেদ ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি)-এ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের টেক্সটাইল, স্পিনিং, এলপি গ্যাস, পাট ও খাদ্যদ্রব্য সহ বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।

;

এক বছরে রিজার্ভ কমেছে সাড়ে ২৯ শতাংশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমছেই। গত এক বছরে এ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। গত বছরের ২২ মার্চ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল যেখানে ৪৪.২৮ বিলিয়ন ডলার, গত ২২ মার্চ তা কমে নেমেছে ৩১.৩০ বিলিয়ন ডলারে। এক বছরে রিজার্ভ কমার হার ২৯.৩১ শতাংশ। অর্থনীতির সর্বশেষ সূচক দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান হচ্ছে না। যেটুকু আসছে তা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের এলসি খুলতে পারছে না। তবে, সরকারি ব্যাংকগুলো সরকারের বিশেষ কেনাকাটায় এলসি খুলছে। সমস্যায় পড়ছে দায় পরিশোধের সময় এসে। সরকারি ব্যাংকগুলোর এমনও এলসি আছে যা পাঁচ থেকে ছয়বার ডেফার্ড (দায় মেটানোর জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে) করতে হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাংকগুলোর সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। একই সাথে বারবার সময় বাড়াতে গিয়ে বাড়তি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি ব্যাংকের এক জন কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন, সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থান তারা করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সরকারি কেনাকাটার দায় মেটানোর জন্য যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন তা পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক আর আগের মতো রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্কতার সাথে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এখন ডলার বিক্রি শুধু সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যেই সীমিত রাখা হয়েছে। এর পরেও চলতি অর্থবছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে। ৯ মাসের কম সময়ে এর আগে এত বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি আর কখনো করতে হয়নি। এর অন্যতম কারণ হলো ব্যাংকগুলো চাহিদা অনুযায়ী ডলার সংস্থান করতে পারছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৪.৪৭ শতাংশ। একই সাথে রফতানি আয়ও কাক্সিক্ষত হারে বড়েনি। গত ফেব্রুয়ারিতে রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৮২ শতাংশ, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪.৫৪ শতাংশ। আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শতভাগ এলসি মার্জিন-ব্যবস্থা চালু করা, বড় অঙ্কের পণ্য আমদানিতে তদারকি জোরদার করা এবং বিলাসজাত পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগে পাঁচ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আমদানিতে তদারকি করা হতো। এখন তিন মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে গেলেই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। পণ্য আমদানির যৌক্তিক কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতে হচ্ছে। সবমিলেই আমদানির জন্য আমদানি ঋণপত্র খোলার হার আগের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত বছরের জুলাই-জানুয়ারিতে পণ্য আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল যেখানে ৪৬.২৩ শতাংশ, সেখানে চলতি অর্থবছরের একই সময়ে কমে হয়েছে ঋণাত্মক ৫.৬৬ শতাংশ। কিন্তু বকেয়া এলসির দায় পরিশোধ করতে গিয়েই সামগ্রিক ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলেই রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়ে গেছে।

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সবধরনের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর পাশাপাশি ডলার সঙ্কটের কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৮৬ টাকায় ডলার পাওয়া যেত, এখন সেখানে ১১০ টাকার বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে প্রতি ডলারে। এর ফলে ব্যবসা ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে সামগ্রিক ব্যয়। আর এ ব্যয় সংস্থান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে অবস্থা চলছে তা থেকে উত্তরণের একটাই পথ; ডলারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রথমেই হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ডলার পাচার বন্ধে সবধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশী শ্রমিকের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে হবে। একই সাথে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

;

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিটেন্স তোলা যাবে বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিটেন্স তোলা যাবে বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিটেন্স তোলা যাবে বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন সারাবিশ্ব থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স গ্রহণ করা যাচ্ছে বিকাশের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। ফলে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বিকাশের ৩,৩০,০০০ বেশী এজেন্ট পয়েন্ট থেকে অনায়াসেই প্রবাসীদের প্রিয়জনেরা রেমিটেন্সের টাকা গ্রহণ করতে পারছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।

সম্প্রতি, ক্রস-বর্ডার লেনদেন ও পেমেন্টের ক্ষেত্রে বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক এনসিসি ব্যাংক এবং দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ যৌথভাবে এই ‘এজেন্ট অ্যাসিস্টেড মডেল (পিন ভিত্তিক রেমিটেন্স)’ সেবাটি চালু করেছে।

এই সেবার আওতায় ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর আন্তর্জাতিক লেনদেন সেবা গ্রহণকারী গ্রাহক তার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টের সহায়তায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র, সক্রিয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং মানি ট্রান্সফার কন্ট্রোল নম্বর (MTCN) দিয়ে সহজেই রেমিটেন্সের টাকা গ্রহণ করতে পারবেন গ্রাহকরা। নতুন এই সেবার সেটেলমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে এনসিসি ব্যাংক৷

উল্লেখ্য, ‘হিউম্যান এটিএম’ খ্যাত ৩,৩০,০০০ বিকাশ এজেন্টের দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করে থাকে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে সুদূরপ্রসারী এই যৌথ উদ্যোগ দেশের রেমিটেন্স গ্রহণকারী গ্রাহকদের আরও স্বস্তি এনে দেবে এবং বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণকে আরো উৎসাহিত করবে।

এই সেবা চালু উপলক্ষ্যে, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর মাধ্যমে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের সর্বনিম্ন ১০,০০০ টাকা গ্রহণ করলে ১০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক দিচ্ছে বিকাশ। একজন গ্রাহক প্রতিমাসে একবারই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। অফারটি চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত।

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ডিরেক্টর গৌরব ইয়াদাভ বলেন, “দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোই মুখ্য। এই কৌশলগত উদ্যোগ উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্মকে অর্থ লেনদেনে আরো বেশী সক্ষম করে তুলবে। আরো উদ্ভাবনী আর্থিক অন্তর্ভুক্তির নিশ্চিত করতে গ্রাহককে সরাসরি তার প্রিয়জনের পাঠানো অর্থ পৌঁছে দিয়ে তাদের মানসিক প্রশান্তি দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।”

এ সেবা চালু প্রসঙ্গে বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ। প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজ করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিকাশ। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাথে এই যৌথ উদ্যোগ বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর প্রক্রিয়াকে বেগবান করে তুলবে, একইসাথে রেমিটেন্স প্রেরণকারী ও গ্রহীতা উভয়ের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।”

এনসিসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ বলেন, “বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় রেমিটেন্স ব্যাংক হিসেবে, এনসিসি ব্যাংকের লক্ষ্য হল ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন পেমেন্ট সুবিধা ও রেমিট্যান্স সেটেলমেন্ট নিশ্চিত করা। এই সেবা গ্রাহকদেরকে বৈধ পথে নিরবচ্ছিন্নভাবে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করবে। এই যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে অনুকরণীয় পেমেন্ট মডেল হিসেবে। সর্বোপরি, উদ্ভাবনী উপায়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যাত্রাকে আরো বেগবান করবে। এনসিসি ব্যাংক এই অনন্য উদ্যোগের সার্বিক সাফল্য কামনা করছে।”

;