স্টার্টআপের আইপিওর প্রক্রিয়া সহজ করা হবে: বিএসইসির চেয়ারম্যান

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলা

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলা

স্টার্টআপগুলোর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিএসইসি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলস অনুমোদন দেয়। এই রুলসের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই অনেক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনেকগুলো বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারগুলো আইপিওর মাধ্যমে স্টার্টআপের নির্গমন (এক্সিট) সম্ভাবনা বাস্তবায়ন এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারী পেতে সহায়তা করে। আমরা আমাদের স্টার্টআপগুলোর আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা সিস্টেম তৈরিতে অবশ্যই কাজ করবো।

বিজ্ঞাপন

রোববার(২১জুন) অনলাইনে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী “পোস্ট বাজেট ডিসকাশন অন জিডিপি কন্ট্রিবিউশন বাই স্টার্টআপস” শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমএমইদের জন্য ঊভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক বোর্ড করে দিয়েছি। যারা ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে মার্কেট থেকে টাকা তুলতে চায়, তারা এসএমইতে আবেদন করতে পারে। আশা করি ডিএসই আগামি ২-৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে এসএমই বোর্ডকে চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে। সেখানে ছোট ছোট উদ্যোক্তারা আসতে পারবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভেঞ্চার অব ক্যাপিটাল নিয়ে আজকের আলোচনায় কেউ একজন বলেছেন আইনে কনফ্লিক্ট আছে। এ বিষয়ে আইনে কি সমস্যা আছে, তা জানালে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যা দূর করে দেব। আমাদেরকে শুধু জানান কোথায় সমস্যা। এটা মেইলেও জানাতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের যেহেতু এসএমই বোর্ড হচ্ছে, সেহেতু ভেঞ্চার ক্যাপিটালগুলোর যদি অর্থায়নের দরকার পড়ে, তা আমাদেরকে বলতে পারেন। আমাদের সহযোগিতা করার সুযোগ থাকলে করব।

কমিশনে আশার পরে ফারইস্ট এবং মিডলইস্ট থেকে ফান্ডগুলো সরে যাওয়া দেখেছেন বলে জানান শিবলী রুবাইয়াত। তিনি বলেন, ফারইস্টের ফান্ড বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে, আর মিডলইস্টের ফান্ড বিশেষ করে ইসলামি বন্ডে (সুকুক) বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আমি পড়শু দিন আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড নিশ্চিত করেছি। যা বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রজেক্টে আসবে।

আমি দেখেছি, ওখানে বিলিয়নস অব ডলার আছে। তারা আসতে চায়, কারণ আমরা যদি সুকুকে ৭-৮ শতাংশ সুদ দেই, তাতে তারা খুবই খুশি। তারা ফান্ডের নিশ্চয়তা চায়। সাধারন বীমা এ কাজটা করবে। এই কাজের কিছু অংশ ভেঞ্চার ক্যাপিটালও শেয়ার করতে পারে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যাতে টাকার জন্য কোন সমস্যায় না পড়ে, সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আলোচনায় ইন্স্যুরেন্স ফান্ড, ব্যাংকের ফান্ড বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফান্ড নিয়ে যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হয়েছে, তা হয় মূলত বোর্ডে যারা থাকে তাদের জন্য। তারা ফাইন্যান্সিয়াল বিভিন্ন ইস্যু বা নতুন নতুন এরিয়া, নতুন নতুন ধারনা সর্ম্পক্যে বুঝতে পারে না। আমাকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগ করাতে সাধারণ বীমা পর্ষদকে বোঝানোর ক্ষেত্রে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমরা মসলিন ক্যাপিটালে সম্ভবত ৩-৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম।

এখন ই-কমার্সের যুগ উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে। না হলে দেশের উন্নতি পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং এখানে আমাদেরকে অর্থায়ন করতে হবে।

এখাতের সংগঠন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিষ্টস ফোরাম যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। বৈঠকের সভাপতিত্ব ও মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান শামীম আহসান।