মির্জাপুরে শিক্ষার্থী সংকটে কিন্ডারগার্টেন স্কুল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলার ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আমার চারটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল। করোনা পরিস্থিতির আগে সব শাখা মিলিয়ে আমার প্রায় সাড়ে ৪শ’ শিক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে একটি ছিল নতুন শাখা। ওই শাখায় কেবলই শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু করোনা এসে সব থামিয়ে দেয়। করোনা পরিস্থিতির এই দেড় বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাবদ আমি প্রায় ২ লাখ টাকার মতো দায়গ্রস্থ হয়ে পড়েছি। দুটি শাখা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। বাকি দুটো শাখা বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। ভেবেছিলাম স্কুল খুললে হয়তো শিক্ষার্থী মুখর হয়ে উঠবে আমার বিদ্যালয়গুলো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। তিনভাগের দুই ভাগ শিক্ষার্থীই আমরা হারিয়েছি। সামনে কি হবে জানিনা। শিক্ষার্থী হারিয়ে এভাবেই দুরবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের কবি নজরুল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম।

উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল আইডিয়াল স্কুলের পরিচালক আলম হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী ছিল। স্কুল খোলার পর তিনভাগের দুই ভাগ শিক্ষার্থীই আর বিদ্যালয়ে ফিরেনি। কোন কোন শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনমজুরি করছে বলেও জেনেছি।

মির্জাপুর পৌরসভা এলাকার নূর আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন এর প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, করোনা আগে আমার প্রতিষ্ঠানে ৮০ জনের উপর শিক্ষার্থী ছিল। স্কুল খোলার পর মাত্র ৫-৬ জন শিক্ষার্থী পেয়েছি। ধার দেনা করে প্রতিষ্ঠান বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি সামনে কি হবে জানি না।

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ বিরতি শেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলার অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল প্রধানরা। ফলে শিক্ষার্থী সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার দেড় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন সংশ্লিষ্টরা। এ খাতে সম্পৃক্তদের দাবি করোনাকালে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী হারিয়েছেন তারা।

উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন সূত্রে, করোনা পরিস্থিতির আগে উপজেলার দেড় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫-১৮ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো। আর এ কাজে শিক্ষক কর্মচারি মিলে প্রায় দুই হাজার মানুষ নিয়োজিত ছিল। এখানেই ছিল তাদের জীবন-জীবিকা। কিন্তু করোনার কষাঘাতে ওলট-পালট হয়েছে মির্জাপুরের কিন্টারগার্টেন শিক্ষা ব্যবস্থা ও এর সাথে সম্পৃক্তরা। অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীই বেকার হয়েছেন, কেউবা আবার এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান বাধ্য হয়েছেন প্রাণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দিতে। তবে ধার দেনা করে হলেও প্রতিষ্ঠান ধরে রাখার চেষ্টা করছেন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

মির্জাপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও জ্ঞানজ্যোতি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান মো. আবুল কাশেম খান বলেন, সারাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলা থাকায় করোনাকালে আমরা বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী হারিয়েছি। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কোন
সহায়তাও পাইনি। ফলে মির্জাপুরে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রনাধীন নয়। তাই তাদের ব্যাপারে কোন মন্তব্য নেই। তবে বন্যা পরিস্থিতির কারনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সন্তোষজনক।

   

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণের সময়সীম ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত (বিলম্ব ফি ছাড়া) বাড়ানো হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে পর্যন্ত।

এদিকে বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণ চলবে ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২৫ এপ্রিল। তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ফরম পূরণের সময়সীমা বাড়িয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

;

এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিলম্ব ফি ছাড়া ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম আগামী ২৬ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ৫ মে পর্যন্ত বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ করতে পারবে। ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে। বিলম্ব ফি সহ ফরম পূরণ করা যাবে ৭ থেকে ১২ মে পর্যন্ত। আর ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে। ‘সোনালি সেবা’র মাধ্যমে ফি পরিশোধের সবশেষ তারিখ ১৩ মে পর্যন্ত পুনর্নির্ধারিত করা হলো।

বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফরম পূরণ ফি নেওয়া হবে।

আর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৩০ জুন।

 

;

তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা

তীব্র তাপপ্রবাহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে।

এর আগে একই কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।  

 

;

তাপদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তাপদাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপদাহ ও আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

;