অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘অস্ট্রেলিয়া এডুকেশন রোড শো-২০২৪’।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের রেনেসাঁ হোটেলে এই মেলার আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন টেকনোলজি কোম্পানি স্টাডিনেট।

মেলাটিতে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডিলেড, ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া , ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া, ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটি, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি , ইসিইউ এবং ন্যাভিটাস সহ আরো অনেকে।

মেলাটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, ভর্তির প্রক্রিয়া এবং স্কলারশিপের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন। অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানতে পেরে অনেকেই অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার অগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও মেলাতে ব্রিটিশ কাউন্সিল এর পক্ষ থেকে আইলটিএস এর প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা হয়।

এছাড়াও যারা এই মেলায় উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাদের জন্যও রয়েছে সুবিধা। তারা স্টাডিনেটের বনানী, ধানমন্ডি এবং চট্টগ্রাম অফিসে রোববার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। স্টাডিনেটের আয়োজনে এ ধরনের মেলা শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে সরাসরি তথ্য পাওয়ার একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে কাজ করে, যা তাদের ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানাগেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে কাজ করছে স্টাডিনেট। অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দিতে তাদের রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ও দক্ষ টিম। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনার পথ আরো সহজ করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে প্রতি বছর তারা নানা রকম আয়োজন করে থাকে যার অংশ হিসাবেই এই এডুকেশন রোড শো আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা।

নির্দিষ্ট সময়ে প্রাথমিকের বই বিতরণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বন্যা আক্রান্ত ১১টি জেলায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৩২ কোটি টাকা। আমরা সেটা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছি।

প্রাথমিকের শিক্ষা কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।

শুরু হয়েছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষ না করতে পারলে শিক্ষা বোর্ড দায়ী থাকবে না বলে জানানো হয়। শিক্ষা বোর্ডসমূহের আওতাধীন দেশের সকল উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভর্তি ওয়েবসাইটের https://xiclassadmission.gov.bd এর College Login প্যানেলে (কলেজের ইআইআইএন নম্বর ও পাসওয়ার্ড) ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ে শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজ অনলাইনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে উদ্ভূত জটিলতার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তার নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২—এর ১২ (১) ধারা অনুযায়ী প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়—কে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিম্নোক্ত শর্তে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

শর্তগুলো হলো—ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে তাঁর নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ৪ (চার) বছর হবে, উপর্যুক্ত পদে তিনি তাঁর বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি পাবেন, তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।