৫ বছরের মধ্যে সব প্রাথমিকে মিড ডে মিল চালুর আশা
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলানগরস্থ বিআইসিসি’র মিডিয়াবাজার মিলনায়তনে ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আজকের আলোচনায় শিশুদের মিড ডে মিল নিয়ে কথা এসেছে। সরকার এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে। ইতোমধ্যে ১৫০টি উপজেলাকে মিড ডে মিলের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প একনেকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল চালু করা হবে।
শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে পাঠ দিতে এবং শিক্ষার পরিবেশ আরও সুন্দর করতে ঢাকা মহানগরীতে ৪৬টি দৃষ্টিনন্দন স্কুল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘৪৬টির মধ্যে ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। চলতি মাসে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করা হবে। এসবের একটির সাথে অন্যটির কোন মিল নেই। প্রতিটি স্কুল বিভিন্ন আঙ্গিকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো হয়েছে।’
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিতে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিয়েছি। সেসব প্রতিষ্ঠানে শরীর চর্চার শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। এখানে চারুকলার শিক্ষকের পদ তৈরীর বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলিং বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় যেন শিক্ষার্থীরা ঝরে না পড়ে সে লক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। উপবৃত্তির সুফল বা সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। লক্ষ্য করা গেছে, উপবৃত্তির জন্য এক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্যস্কুলে লেখাপড়া চলমান রাখে।
তিনি আরো বলেন, উপবৃত্তিকে আমরা ইনসেনটিভ বলতে পারি। এ ইনসেনটিভ দেওয়া হয় মূলত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। প্রকৃতপক্ষে উপবৃত্তির টাকা অপ্রতুল, এই টাকা বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।