আ.লীগের দ্বন্দ্বের সুযোগে ‘লাঙ্গলের দুর্গ’ উদ্ধারে মরিয়া জাপা



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি (জাপা) মানে রংপুর। আর রংপুর মানে এরশাদ। লাঙ্গলের দুর্গ বলতেও বুঝায় রংপুরকে। কিন্তু সেই রংপুরেই এখন অস্থিত্ব সংকটে এরশাদের জাতীয় পার্টি। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও এরশাদপ্রীতি কমে যাওয়ায় ভাটা পড়েছে লাঙ্গল দুর্গে। বর্তমানে রংপুর অঞ্চলে অব্যাহত উন্নয়নে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ফলে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে জাতীয় পার্টির (জাপা)। বিকল্প শক্তি হিসেবে রংপুরে কদর বেড়েছে আওয়ামী লীগের।

লাঙ্গলের দুর্গে কদর বাড়লেও আওয়ামী লীগের মধ্যে সঙ্গে যোগ হয়েছে দলীয় বিভেদ, কোন্দল আর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। দলটির সেই দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে হারানো আসন ফিরে পেতে অংক কষতে শুরু করেছে জাতীয় পার্টি। সযোগে রয়েছে বিএনপিও।

১৯৯১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে ভোটের লড়াইয়ে জাতীয় পার্টি এগিয়ে থাকলে হোচট খায় ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে। ১৯৯১ সালে বিভাগের ৩৩টি আসনে- জাতীয় পার্টি ১৭টি, আওয়ামী লীগ ৯টি, বিএনপি একটি। আর অন্যান্য দল পেয়েছিলো ছয়টি আসন।

১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি ২১টি, আওয়ামী লীগ ৮টি, বিএনপি ৩টি আসন পায়। আর অন্যান্য দল পায় একটি আসন। ২০০১ সালে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের আসন কমে আর বাড়ে বিএনপির। সে সময় বিএনপি ৯টি, আওয়ামী লীগ ৬টি, জাতীয় পার্টি ১৪টি আসন পায়  এবং অন্যান্য দল ৪টি আসন পেয়েছিলো।

২০০৮ সালে বিএনপির ঘরে একটি আসন না জুটলেও বাড়ে আওয়ামী লীগের। ওই বছর আওয়ামী লীগ ১৯টি, জাতীয় পার্টি ১৩টি এবং অন্যান্য দল একটি আসন পায়। আর সর্বশেষ ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। সে সময় আওয়ামী লীগের ঝুঁড়িতে বিভাগের ২২টি আসন চলে যায়। আর জাতীয় পার্টি পায় সাতটি। আর অন্যান্য দল পায় ৪টি আসন।

এবার রংপুর জেলার সংসদীয় ৬টি আসনের মধ্যে বর্তমানে রংপুর-১ ও রংপুর-৩ আসনে এরশাদের জাপা ছাড়া ৪টিতে আওয়ামী লীগের অধিপত্য। একারণে রংপুরে আবারো আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ নিয়ে গঠিত রংপুর-২ আসনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রংপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক। রাজনৈতিক ডামাডলে গত নির্বাচনে এরশাদের নাটকীয় সিদ্ধান্তে এই আসনটি হারিয়েছে জাতীয় পার্টি। এবার সেই হারানো আসন ফিরে চায় তার দলটি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে এবারও মনোনয়নের প্রত্যাশায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বর্তমান এমপি ডিউক চৌধুরী।

ডিউকের মত নৌকার টিকেট নিয়ে নির্বাচন করতে চান সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনিছুল হক চৌধুরীর ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান টুটুল চৌধুরী ও শান্ত চৌধুরী। এছাড়া প্রচার প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন পৌর মেয়র উত্তম কুমার সাহা ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ নওয়াজ, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু

একদিকে আনিছুল হক চৌধুরীর পরিবারের বিরোধ। সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের প্রকাশ্য বিভক্তি- সব মিলে  এই আসনে বেসামাল আওয়ামী লীগ।

বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য এসব প্রার্থীদের মতবিরোধ, পাল্টাপাল্টি অবস্থান, দুর্নীতি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে- এ আসনে এখন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগই।

এমপি ডিউক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগের চেয়ে দলীয় নেতাদের অভিযোগের পাল্লাই ভারি। এনিয়ে মাথা নেই এমপি ডিউকের। বরং কেউ দুর্নীতির সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ দিতে পারলে দল থেকে পদত্যাগ করবেন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীদের।

ডিউট চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ-দ্বন্দ্ব নেই। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই দল অন্য নেতারাও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করতেই পারেন। এটাতো দলে বিভক্তি নয়। বরং তফসিল ঘোষণা হলে দলের পক্ষে থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তার পক্ষেই সবাই কাজ করবে।

এ সময় বর্তমান এই এমপি বলেন, আমিতো ঢাকায় পড়ে থাকি না। এলাকার মানুষের পাশেই আছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিচ্ছি। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকিরা সবাই আমার পক্ষে। 

বদরগঞ্জ পৌর এলাকার নারী অধিকার কর্মী আফরোজা সরকার বলেন, এমপি হিসেবে ডিউক চৌধুরী ব্যতিক্রম। তিনি সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আগে সাধারণ মানুষের দেখা করেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নতুবা হোটেলে বসে বসে মানুষের খোঁজখবর নেন। দিন-রাত পথেঘাটে সবার সাথে দেখা হলে হাসি মুখে হাত বাড়িয়ে দেন। মানুষের সাথে যেমন সংখ্যতা তৈরি করেছেন। তেমনি এলাকার উন্নয়নও করেছেন তিনি।

তারাগঞ্জ বাজার এলাকার তরুণ ভোটার মুন্না মিয়া বলেন, ভোট এলে তো সবাই পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট শেষেও তো কাউকে আর দেখা যায় না। গত নির্বাচনে ভোটে দিতে পারি নি কিন্তু এমপি পেয়েছি। এবার ভোট দিতে চাই। যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চাই। এ সময় তিনি জানান, বদরগঞ্জে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভোট হলে এবার জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

অন্যদিকে বদরগঞ্জ নাগেরহাট এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আবদুস সালাম সরকার জানান, মাঠের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগে কোন্দল রয়েছে। এরশাদের জাতীয় পার্টিতেও রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। এই সুযোগে ভিতরে ভিতরে হারানো আসন ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টি। ক্ষমতাসীনদের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে এগিয়ে রয়েছে বিএনপিও।

জাতীয় পার্টির চরম দুর্বলতা আর আওয়ামী লীগের বিভাজনে সুযোগ নিতে চায় বিএনপি। ক্ষমতাসীনদের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে এগিয়েও রয়েছে দলটি। এই আসনে প্রতিনিধিত্ব করার রেকর্ডও রয়েছে বিএনপির। এ কারণে তাদের সম্ভাবনা বেড়েছে। বিএনপি থেকে এখানে রয়েছে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী।

জামায়াতের একমাত্র প্রার্থী দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি। তাই তার নির্বাচন করার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে। এ কারণে জামায়াতের একটি বড় অঙ্কের ভোট বিএনপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিএনপির উপজেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শাহান, বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কমল লোহানী এবং জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হতে চান আসাদুজ্জামান চৌধুরী সাবলু, অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন চৌধুরী ও সাবেক এমপি আনিসুল ইসলাম মন্ডল। তবে জাপা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সাবলু চৌধুরীকে প্রাথমিক সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরেই মধ্যে মাঠে ঘাটে গণসংযোগও শুরু করেছেন তিনি।

জাপার সম্ভাব্য এই প্রার্থী বলেন, বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ এরশাদের দুর্গ ছিলো, এখনো রয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণের রায়ে এরশাদ মনোনীত প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মহাজোটগত নির্বাচন করলেও এই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও জাসদের (আম্বিয়া-প্রধান) আবদুস সাত্তার, জাসদের (ইনু) কুমারেশ রায়, জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য জয়চন্দ্রসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থীও  এই আসনের ভোট যুদ্ধে।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;