চাঁদপুর-১: পুরনো নাকি নতুন জুটি?



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চাঁদপুর-১ আসন। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর-১ আসন। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৫১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৭১৩ জন। এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই। এখন পর্যন্ত দুই দল মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারেনি। তাই দোলাচলে রয়েছে প্রধান দুই দল। উঁকি দিচ্ছে নতুন মুখ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) নৌকা প্রতীকে মনোনয়নের চিঠিতে দুইজনের নাম থাকায় নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নতুন মুখ হল সাবেক এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেনের। তবে এক নম্বরে দেখা গেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নাম। তাকেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে মনোনয়নের চিঠি তুলে দেয়া হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে বইছে আলোচনার ঝড়।

অন্যদিকে বিএনপিতে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে ‘মিলন নাটক’। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আ ন ম এহসানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সরোয়ার আলমের আদালতে মিলনকে হাজির করা হয়। ওই সময় তার ১৪ মামলায় জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/26/1543235818402.jpg

আদালত মিলন ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর মিলনকে নেয়া হয় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজমের আদালতে। সেখানে দু’টি মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। তবে আদালত সেসব মামলায়ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মিলনের বিরুদ্ধে বর্তমানে চাঁদপুরের বিভিন্ন আদালতে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টিতেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। মামলাগুলোর মধ্যে একটি খুনের। বাকিগুলো চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত।

বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর এসব মামলা দায়ের করা হয়। মিলন ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে চাঁদপুর-০১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি প্রতিমন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এরপর মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। চলতি নভেম্বর মাসে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেন।

এদিকে তার অনুপস্থিতিতে কচুয়া উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের কমিটিগুলোকে সক্রিয় করে তোলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি মোশারফ হোসেন। তিনি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত হোসেন কোকোর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় ঘনিষ্ঠতা ছিল এই মোশারফ হোসেনের। সেই সূত্র ধরে বিএনপি থেকে মিলনের বিকল্প হিসেবে মোশারফ হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।

কচুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি মহিউদ্দিন জানান, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমা দিয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন। দল থেকে তিনি মনোনয়ন পাবেন ইনশাআল্লাহ।

কচুয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহম্মেদ সেলিম বলেন, ‘আমরা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চাই। দল থেকে ব্যক্তি হিসেবে কাকে মনোনয়ন দেয়া হল সেটা দেখার বিষয় নয়। কেন্দ্র থেকে যাকে মনোনয়ন ঘোষণা করবে আমরা তাকে বিজয়ী করতে কাজ করব।’

সাবেক এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মনোনয়ন প্রসঙ্গে বার্তা২৪.ডটকমকে বলেন,‘কেন্দ্র থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। আমি দলীয় মনোনয়ন পাবো বলে আশা রাখি।’

ভোটার ও সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কচুয়ার জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। দলীয় মনোনয়ন পেলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দিতে পারব।’

এদিকে ভোটাররা মনে করছেন, দুই দলে এখানে হয়তো পুরনো অথবা নতুন জুটির মধ্যে ভোটের লড়াই হতে পারে। পুরনো বলতে আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খাঁন আলমগীর ও বিএনপি থেকে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ.ন.ম এহসানুল হক মিলনকে বোঝানো হয়েছে। নতুন বলতে, আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক এনবিআরের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন ও বিএনপি থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেনকে বোঝানো হয়েছে।

এখন দেখার বিষয় মনোনয়ন কাড়াকাড়িতে কারা জয়ী হয়।

   

লক্ষ্মীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ, উপস্থিতি কম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নানান অভিযোগের মধ্য দিয়েই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় আজ মঙ্গলবার(২১ মে) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপের এ নির্বাচনে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে একটানা ভোটগ্রহণ। এই দুই উপজেলায় ১৮১টি কেন্দ্রের (রায়পুর ১০২ ও রামগঞ্জ ৭৯) সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। 

দুই উপজেলার সবগুলো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।

সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত রামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্ডীপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর জামিউল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা  ও দরবেশপুর ডিএইচএ একাডেমি ভোটকেন্দ্রে হাতেগোনা কয়েকজন ভোটার দেখা গেছে। এ কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। রায়পুর উপজেলার কেন্দ্রগুলোতেও ভোটার উপস্থিতি একই রকম সন্তোষজনক নয় বলে জানা যায়।

জানা যায়, রায়পুরে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি নুর উদ্দিন নয়ন ও রামগঞ্জে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের এমপি ড. আনোয়ার হোসেন খান এর বিরুদ্ধে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে ভোটে প্রভাব বিস্তারের আশংকায় পৃথক অভিযোগ রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। এর মধ্যে রামগঞ্জে ভোটের আগের রাতে রাতভর এমপি আনোয়ার খান উপজেলাব্যাপী মহড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত জানিয়েছেন, ভোটে যেকোন ধরনের প্রভাব বিস্তারসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমনে ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। ব্যাপক হারে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যদের। এছাড়া নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণের মহড়া থাকবে সার্বক্ষণিক।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মামুনুর রশিদ (আনারস) ও আলতাফ হোসেন হাওলাদার মাষ্টার (মোটরসাইকেল) প্রার্থী হয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবিএম বারাকাত বিন জাকারিয়া (টিউবওয়েল) ও মো. আনেয়ার হোসেন (তালা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা আক্তার (কলস), কোহিনুর বেগম (ফুটবল) ও হাজী মাজেদা বেগম (প্রজাপ্রতি) প্রার্থী হয়েছেন। 

এ উপজেলার ৭৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৬ জন। 

এদিকে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মো. দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল), মো. ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস), ফয়েজ বক্স বাবুল (দোয়াতকলম) ও মো. মোশাররফ মুশু (ঘোড়া) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সোহেল রানা (তালা), মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (চশমা) ও কামরুল হাসান (টিউবওয়েল)।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমেনা আক্তার (কলস), সামসেদ আক্তার (ফুটবল), রোকসানা সামসুদ্দিন (হাঁস) ও সুরাইয়া আক্তার (পদ্মফুল) প্রার্থী হয়েছেন। 

এ উপজেলাতে ১০২ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৮ জন।

পুলিশ সুপার মো. তারেক বিন রশিদ জানান, ভোটে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে। কোন প্রকার নাশকতা করার সুযোগ নাই। 

;

কুমিল্লার ২ উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় পর্যায়ে আজ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। 

কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৯১টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪ টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এবং বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭ জন প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৬ জন প্রার্থী।

জানা গেছে, সদর দক্ষিণ উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৫৫টি, ভোট কক্ষ ৩৬০টি এবং মহিলা ভোটার ৬৪ হাজার ১৬০ জন সহ মোট ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৮ জন। বরুড়া উপজেলায় ১৩৬টি কেন্দ্র এবং ৯৪৪টি ভোট কক্ষ। 

;

১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সকল পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষে।

২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ৪৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য রয়েছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। রয়েছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। যেই সেল যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

;

হোটেলে খেতে গিয়ে দায়িত্ব হারালেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়ে দায়িত্ব থেকে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারককে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মাজহার ইবনে মোবারক জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক বলেন, আমি রাতের খাবার খেতে বাইরে হোটেলে গিয়েছিলাম। সে সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এসেছেন। এটি আমার জানা ছিল না।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (২য় ধাপ) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলেমান আলী বলেন, নিয়ম না মেনে তিনি কেন্দ্রের বাইরে যাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেখানে নতুন এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

;