জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি।

রোববার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে স্ত্রী মেহেজেবুন রহমান টুম্পার গাড়ি বহরে দুইবার হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এতে ৩ জন আহত হয়েছে। কেড়ে নেয়া হয়েছে বাবলু পত্নীর ব্যাগ।

পুলিশ ও  প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার শেষ দিনে খুব সকালে গাড়ি বহর নিয়ে রংপুরে অবস্থান নেন এরশাদের ভাগ্নি জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী টুম্পার নেতৃত্বে ২০/৩০ জন নেতা-কর্মী। বেলা পৌনে ২ টার দিকে স্ত্রী টুম্পা নেতাকর্মীদের নিয়ে থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠা মাত্রই ধাওয়া করে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

এসময় টুম্পাসহ অন্যদের বহনকারী ৩টি গাড়ি আঞ্চলিক নিবার্চন অফিসের পেছনের রাস্তা হয়ে রাধাবল্লভের দিকে এগুতে থাকে। এরই মধ্যে আগে থেকে সড়কে অবস্থান নেয়া জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রাইফেল ক্লাবের সামনে টুম্পার গাড়ি আটকে দেয়। এসময় টুম্পার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে গাড়ি বহর দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে রক্ষা পায়।

এদিকে এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর গাড়িবহর মেডিক্যাল পূর্ব গেট হয়ে যাওয়ার পথে ধাপ হাজিপাড়া মোড়ে অবস্থান নেয়া জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গাড়ি থামিয়ে বাবলু সমর্থকদের গাড়ি গতিরোধ করে ৩ জনকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে রাজধানী ঢাকা সিদ্ধেশ্বরী থেকে আসা বাবলুর সমর্থক কামরুজ্জামান পরাগকে (৩৭) গুরুত্বর আহত হয়। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৫ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায়।

রংপুর মেট্রোপলিন কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত মোখতারুল ইসলাম জানান, নগরীর হাজিপাড়ায় বাবলুর সমর্থকদের সাথে স্থাণীয় সমর্থকদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রসঙ্গত রংপুর-২ (বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ) আসনে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ছাড়াও জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আসাদুজ্জামান সাবলু চৌধুরী। এছাড়াও মনোনয়ন তালিকায় না থাকতে পেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আনিছুল ইসলাম মন্ডল। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান এমপি আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক।

উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশ অমান্য করে চুরি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসার অভিযোগে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে প্রতিহত করতে দিনভর রংপুর ডিসি অফিস, তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ-সৈয়দপুর ইউএনও অফিসে অবস্থান নেয় জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে বিকেল সাড়ে চার দিকে তার স্ত্রী ট্রম্পা গাড়ি নিয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসলে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। পরে  ৫টার কয়েক মিনিট আগে বাবলুর চার সমর্থক গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে থাকলে দুইজনকে আটক মারপিট করে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা। আর দুইজন পালিয়ে যান। এসময় গাড়িও ভাংচুর করা হয়।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;