বিএনপির মিলনকে মনোনয়ন দিতে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কচুয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সংবাদ সম্মেলন / ছবি: বার্তা২৪

কচুয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের সংবাদ সম্মেলন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনকে চাঁদপুর-১ আসনের মনোনয়ন দিতে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তার সমর্থকরা। না হলে কচুয়া উপজেলা, পৌর বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ২য় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আবেদিন স্বপন এ হুমকি দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নকল মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী, দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন ৩৬ টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে আজ কারাগারে। তিনি এদেশের শিক্ষাঙ্গনকে শুধু নকলমুক্তই নয় বরং তিনি জাটকা নিধন অভিযানেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’

খায়রুল আবেদিন স্বপন বলেন, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাফল্য উল্লেখ করার মতো একটি কাজও যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা ড. মিলনের নকল বিরোধী অভিযান। পরবর্তীতে ১/১১ সরকার তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির মামলা করতে না পারলেও আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে ৩৬ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরপর তিনি ২০১০-১১ সালে মোট ৪৪৯ দিন বিনা বিচারে কারাভোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, এহসানুল হক মিলন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার মনোনয়নপত্র চাঁদপুর রিটার্নিং অফিসার বৈধ বলেও ঘোষণা করেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আজ আমরা অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, মিলন ভাইকে অযৌক্তিক অজ্ঞাত ও অনভিপ্রেত কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুর-১ আসন থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়নি। মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এক আদম ব্যাপারীকে (বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন)। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জা এবং অপমানের।’

খায়রুল আবেদিন বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মিলন ভাইয়ের চূড়ান্ত মনোনয়নের ব্যাপারে আমাদের একাধিকবার নিশ্চিত করলেও গতকাল শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকেই হঠাৎ দৃশ্যপট পাল্টে যায়, কিন্তু কেনো এবং কার ইঙ্গিতে এই উদ্ভট পরিবর্তন। এহসানুল হক মিলনকে মনোনয়ন না দিলে আমরা এক যোগে গণপদত্যাগ করব।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুন্নাহার বেবি, কচুয়া উপজেলা যুবদল সভাপতি মাসুদ ইলাহি সুবাস, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মিন্টু, মিন্টুসহ প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী।

এর আগে শনিবার দুপুরে মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে মিলনের সমর্থকরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। পরের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেইটে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গেট খুলে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে মিলনের সমর্থক গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দিকে রওনা হন।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;