রওশনে ঐক্যবদ্ধ আ’লীগ, ভোটারদের দ্বারে বিএনপি



উবায়দুল হক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন রওশন, থেমে নেই প্রার্থী আবু ওয়াহাব, ছবি: সংগ্রহীত

নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন রওশন, থেমে নেই প্রার্থী আবু ওয়াহাব, ছবি: সংগ্রহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ গতবারের মত এবারও মহাজোটের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসন থেকে। নির্বাচনে তাকে জিতিয়ে আনার জন্য তিনি নির্ভর করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর। এমনকি দলটির নেতাকর্মীদের ওপরই সমস্ত দায়-দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

গত ১০ ডিসেম্বর বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ সফর করেন। এরপর বেশ কয়েক দফায় তিনি জেলা, মহানগর, কোতোয়ালী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসেন। প্রতিটি সভাতেই তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি আহবান জানান।

সম্প্রতি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদেরকে নিয়ে করা এক বৈঠকে রওশন বলেন, নির্বাচন করার জন্য অনেক টাকা-পয়সা প্রয়োজন, আমার সেই টাকা নেই। আমার ‘দুই সন্তান’ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম এবং মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত-উর-রহমান শান্ত আমার নির্বাচনী ব্যয়ভার বহন করবে।

এরপর নগরীর সিটি কলেজিয়েট স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ ও জাপার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে করা এক যৌথ প্রতিনিধি সভায় আ’লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে রওশন বলেন, আমাকে জেতানোর দায়িত্বটা আপনাদের। অর্থাৎ রওশন এবার ভোটের মাঠে নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দিতে পুরোপুরি নির্ভর করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর।

আর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার করেছেন। তাতেই নির্বাচনে রওশনকে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে বিজয়ী করতে আটঘাট বেধে মাঠে নেমেও পড়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিদিনই সভা, খণ্ড-খণ্ড মিছিল ও ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনাসহ বিভিন্নভাবে রওশনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে, এগিয়ে আসা নির্বাচনকে ঘিরে বসে নেই বিএনপির প্রার্থী-সমর্থকরা। আসনটি নিজেদের দখলে নিতে জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। স্বৈরাচারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এ নেতাকে ঘিরে নির্বাচনী হাওয়ায় দুলতে শুরু করেছে ধানের শীষ।

ওয়াহাব আকন্দ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। প্রায় একযুগ যাবত ময়মনসিংহের বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম বলতেই আকন্দ পরিবার। আর এই আকন্দ পরিবারের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। এই পরিবারের ‘টপ টু বটম’ প্রায় সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন যাবত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি ছিল ওয়াহাব আকন্দকে এ সদর আসনে প্রার্থী করা হোক। অবশেষে বিএনপির হাই কমান্ড এ বিষয়টি নজর দিয়েছে এবং তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে তারা ওয়াহাব আকন্দকেই বেছে নিয়েছে।

এতে করে মাঠের নেতাকর্মীরা অনেক বেশী মাত্রায় খুশি। তারা নিজেদের অবস্থান থেকেই ওয়াহাব আকন্দকে বিজয়ী করে আনতে আধা-জল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। আর ওয়াহাব আকন্দের রাজনৈতিক জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে এ আসনে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন। ফলে তার এ শ্রেষ্ঠ অর্জনটিকে স্বরনালী করে রাখতে তিনি দিন-রাত একাকার করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ধানের শীষের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য ও নগর বিএনপির সাংগঠনিক সদস্য একেএম মাহবুবুল আলম জানান, গত এক সপ্তাহে ওয়াহাব আকন্দ দেড় লক্ষাধিক ভোটারের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন এবং নির্বাচনের বাকি দিনগুলোর মধ্যে কমপক্ষে আরও সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটারের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

দলটির কর্মী-সমর্থকরা জানান, ওয়াহাব আকন্দের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। তিনি জাতীয় নেতা কিন্তু তার চেয়ে ওয়াহাব আকন্দের নিজ দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক ধরণের নাড়ীর সম্পর্ক রয়েছে। এতে করেই তিনি ভোটের মাঠে সাড়া ফেলতে সক্ষম হবেন।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা বলছেন, বেগম রওশন এরশাদের নির্বাচনী প্রচারণার স্টাইল একটু ভিন্ন রকম। যেহেতু তিনি একজন জাতীয় নেতা কাজেই তাকে জিতিয়ে আনতে তার পক্ষে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কোমর বেধেই মাঠে রয়েছেন। বেগম রওশন বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ময়মনসিংহ বিভাগ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এখানকার উন্নয়নের প্রশ্নে আরও বেশী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাই তরুণসহ সব বয়সী ভোটারদের ‘গুড বুকেই’ রয়েছেন তিনি। 

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;