ঢাকা-৩: উন্নয়ন প্রচারে এগিয়ে বিপু, মাঠে নেই গয়েশ্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পায়ে হেঁটে ক্যাম্পেইন করছেন নসরুল হামিদ বিপু, ছবি: বার্তা২৪.কম

পায়ে হেঁটে ক্যাম্পেইন করছেন নসরুল হামিদ বিপু, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগানগর সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু করে, ছোট মসজিদ রোড, আমবাগিচা, বৌ-বাজার, লবাসাধু রোড, তানকা গার্মেন্টস, নদীধারা ও বাবর আলী রোড। পথের হিসাবে মিটার দিয়ে মাপলে প্রায় তিন কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে।

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শুরু করে পুরো পথ পায়ে হেঁটে ক্যাম্পেইন করেন নসরুল হামিদ বিপু। এসব রোড ধরে যখন তিনি হাঁটছিলেন তার মাথার ওপর ছাতার মতো নৌকা মার্কার নির্বাচনী পোস্টার। পোস্টারের আধিক্য ভেদ করে সূর্যের আলো মাটিতে ঠিকমতো পৌঁছতে পারছে না। শুধু একটি নির্দিষ্ট রোড নয়, কেরানীগঞ্জের প্রায় সব অলি-গলির একই অবস্থা।

 

ঠিক ভোটের দিন কেন্দ্রের চারপাশে যেভাবে প্রার্থীরা ঠাসাঠাসি করে পোস্টার ঝুলায়। কেরানীগঞ্জে তেমনি এককভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পোস্টার শোভা পাচ্ছে। মাঝে মাঝে রয়েছে হাতপাখার পোস্টার। ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে এই যখন নৌকার মার্কার প্রার্থীর অবস্থা। ঠিক বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের।

পুরো শহরে কোথাও তার পোস্টার চোখে পড়েনি। আবার তার পক্ষে কোনো প্রচারণা কিংবা মাইকিংয়ের আওয়াজও শোনা যায়নি। বার্তা২৪.কম-এর পক্ষ থেকে বিএনপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীকে একাধিক দফায় ফোন দিয়ে তবেই পাওয়া যায়।

তার অবস্থান ও দিনের কর্মসূচি জানতে চাইলে বলেন, এখন ঢাকায় আছি। আজ (২২ ডিসেম্বর) কোনো ক্যাম্পেইন নেই। রোববারের (২৩ ডিসেম্বর) কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন- ভাবছি, এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। পোস্টার না থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, সারাদেশে কোথাও কি পোস্টার রয়েছে?

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এই আসনে কোথাও কোনো নির্বাচনী সহিংসতা নেই। সব প্রার্থী তাদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারছে। যদি বাঁধা দেওয়া হতো তাহলে কিন্তু মিডিয়ায় আসতো। তাদের পোস্টার কেন নেই সে বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পোস্টার জনগণ এবং কর্মীরা লাগাচ্ছে। তাদের হয়তো কর্মীই নেই।

টানা ১০ বছরে সংসদ সদস্য ও শেষ ৫ বছরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে নানামুখী প্রভূত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে এমনিতেই জনগণ তাকে এগিয়ে রাখছে। জিনজিরার দোকানী ফারুক রহমান বলেন, এক সময়ে এখানে দিনের ২০ ঘণ্টার মতো লোডশেডিং হতো। বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানা লোকসান দিতে দিতে পথে বসতে বসেছিলো। কিন্তু এখন কোনো লোডশেডিং নেই। সারাদিন কর্মব্যস্ত জিনজিরার কলকারখানাগুলো। এটা যে কি ভালো হয়েছে আমাদের জন্য। মানুষতো তাকেই ভোট দেবে।

তাওয়াপট্টির বাসিন্দা আয়েশা আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত ধানের শীষের পক্ষে কেউ ভোট চাইতে আসেনি। অলিতে-গলিতে আওয়ামী লীগের পোস্টার ও নির্বাচনী মিছিল হচ্ছে প্রতিদিনেই। বিএনপি ভোটে আছে না কি নেই, সেটাই বুঝতে পারছি না।

বিগত সময়ের উন্নয়নের কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে যখন তাকে এগিয়ে রাখছে। ঠিক তখন কেরানীগঞ্জের মাস্টারপ্লান, ৫শ’ শয্যার হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, শিক্ষা বিস্তার, নদী ও খাল উদ্ধার, মাদক নির্মূল, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত মডেল কেরানীগঞ্জের স্বপ্ন নিয়ে দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন বিপু। কেরানীগঞ্জের উন্নয়নে বিসিক এলাকায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে নতুন নতুন শিল্প স্থাপন, স্টেডিয়াম নির্মাণ,বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার ঘোষণা ভোটারদের মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

নসরুল হামিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ১০ বছর আগের কেরানীগঞ্জ ছিলো অনেকটা সন্ত্রাসের জনপদ। আজকের কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীর কোনো ঠাঁই নেই। দলমত নির্বিশেষে এখানে সুন্দরভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে এসব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।

নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, এখানে নৌকার জোয়ার তৈরি হয়েছে। বিএনপির প্রার্থী ২০০৮ সালে আমার কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। এবার আরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করবে কেরানীগঞ্জের জনগণ।

বুড়িগঙ্গার তীরের এই আসনে ১৯৭৩ সালের পর দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের হাতছাড়া ছিলো আসনটি। ১৯৭৯ সালে বিএনপি, ৮৬ ও ৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়। এরপর টানা তিনটি সংসদে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন নসরুল হামিদ। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রিপরিষদে ঠাঁই করে নেন তিনি।

এখানে আমান উল্লাহ আমানকে শক্ত প্রার্থী মনে করা হয়। কিন্তু সংসদীয় আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণের প্রেক্ষিতে প্রার্থী বদলের কারণে ব্যাকফুটে বিএনপি। তার সঙ্গে প্রচারণার ঘাটতি বিএনপিকে জটিল সমীকরণে ফেলে দিয়েছে।

   

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা, উপ-নির্বাচনের নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পাশাপাশি ওই পৌর সভায় মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রজ্ঞাপন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক বিভিন্ন অভিযোগে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় সরকার তথা স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৮ (১২) মোতাবেক ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের আসনটি রোববার (২৩ জুন) থেকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া বিধানমত পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টানা তৃতীয় বারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল কাদের শেখকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আব্দুল কাদের শেখ। গত ৬ মে ওই রিট আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।

এ ঘটনায় পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিকে কাউন্সিলদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার পর পরই উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক এবং দুই বারের পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বাবু অঙ্কন কর্মকার এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের পৌর কাউন্সিলর মোহন মিয়া।

জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার বিষয়টি অবগত হয়েছে। যথা সময়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ নিয়েও অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে।

সংস্থাটির উপ-সচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব শাখায় পাঠিয়েছেন।

সম্মেলনটি আগামী ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি জানায়, ক্যামব্রিজ কনফারেন্স অন ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি শিরোনামে ওই সম্মেলনে অংশ নিতে ১৭ থেকে ২৬ জুলাই ব্রিটেন সফর করবেন মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলন কর্তৃপক্ষ তিনদিনের স্থানীয় থাকা খাওয়া ও যাতায়াত ব্যয় বহন করবে। বিমান ভাড়া বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সম্মেলন শেষে ২১ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার নিজেই ব্যয় বহন করবেন।

জানা গেছে, সম্মলেনে বিভিন্ন নির্বাচন কমিশন তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। এছাড়া পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে থাকবে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ।

মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনগুলোর এ সম্মেলনে সংস্থাগুলো সর্বশেষ আইনি পরিমার্জন, ভোটার শিক্ষণ পদ্ধতি, অংশগ্রহণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা, গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।

;

পৌর উপনির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট

প্রয়োজনে সারারাত ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ ইসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটের হিসাব বিবরণী পাঠানোর সুবিধার্থে আগামী ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৫ জুন) ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচনে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটগণনার বিবরণীর একটি কপি ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন।

ভোটগণনার বিবরণী যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর জন্য প্রিজাইডিং অফিসার অগ্রিম ডাকমাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে বীমাকৃত ডাকযোগে অথবা প্রাপ্তিস্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাবেন।

প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণ করবেন। এমন কী ভোটগ্রহণের পরের দিনও উল্লিখিত খামে প্রাপ্ত ভোটগণনার বিবরণী একই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, প্রিজাইডিং অফিসাররা যাতে অগ্রিম ডাক মাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে ভোটগণনার বিবরণী বীমা করে ডাকে অথবা প্রাপ্তি স্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারেন, সে জন্য ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘরগুলো খোলা রেখে ডাকে পাঠানো ফলাফল বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

;

৪৬৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ ধাপ মিলিয়ে ৪৬৯ উপজেলায় মোট ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১০ জুন) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি এর আয়োজনে 'আরএফইডি টক' অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অতীতের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, এবার নির্বাচন অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। অনেকে প্রভাব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, আমাদের তৎপরতায় সফল হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও বেশি সংস্কার প্রয়োজন।

;