ঢাকায় প্রচারণায় সন্তুষ্ট আ.লীগ, বিএনপির শত অভিযোগ



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকাল ৮টায়। দিনব্যাপী নির্বাচনী মাঠের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে ঢাকার ২০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীদের। শেষ সময় রাতেও মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, ভোট চাচ্ছেন। শেষদিনেও মাঠে ছিলো না, বিএনপির প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকরা। তবে প্রচারণা চালাতে না দেওয়া ব্যাপারে ছিলো তাদের শত অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার অধিকাংশ আসন ঘুরে দুই দলের প্রার্থী ও তাদের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য ও চিত্র দেখা  যায়।

রাজধানীর শাহবাগ, নীলক্ষেত, ধানমন্ডি, ফার্মগেট, গাবতলী, বছিলা, মিরপুর বিভিন্ন সংসদীয় আসন ঘুরে দেখা যায়, দিনের মতো রাতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রার্থী এখনও মিছিল-মিটিং প্রচারণা করছেন। তবে একদম শেষ মুহূর্তেও মাঠে নেই বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা। বরং প্রচারণার মাঠে ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1545938210436.jpg

প্রচারণা নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ঢাকা ৮ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাশেদ খান মেনন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রচারণার শুরু দিন থেকে আজ শেষ দিন পর্যন্ত মাঠে ছিলাম আমরা। ভোটাররা আমাদের ভালোভাবে নিয়েছে। তাদের কাছে গিয়ে মূল্যবান ভোট চাইতে পেরেছি। আশা করি, নৌকার বিজয় হবেই।

একই আসনের বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রচারণা ওই অর্থে করতে পায়নি। পুলিশি বাধা আর নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। গ্রেফতার মামলা হামলা তো আছেই। তবে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রতীক হিসেবে ধানকেই বেছে নিবে।

ঢাকা ১২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজকে শেষ দিনেও একাধিক পথসভা ও গণসংযোগ করেছেন। নিজের নৌকা প্রতীকের প্রচারণা সম্পর্কে বার্তা২৪.কমকে বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব ভোটারদের কাছে গিয়েছি। কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন পথসভা, গণসংযোগে অংশ নিয়েছি। আমি বলব প্রচারের দিক থেকে আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে নেই।

প্রচারণায় অন্য দল গুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীদের প্রচারণায় কোন বাধা দেয়া হয়নি। কেউ যদি প্রচারণা না করে সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। আর বাধা দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/28/1545938230776.jpg

অন্যদিকে ঢাকা ১৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাদেক খান, ঢাকা ১০ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস এর নেতাকর্মীদেরও প্রচারণায় ও গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট আসনের বিএনপি প্রার্থীরা শেষ দিনেও নীরব ছিলেন। মোহাম্মাদপুর, ধানমণ্ডি, আদাবর বসিলার কমপক্ষে ২০ জন সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের কাছে নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীকে ভোট চাইতে আসেনি কেউ। 

জানতে চাইলে, ঢাকা ১৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক সাজু বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি প্রথম থেকেই ঘরে ঘরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছি। একদিন গণসংযোগ করতে বের হতে, সরকারী দলে ক্যাডারদের বাধায় পড়েছিলাম। এত বাধা-বিপত্তির মধ্যে কখনো প্রচারণা করা যায় না। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।

অন্যদিকে নির্বাচনের দু'দিন বাকি থাকতেই রাজধানী ফাঁকা হতে শুরু করেছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে তল্লাশিকরাসহ রাজধানী জুড়ে টহল দিচ্ছেনিরাপত্তার বাহিনী।  সরজমিনে দেখা যায়, বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কমে গেছে। সন্ধ্যা ৭ টাতেই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। 

উল্লেখ্য নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগ থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকার বিধান রয়েছে। আরপিওর ৭৮(১) ধারায় বলা হয়েছে, ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর কোনো ব্যক্তি, প্রার্থী বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কেউ নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন বা এতে যোগ দিতে পারবেন না।

সে অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না।

   

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না: রাশেদা সুলতানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। সেই কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন সবগুলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। যাতে এই নির্বাচনগুলো সহিংসতা মুক্ত হয়। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বেগম রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যাতে সাধারণ মানুষেরা বলতে পারে এই নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যক্তিকে বিজয় করার লক্ষে কাজ করে না। প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় যেন প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে। কালিমা লিপ্ত না হয়

প্রার্থীদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্রে আসে সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সাথে সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি

নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশে সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে ও জোরদার হয় সেই চিন্তা করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন বলে এই কমিশনের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় নাই, ধ্বংস হয় নাই।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

;

লালমোহনে নির্বাচনী মিছিলে ডিএসবি'র এসআইয়ের উপর হামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে, ভোলার লালমোহনে নির্বাচনি একটি মিছিল থেকে ডিএসবি (ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এর এক পুলিশের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও এসেছে সংবাদমাধ্যমের  কাছে।

ভিডিও এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ মে) রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে লালমোহন পৌর শহরের হাইস্কুল সুপার মার্কেট এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। একই সময় ওই মিছিলের পিছন থেকে মিছিল শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

এসময় মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলেন ডিএসবি'র এসআই একেএম আবদুল হক। তার উপর হামলা চালায় শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শালিক প্রতীকের মিছিল থেকে হামলার শিকার হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান ডিএসবি'র এসআই কেএম আবদুল হক।

হামলা বিষয় জানতে শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

হামলার হামলার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম। হামলার বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মন্তব্য কোনো মন্তব্য করেননি ওসি।

এদিকে এখনও পর্যন্ত কেন এই ঘটনা কাউকে আটক করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বার্তা ২৪ কে জানান, হামলার ভিডিওটি আমি দেখেছি, হামলার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

;