বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের

বিএনপি নির্বাচনে না এলে পোয়াবারো আ.লীগের শরিকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে অটল থেকে বিএনপি শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে ভাগ্য খুলবে আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোর। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আওয়ামী লীগ তখন তার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে বেশ কিছু আসনে ছাড় দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার তরফেও ১৪ দলের শরিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যাচাই করে দেখা হচ্ছে তাদের জনপ্রিয়তা ও বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কেও।

বিশ্বস্ততার সাথে মতাদর্শিক রাজনীতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে ১৪ দলীয় জোটের দলগুলো আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে একটানা ১৯ বছর নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়কালে শরিকদের মধ্যে মতপার্থক্য ও অন্তর্বিবাদ হলেও জোট সচল থেকেছে। বিভিন্ন সময়ের ভোটবদ্ধ কোনও দলে  ভাঙনের ঘটনা ঘটলেও এর প্রভাব জোটের ঐক্যে পরিলক্ষিত হয়নি। বরং অতীতে বিদ্যমান শরিকদের মধ্যে পারস্পরিক টানাপোড়েন কাটিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে জোটের ঐক্য সবচেয়ে বেশি বলে দাবি করেছেন জোটের নেতারা। বার্তা২৪.কম'র কাছে একাধিক নেতা স্বীকার করছেন যে, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ছোট ও নিষ্ক্রিয় দলগুলোও সরব হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলীয় জোট বলতে প্রধানত রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনুর জাসদ, দিলীপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল, ব্যারিস্টার আরশ আলী ও ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টিকেই রাজনৈতিকভাবে কার্যকর দেখা গেছে। কিন্তু এবার বিএনপি নির্বাচনে না এলে জোটের শরিকদের পোয়াবারো। তাই মাঠে নেমেছে ১৪ দলের সবগুলো দলই। এদিকে জোটের প্রার্থীদের কারণে টেনশনে আছে আওয়ামী লীগে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী।

পর্যবেক্ষকগণ বলছেন, ১৪ দলীয় জোট শুধু ভোটের রাজনীতি করছে না। আদর্শিক রাজনীতি করছে। সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অটুট থেকে সেই জোট আজও টিকে আছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ে এসে জোটের বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়েছে। পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসবই সম্ভব হয়েছে চাওয়া-পাওয়ার বদলে আদর্শগত রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে। এমনকি, দলীয় ভাঙনের ঘটনা ঘটলেও জোটের ঐক্যে আঁচ পড়তে দেন নি জোটের নেতারা।

বার্তা২৪.কম'র অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৪ দলীয় জোট ১৯ বছর পাড়ি দিয়েছে সঙ্কুল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। এই দীর্ঘ সময়কালে শরিক কোনও কোনও দলে নানা ইস্যুতে অন্তর্বিবাদ ও দল ভাঙার মতো ঘটনা ঘটেছে। সময়ে সময়ে শরিকদের মধ্যে পারস্পরিক টানাপোড়েনও দেখা গেছে। জোটের অন্যতম প্রধান শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির ক্ষেত্রে নানা উত্থান-পতন ঘটলেও মূল নেতৃত্ব থেকেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের অধীনেই।  জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টিতে নেতৃত্বের পালাবদল হলেও জোট রাজনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে বেরিয়ে শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি অংশ বাংলাদেশ জাসদ নামে আরেকটি দল গঠন করে। তাদের রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার অভিযোগে ২০২২ সালের ২৮ মার্চ জোট ত্যাগ করে জাসদের খণ্ডিত এ দলটি।

বার্তা২৪.কম'কে ১৪ দলের শরিক গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন বলেন, 'বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শরিক দলগুলোর মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক বিরাজমান। তাছাড়া আদর্শিক জায়গা থেকে শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময়ই ভালো।  জোটের মূল দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ ও বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে কখনও কোনও ব্যত্যয় ঘটে নি।'

তিনি বলেন, '২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই বছরই ২৩ দফা ঘোষণা দিয়ে ১৪ দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়, যাতে আমরা সবাই আদর্শিকভাবে যুক্ত থেকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত উদার, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনৈতিক লড়াই করছি।'

প্রথমে আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও ১১ দল মিলে জোট গঠিত হয়। কিন্তু জোট গঠনের পর পরই ১১ দল ভেঙে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)সহ কয়েকটি দল বেরিয়ে যায়। রয়ে যায় ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণফোরামসহ কয়েকটি দল। তারপরও জোটটি ১৪ দল নামেই পরিচিত।

২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম জোট ত্যাগ করে। পরের বছর জাতীয় নির্বাচনের আগে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি) ও নজিবুলবশর মাইজভাণ্ডারীর নেতৃত্বাধীন তরিকত ফেডারেশন জোটে যোগ দেয়।

এছাড়া গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-রেজাউর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ ও ন্যাপ (মোজাফফর) আগে থেকেই ১৪ দলের শরিক। আর জোটের মুখপাত্র এবং সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাক্কালে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে অংশ নেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছে। অতীতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে শরিক দলগুলো এমন মনোভাব প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সেসব শুন্য আসনের উপ-নির্বাচনকে জাসদ বগুড়া-৪ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ঠাকুরগাঁও-৩ আসন দাবি করলে আওয়ামী লীগ তাদের সেই দাবি মেনে নেয়। বগুড়ায় জাসদের প্রার্থী বিজয়ী হন। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে যান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন আলী। তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির কাস্তে প্রতীকে প্রার্থী হয়ে সুবিধা করতে পারেন নি। এজন্য শরিকরা এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী।

   

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে: ইসি আলমগীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন থেকে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।' দেশি-বিদেশি সবার কাছে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্যতা পায় এ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তাদের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক, আঞ্চলিকসহ নানা রকম সম্পর্ক রয়েছে, তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বন্ধু হিসেবে তারা আমাদের পরামর্শ দিতেই পারে। তবে আমরা যেটি ভালো মনে করি, সেটি গ্রহণ করব। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমাদের পরিকল্পনার কথা জেনে, তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আপনাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের কোনো ঘাটতি নেই।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। তবে এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, লে. কর্নেল আরিফুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

;

বাতিল হওয়া প্রার্থীতা ফিরে পেতে ইসিতে আবেদন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে মোট ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাছাইয়ে সারা দেশে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীতা ফিরে পেতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন আপিল আবেদন শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন ইসিতে।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অস্থায়ী ক্যাম্পে এই আপিল আবেদন শুরু হয়। যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানী ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে ইসি।

ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপীল দায়ের করতে পারবেন। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে।

১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে আপিল করার জন্য। এক নম্বর বুথে রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা। রংপুর অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনআইডি’র উপ-পরিচালক মো. মোখলেচুর রহমান।

দুই নম্বর বুথে রাজশাহী অঞ্চলের জেলাসমূহ জয়পুরহাট, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর,সিরাজগঞ্জ ও পাবনা। দুই নম্বর বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা।

এছাড়া খুলনা অঞ্চলের জেলাসমূহ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। বরিশাল অঞ্চলের জেলাসমূহ বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ঝালকাঠি ও পিরোজপুর। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাসমূহ টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এবং কিশোরগঞ্জ। ঢাকা অঞ্চলের জেলাসমূহ মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জ।

ফরিদপুর অঞ্চলের জেলাসমূহ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর। সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহ সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ। কুমিল্লা অঞ্চলের জেলাসমূহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর। চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাসমূহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান। এই সব অঞ্চলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯ টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার মধ্য ১৯শ ৮৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা ও বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থীতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

;

গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫ সংসদীয় আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ প্রার্থীর। এর মধ্যে ঋণখেলাপির দায়ে ২ প্রার্থীর ও পৌর কর খেলাপির কারণে ১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল মিলনায়তন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছায় শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে গাজীপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দীন এবং গাজীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদের মনোনয়ন ঋণখেলাপির দায়ে বাতিল ঘোষণা করা হয়। গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন পৌর কর খেলাপি থাকায় বাতিল করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা।

;

আলোচিত ভিক্ষুক আবুল মুনসুরের মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, ময়মনসিংহ 
আলোচিত ভিক্ষুক আবুল মুনসুরের মনোনয়ন বাতিল

আলোচিত ভিক্ষুক আবুল মুনসুরের মনোনয়ন বাতিল

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৭ (ত্রিশাল) আসনে ভিক্ষার টাকায় মনোনয়ন জমা দেওয়া স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী আবুল মুনসুরের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে ১১ জনের মধ্যে শতকরা ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে গরমিলের কারণে আবুল মুনসুরসহ চারজনের মনোনয়ন বাতিল করেন।

জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলার বইলর ইউনিয়নের বড়পুকুরপাড় গ্রামের বাসিন্দা আবুল মুনসুর (৭০)। সংসারের টানাপোড়েনের কারণে অল্প বয়সেই দিনমজুরের কাজে নামতে হয় তাকে। অন্যের রিকশা ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালিয়েছে দীর্ঘদিন। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে। ১৪ বছর ধরে ভিক্ষা করে চলছে তার সংসার।

কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা কখনও জোটেনি তার ভাগ্যে । সেই ক্ষোভ থেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন জাগে তার মনে। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গত ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বইলর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন ভিক্ষুক আবুল মুনসুর। তিনি পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চশমা প্রতীক নিয়ে ৩৭৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ ৭ (ত্রিশাল) আসনে এমপি প্রার্থী হন তিনি।

স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ভিক্ষুক আবুল মুনসুর বলেন, শতকরা ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে গরমিলের কারণে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আমি প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করার চিন্তা করছি এবং ইনশাআল্লাহ আমি প্রার্থিতা ফিরে পাবো।

প্রসঙ্গত, মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিলের শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন।

;