ভোটের আগে পরে ছয়দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত আগামী ৭ জানুয়ারি। ভোটের আগে পরে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা রোধে ছয়দিনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাপিড), আনসার বাহিনী, ব্যাটেলিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও কোস্ট গার্ডকে বোঝায়। আর সশস্ত্র বাহিনী বলতে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী ও সেনা বাহিনীকে বোঝায়।

গতবারের মতো এবারও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হতে পারে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরও। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো তাদের লোকবল ও চাহিদার কথা জানিয়েছে ইসিকে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে ইসির সোমবারের (২০ নভেম্বর) বৈঠকে কোন বাহিনীর কত সংখ্যক সদস্য কতদিনের জন্য মোতায়েন করা হবে সে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে আনসার মোতায়েন থাকবে ভোটের আগের পরে মোট ছয়দিন। আর পুলিশ মোতায়েন থাকবে পাঁচদিন। অন্যান্য বাহিনীও একই সময়ের জন্য নিয়োজিত হতে পারে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার সাড়ে ৭ লাখ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে , আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবি’র ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র‍্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য আনসারের সদস্যদের জনপ্রতি ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, কোস্টগার্ড ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার ৮২০ টাকা, বিজিবি ৪শ টাকা থেকে এক হাজার ২২৫ টাকা এবং পুলিশ ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৬০৬ টাকা জনপ্রতি পাবেন। এর সঙ্গে যোগ হবে খাবার ও ফুয়েলের মতো খরচ। ইতিমধ্যে বাহিনীগুলো মোট এক হাজার ৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা চেয়েছে পুলিশ। এই বাহিনী চাহিদা দিয়েছে ৪৩০ কোটি ২৫ লাখ টাকা। আনসার বাহিনী চেয়েছে ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া বিজিবি ১৪৫ কোটি ৮৭ লাখ, র‍্যাব চেয়েছে ৫০ কোটি ৬৩ লাখ, কোস্টগার্ড ৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা চেয়েছে। সংসদ নির্বাচনে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সশস্ত্র বাহিনীর এক লাখ ২০ হাজারের সদস্যদের ১০ দিনের জন্য এবং অন্যান্য বাহিনীর সাত লাখের মতো সদস্যদের ছয় থেকে ১১ দিনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। সে সময় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৫৬৫ কোটি টাকা। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় এবার সেই ব্যয় বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, এবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠকে সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা একটি বরাদ্দ অ্যাডভান্স চেয়েছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এবারের সংসদ নির্বাচনেও প্রায় সাড়ে চার হাজারের মতো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ইউপির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। এর বাইরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হলে তাদের প্রতি টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকতে পারে। এছাড়া নিয়োজিত করা হতে পারে এক হাজারের মতো বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

   

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করবেন মেজর আখতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঋণ খেলাপি ও মামলার সংখ্যা না দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) মো.আখতারুজ্জামান প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আসেন তিনি।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব) আখতারুজ্জামান বলেন, রিটার্নিং অফিসার আমাকে দুটি কারণে মনোনয়ন বাতিল করেছেন। প্রথমটি হল অতীতে আমার নামে কোন মামলা আছে কিনা সেই জায়গায় আমি কিছু লিখি নাই। এটি একটি কারণ। আমি যতটুকু জানি কেউ যদি সাজাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সেটি লিখতে হয় কিন্তু আমি যেহেতু সাজা প্রাপ্ত নয় তাই আমি ওই জায়গাটা লিখি নাই। কারণ আমরা যারা বিএনপি করি আমাদের নামে তো হাজার হাজার মামলা কোনটা থেকে কোনটা বলবো।

আরেকটি জায়গায় তথ্য চেয়েছিলো, আমি ঋণখেলাপি কিনা সেখানে আমি লিখেছিলাম 'প্রযোজ্য নয়'। এই দুই কারণে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আজকে আমি এখানে তথ্য জানতে এসেছি। সব খোঁজ খবর নিয়ে আপিল করবো।

;

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে: ইসি আলমগীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন থেকে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে।' দেশি-বিদেশি সবার কাছে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্যতা পায় এ নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদ পারভেজ এর সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, তাদের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক, আঞ্চলিকসহ নানা রকম সম্পর্ক রয়েছে, তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বন্ধু হিসেবে তারা আমাদের পরামর্শ দিতেই পারে। তবে আমরা যেটি ভালো মনে করি, সেটি গ্রহণ করব। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমাদের পরিকল্পনার কথা জেনে, তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, আপনাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের কোনো ঘাটতি নেই।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রাখার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল। তবে এবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, লে. কর্নেল আরিফুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

;

বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইসিতে আবেদন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে মোট ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাছাইয়ে সারা দেশে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন আপিল আবেদন শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন ইসিতে।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সামনে অস্থায়ী ক্যাম্পে এই আপিল আবেদন শুরু হয়। যা চলবে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গতকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আপিল দায়ের, শুনানী ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে ইসি।

ইসি জানায়, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণাদেশের বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যেই আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে আপীল দায়ের করতে পারবেন। সঙ্গে আপিলের মূল কাগজপত্র এক সেট ও ছায়ালিপি ছয় সেট জমা দিতে হবে।

১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে আপিল করার জন্য। এক নম্বর বুথে রংপুর অঞ্চলের জেলাসমূহ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা। রংপুর অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনআইডি’র উপ-পরিচালক মো. মোখলেচুর রহমান।

দুই নম্বর বুথে রাজশাহী অঞ্চলের জেলাসমূহ জয়পুরহাট, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর,সিরাজগঞ্জ ও পাবনা। দুই নম্বর বুথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হাসান ভূঞা।

এছাড়া খুলনা অঞ্চলের জেলাসমূহ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা। বরিশাল অঞ্চলের জেলাসমূহ বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ঝালকাঠি ও পিরোজপুর। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলাসমূহ টাংগাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এবং কিশোরগঞ্জ। ঢাকা অঞ্চলের জেলাসমূহ মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী এবং নারায়ণগঞ্জ।

ফরিদপুর অঞ্চলের জেলাসমূহ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর এবং শরীয়তপুর। সিলেট অঞ্চলের জেলাসমূহ সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জ। কুমিল্লা অঞ্চলের জেলাসমূহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর। চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাসমূহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান। এই সব অঞ্চলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন।
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯ টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার মধ্য ১৯শ ৮৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা ও বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে বাতিল হওয়া প্রার্থীতা কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

;

গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

গাজীপুরের ৫ আসনে ৪১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫ সংসদীয় আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪১ প্রার্থীর। এর মধ্যে ঋণখেলাপির দায়ে ২ প্রার্থীর ও পৌর কর খেলাপির কারণে ১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল মিলনায়তন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই বাছায় শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সূত্র জানায়, মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে গাজীপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দীন এবং গাজীপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদের মনোনয়ন ঋণখেলাপির দায়ে বাতিল ঘোষণা করা হয়। গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন পৌর কর খেলাপি থাকায় বাতিল করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা।

;