গাজীপুরে নৌকার নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভরসা জাহাঙ্গীর!



আশিকুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে নৌকার নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভরসা জাহাঙ্গীর!

গাজীপুরে নৌকার নয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভরসা জাহাঙ্গীর!

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আর বাকি এক মাসেরও কম সময়। এবার নির্বাচনে সবচেয়ে বড় বিষয় হল স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রায় সব আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোথাও কোথাও তারা শক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা দলের মনোনীত প্রার্থী বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গাজীপুরের তিনটি আসনের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভরসা হয়ে উঠেছেন হয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহুল আলোচিত সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম। সম্প্রতি প্রতীক বরাদ্দের আগেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের ছবির পাশে জাহাঙ্গীর আলমের ছবি যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করছেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের মাঝেও দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।


স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শুধু যে তার ওপর ভরসা করে প্রচার চালাচ্ছেন তা নয়; তিনিও ওইসব প্রার্থীদের সভা সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছেন। এমনকি জনগণের কাছে প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতাও তুলে ধরছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটির আংশিক নিয়ে গঠিত ১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল। গাজীপুর ১ আসনের আংশিক সিটি করপোরেশন আওতায় থাকায় এখানে জাহাঙ্গীর আলমের একক আধিপত্য রয়েছে। সাবেক মেয়রের সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলমের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে রেজাউলের। তিনি জাহাঙ্গীরের শক্তি কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে রেজাউল করিমকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলমও।

একই ঘটনা গাজীপুর ২ ও ৫ আসনেও। এ আসন দুটিতেও রয়েছে সিটি করপোরেশনের অংশ। ফলে সেখানেও রয়েছে জাহাঙ্গীর আলমের আধিপত্য। যার ফলে ওই দুটি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভরসা জাহাঙ্গীর আলম।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় জাহাঙ্গীর আলম

গাজীপুর ২ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন। স্বতন্ত্র এই প্রার্থী নিজের ছবির পাশে জাহাঙ্গীর আলমের ছবি বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারও শুরু করেছেন।

গাজীপুর ৫ আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ডাকসুর ভিপি বীর মুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব মো: আখতারুজ্জামান। হেভিওয়েট এই নেতা সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে সুবিধা নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সাবেক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও জাহাঙ্গীরের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ নেওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে কানাঘুষার জন্ম দিয়েছে। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে জাহাঙ্গীরের এমন আচরণ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন।  

গাজীপুর ১ আসনের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেল। তার ছবির সাথে যুক্ত হয়েছে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ছবি। আবার জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নৌকার বাইরে না। এদিকে আবার নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী। এখন নেতাকর্মীরাই বিষয়টি কিভাবে নিবেন আর সাধারণ ভোটাররাই বা কোন দিকে যাবেন।

এ ব্যাপারে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার কল করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এতো কিছু তো আমরা খেয়াল রাখতে পারি না। তারপরেও তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে । আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

   

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৬ মে) রাত ১০টায় নির্বাচন পরিচালক-২ এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন তিনি।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন নং ৪৭৩৪/২০২৪ দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ২৫ এপ্রিল আদেশে মনোনয়নপত্রটি বৈধ প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিএমপি নং ৩৬৫ / 2024 ও সিপিএলএ নং ১৪৮৬/২০২৪ দায়ের করলে ৬ মে তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

সেই হিসেবে ৮ মে ১৪০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

;

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসি সীমা'র ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বড়খাতা, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রসহ উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন।

এছাড়া তার ভোটার, সমর্থক ও এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও হুমকি দেওয়ার জন্য কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থীকে দায়ী করেন। গত শুক্রবার তার উপর কাপ পিরিচ মার্কার লোকজন হামলা চালায় বলে তিনি জানান।

এতে জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী সীমাসহ তার সমর্থিত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ নারী প্রার্থী।

;

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেড় লাখেরও বেশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসাইন।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোট কেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিগণ (০৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যগণ অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

রুবেল হোসাইন আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি ৭৬ প্লাটুন বা ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যগণ ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন। তাছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের মোবাইল টিম/ স্ট্রাইকিং টিমের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ৯৪ প্লাটুন বা ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য।

এছাড়া মোতায়েনকৃত আনসার সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও প্রায় দুই হাজার সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে আগামী ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন মোতায়েন থাকবেন।

আনসারের এই কর্মকর্তা আরও জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে আগ্রহভরে অত্যন্ত উৎফুল্লভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে, সেই জন্য আনসার-ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি অত্যন্ত সতর্কতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি বরদাশত করা হবে না বলে সকল সদস্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে থাকে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য নিয়োজিত ছিল।

;

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ০৭ (সাত) দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ অস্ত্রসহ চলাচল না করেন কিংবা অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করেন সে জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা জারি করেছে।

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪১টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;