ময়মনসিংহের ১১ আসনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে আ.লীগ প্রার্থিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে ১১টি আসনের মধ্যে ৭টিতে আসনে চ্যালেঞ্জের মুখে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থিরা। তবে চারটি আসনে সুবিধাজনক অবস্থানে তারা। বাকী ৭টি আসনে শেষ পর্যন্ত যদি স্বতন্ত্র প্রার্থিরা নির্বাচনী মাঠে থাকে তাহলে নির্বাচন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জুয়েল আরেং। এ আসনে জুয়েল আরেং এর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম।। এই দুইজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনেক জনপ্রিয় তাই এ আসনে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে না। এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৯ জন।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দীন আহমেদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা। এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। এ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম স্বতন্ত্র প্রার্থী। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান দুলু।এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১২ জন।

ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বদর উদ্দিন আহমেদ এবং কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ অনেক জনপ্রিয় হওয়ায় সহজেই বিজয়ী হবে। তবে এ আসনটি জোটের কারণে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে । এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী একবারের গণপরিষদ সদস্য ও পাঁচবারের এমপি মোসলেম উদ্দিন। আপিল করে মনোনয়ন পত্রের বৈধতা পেয়েছেন বর্তমান এমপির মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা।এছাড়াও রয়েছে জাসদের সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু। ধারণা করা হচ্ছে প্রবীণ বর্তমান সংসদ সদস্য এ বার ও ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হবেন।এ আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী আবার ও মনোনয়ন পেয়েছেন। পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ত্রিশাল আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল হক শামীম। এই আসনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো আব্দুছ ছাত্তার। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলম প্রদীপ।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রধান বাঁধা মাহমুদ হাসান সুমন। তবে গুঞ্জন রয়েছে জোটের কারণে আওয়ামী লীগ এই আসনটি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান সংসদ ফখরুল ইমামকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে । এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন।

ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.)আব্দুস সালাম তিনি ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে এ আসনটিতে এমপি ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে টানা দুইবারের এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের আপিলে

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সালাম মনোনয়ন বৈধতা হারিয়েছেন। যদি ও আপিল করার সুযোগ রয়েছে। এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৬ জন।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। তার বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির নাজমুল ইসলাম গণতন্ত্র পার্টি দ্বীন ইসলাম, ও জাকের পার্টি মোহম্মদ আনোয়ার হোসেন খান। তবে বর্তমান সংসদ সদস্যের জনপ্রিয়তায় অন্যান্য প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্তের শঙ্কা রয়েছে।এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৪ জন।

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজীম উদ্দিম আহমেদ ধনু। এ আসনে নৌকা বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম এ ওয়াহেদ। ধারণা করা হচ্ছে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে মূল লড়াই হবে এম এ ওয়াহেদের সাথে। এই আসনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগকে বলা হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে সমঝোতা করতে। মৌখিকভাবে বলা হয়েছে চিঠি ও দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচন উৎসবমুখর ও অর্থবহ করতে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলেও সমস্যা নেই।

   

উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন, ২ প্রার্থীকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ( ৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমি ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, নোটিশে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার ফারহানা আখতার সুমির (টেলিফোন) বিরুদ্ধে গত ৩ মে রাত ৮টার পর মোটরসাইকেল দিয়ে নির্বাচনী শোডাউন এবং অপর প্রার্থী আব্দুল মালেক সরকারের (ঘোড়া) বিরুদ্ধে একই দিন রাত ১১টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই পথসভা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। দুই প্রার্থীকে নোটিশ প্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

এবিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১২ ঘণ্টা সময় দিয়ে ওই দুই প্রার্থীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচারে অংশগ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি বাস্তবায়নে রবিবার (৫ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় সংসদ সদস্য ও সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কর্তৃক নির্বাচনী এলাকায় গমন করে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা এবং উপজেলা পরিষদ আচরণবিধির বিধান উল্লেখ করে এরূপ কার্য হতে বিরত থাকার জন্য রিটার্নিং অফিসারকে পত্র প্রেরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া যায় মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধিতে বলা হয়েছে, (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না: তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হইলে তিনি কেবল তার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারিবেন।

নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করতে পারবেন না।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেই সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন: নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল

নীলফামারীর বর্তমান চেয়ারম্যানের মনোনয়ন বাতিল

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ঋণ খেলাপির অভিযোগে নীলফামারী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদের মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়।

রোববার (০৫ মে) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে এক জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রইলেন চারজন। তারা হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুজার রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি তপন কুমার রায় ও জাপা নেতা (জাতীয় যুবসমাজের সাবেক সভাপতি) মো. তরিকুল ইসলাম। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। তাদের সকলের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহিদ মাহমুদ বলেন, রূপালী ব্যাংক নীলফামারী শাখা থেকে আমার মালিকানাধীন উত্তরা বীজ হিমাগারের নামে ১৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছি। যার মধ্যে আমি ১১ কোটি টাকা উত্তোলন করি। এখনো চার কোটি টাকা ব্যাংকে মজুত আছে। আমি কোনোভাবে ঋণ খেলাপি না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিরোদা রানী রায় জানায়, রুপালী ব্যাংক নীলফামারী শাখা শাহিদ মাহমুদকে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে তথ্য প্রদান করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আগামী ৮ তারিখের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ মে। তফসিল অনুযায়ী গত ২ মে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ সহ মোট ১৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে আগামী ১৩ মে।

;

উপজেলা নির্বাচন: ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

ফেনীর ৩ উপজেলায় সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভুঞায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত ২৮ প্রার্থীর সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রগুলো যাছাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের কুমিল্লা আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, তিন উপজেলায় ২৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে সকলের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মাঝে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের মাঝে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, মনজুর আলম ও মদির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এ কে, শহীদ উল্যাহ্ খোন্দকার, মামুন উল হক, গোলাম কিবরিয়া ও নুরুল আলম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুর্শিদা আক্তার, বিবি আমেনা, আরজুমান আক্তার রয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন, নুর আলম মিস্টার, পারভীন আক্তার, মো. মজিবুল হক, মহি উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাখাওয়াতুল হক বিটু, মো. আইয়ুব আলী হায়দার, মো. বেলাল হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খোদেজা খানম, নুর জাহান আক্তার বকুলের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন ও বিজন ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবদুল হক, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হায়দার, মোহাম্মদ ইউচুপ আলী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাসকিরা তান্নিন, পেয়ারা বেগম, রাবেয়া আক্তার এর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলা দাগনভূঞা উপজেলা ও সোনাগাজী উপজেলায় সর্বমোট ২৮ জন প্রার্থীর সকলকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট হবে ২৯ মে।

;