সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে গেল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তৌহিদ জংয়ের অনুসারী নেতা-কর্মীরা জানান, সাভার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচনী প্রচরণার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় খোলা হয়। সোমবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একটি নোহা ও একটি হায়েস গাড়িতে করে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভারের সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবু ও পলাশের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে।
পরে তারা কাতলাপুরে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও তৌহিদ জংয়ের সাভার পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল হালিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড, তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। তারা সবাই নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বলে জানান আবদুল হালিম।
এদিকে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামাগেন্ডা এলাকায় মোল্লা মার্কেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এ এন এম জিয়া উদ্দিন।
অভিযোগকারী এ এন এম জিয়া উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল মালেক কোম্পানি, বাবু, আনু, সুমনসহ ৪০-৫০ জন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে বের করে দিয়ে শাটার লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা ১৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হামলা হয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।