যতই সময় বাড়বে ততই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যতই সময় বাড়বে ততই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (৭ জানুয়ারি) মনিপুরী পাড়ার বাচা স্কুল কেন্দ্রে ভোট দান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
কামাল বলেন, কখনো কলাবাগান থাকেন, কখনো মৌলভিবাজার থাকেন, সেখান থেকে আবার উত্তরায় চলে যান। এটাই আমাদের মাইগ্রেশন হয় ঢাকায়। আমাদের এই এলাকা শিল্পাঞ্চল ছিলো, সে কারণে এই এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণ মাইগ্রেশন হয়েছে। আজকে বাস ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি তারা আসবে। যতই সময় বাড়বে ততই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কে নির্বাচনে আসলো, কে না আসলো এটা বড় কথা নয়। নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ভাবে, সুন্দর ভাবে হয়েছে কি না সেটা হলো দেখার বিষয়। কেন আসেনি তার একটা পিছনে কারণ রয়েছে। এদেশের মানুষ সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদকে কখনো বিশ্বাস করে না। অগ্নীসন্ত্রাস কে তারা ধিক্কার দিচ্ছে। তারা সুনিশ্চিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না সেজন্যই তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশি প্রভুদের ইনফ্লুয়েন্স করে একটা নতুন কিছু ঘটানোর চেষ্টা সবসময় করেছে। সব সময় তারা এ ষড়যন্ত্র গুলো করে আসছে। কখনো মাসল পাওয়ারে কখনো গান পাওয়ারের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় আসছে। এবার তারা কোনভাবে জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারবে না সে জন্যই তারা আসেনি।
বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ল্যান্সলাইট ভিক্টোরির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তারা সহিংসতা করেছেন। জঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছে, অগ্নীসন্ত্রাস করেছে। মানুষ হত্যা করেছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে। এই জন্য এই দেশের মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা এটা নিশ্চিত হয়ে, ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছিলো সেখানে ৬ টি আসন পেয়েছে। পরাজয় নিশ্চিত ভেবে তাদের উপলব্ধিতে এটা এসেছে, এই দেশের মানুষ তাদের ভোট দিবে না। এই জন্য তারা নির্বাচন বর্জন শুরু করেছে। নানান ধরনের বাহানা, নানা ধরনের দাবি তুলে নির্বাচন বর্জনের কৌশল তারা বের করেছে।
আওয়ামী লীগের এ মন্ত্রী বলেন,২০১৪ তে যেভাবে তারা মানুষ হত্যা করেছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে এসব আবার শুরু করেছে তারা। এদেশের মানুষ অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। আলোতে থাকতে চায়। সে জন্য এদেশের মানুষ কোন ভয়-ভীতিতে ভীত না হয়ে ভোট দিবে। নতুন ভাবে আরেকটা সরকার আপনারা খুব শীঘ্রই দেখবেন।