আশেক-কমলের হ্যাটট্রিক, ইবরাহিমের প্রথম ও শাহীনের দ্বিতীয় জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে ৪ টি সংসদীয় আসনে টানা তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

এছাড়া সিমান্ত এলাকা কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার এবং ৭৫ বছরে শেষ বয়সে এসে প্রথমবারের মতো সংসদে যাওয়ার স্বাদ পাবেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

রোববার (০৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪ টায়। সমুদ্র নগরী কক্সবাজারেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তবে ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এনে কক্সবাজার ১, ৩ ও ৪ আসনের ৪ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী ভোট বর্জন করে।

আশেক-কমলের হ্যাটট্রিক: মহেশখালী-কুতুবদিয়া দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-২ আসন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) আশেক উল্লাহ রফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন- বিএনএম মনোনীত (নোঙর) মো. শরীফ বাদশা। এই আসনে ১১৮টি কেন্দ্রে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ৯৭৩৯৮ এবং নোঙরের প্রাপ্ত ভোট ৩৪৪৯৬। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩৪৮১২৭ ভোট। মোট ফলাফলে ৬২৯০২ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের আশেক উল্লাহ রফিক। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে কক্সবাজার-২ আসন থেকে টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য হয়ে হ্যাটট্রিক করবেন এই সংসদ সদস্য। এর আগে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে একবারও হারেননি আশেক।

তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আশেক উল্লাহ রফিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন,"মহেশখালীতে সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে। এছাড়া দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় প্রথম বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত হয়েছে। এগুলোর কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা, উন্নয়নের মার্কা নৌকাকে ভোট দিয়ে মানুষ জয়যুক্ত করেছে"।

কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও উপজেলা নিয়ে কক্সবাজার-৩ আসন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা) সাইমুম সরওয়ার কমলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। তবে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে নেন তিনি। এই আসনে ১৭৬টি কেন্দ্রে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ১৬৭০২৯ এবং ঈগলের প্রাপ্ত ভোট ২১৯৪৬। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৪৮৯৬১০। মোট ফলাফলে ১৪৫০৮৩ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের সাইমুম সরওয়ার কমল। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে কক্সবাজার-৩ আসন থেকে টানা তিন মেয়াদের সংসদ সদস্য হয়ে হ্যাটট্রিক করবেন এই সংসদ সদস্য। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী থেকে হারলেও দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

টানা তৃতীয় মেয়াদে বিজয়ী হওয়া জনপ্রিয় এই সংসদ সদস্য বার্তা২৪.কম-কে বলেন,"আমার এ জয় আমার এলাকার মানুষ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করলাম। আমি এই মানুষ জন্য সারাজীবন কাজ করেছি। আমার সবকিছু মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি। একারণে মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি মানুষের গোলাম হিসেবে থাকতে চাই"।

বদীর বধূ শাহীনের দ্বিতীয় জয়: সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফ নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-৪ আসন। এই আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদির। বদি আইনি জটিলতায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও ঠিকই তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে দেওয়া দ্বিতীয় বারের মতো মনোনয়ন। শাহীন আক্তার সংসদ সদস্য হলেও এই আসনে অঘোষিত সংসদ সদস্য যেন আব্দু রহমান বদি। এবারও নৌকা নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার বিজয়ী হয়েছেন শাহীন আক্তার। এর মাধ্যমে প্রথম কোন নারী দ্বিতীয় বারের মতো সরাসরি ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যদিও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) নুরুল বশর নির্বাচন বর্জন করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোও নির্বাচন বর্জন করে নেন।

এই আসনে ১০৪টি কেন্দ্রে নৌকার প্রাপ্ত ভোট ১২৫৭২৫ এবং ঈগলের প্রাপ্ত ভোট ২৯৯২৯। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৩২৬৯৭১। মোট ফলাফলে ৯৫৭৯৬ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন নৌকা প্রতীকের শাহীন আক্তার। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের সংসদ সদস্য হবেন এই সংসদ সদস্য। এর একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

৭৫ বছর বয়সে প্রথম সংসদে যাওয়ার স্বাদ পাবেন ইবরাহিম: চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার-১ আসন। নিজ এলাকার সংসদ নির্বাচনে হেরে জামানত হারালেও এই আসনে বিজয়ী হয়ে ৭৫ বছর বয়সে সংসদে যাওয়ার স্বাদ পাবেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। কক্সবাজারে এর মাধ্যমে দ্বিতীয় কোন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে মহেশখালী- কুতুবদিয়া থেকে বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উইংস কমান্ডার জহিরুল ইসলাম এরশাদ আমলে সংসদ সদস্য ছিলেন। যদিও তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম। তিনি অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেন।

এই আসনে ১৫৮টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় ১৫৫ কেন্দ্রে হাতঘড়ির প্রাপ্ত ভোট ৮১৯৫৫ এবং ট্রাকের প্রাপ্ত ভোট ৫২৮৯৬। দুই উপজেলায় মোট ভোটার ৪৮৬২৫২। মোট ফলাফলে ২৯০৫৯ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন হাতঘড়ি প্রতীকের সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে কক্সবাজার-১ আসন থেকে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য হবেন তিনি।

হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, চকরিয়া পেকুয়ার মানুষ সন্ত্রাস এবং দখলবাজাদের হাত থেকে রেহাই পাবে। চকরিয়াকে সাজাতে আমি বদ্ধ পরিকর। চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ আমাকে যে সম্মান দেখিয়েছে আমি আমৃত্যু তা মনে রাখবো এবং এখানের শিশু, তরুন, যুবক, বৃদ্ধ এবং নর নারীর জন্য কাজ করে যাবো। এই অঞ্চলের উন্নয়ন করাই হবে আমার প্রধান কাজ"।

কক্সবাজার জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করতে পেরেছি। তবে তিনটি কেন্দ্রে গণ্ডগোল হয়েছে বলে সেগুলো স্থগিত করা হয়েছে।

   

তীব্র তাপদাহে বুথে অচেতন হয়ে পড়লেন বৃদ্ধা নারী ভোটার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে নির্বাচনী বুথে এক বৃদ্ধা নারী ভোটার অচেতন হয়ে পড়েছেন।

রোবাবার (২৮ এপ্রিল) ভোট চলাকালীন দুপুর ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় ওই নারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্রে উপস্থিত ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অচেতন হয়ে পড়া নারীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি কেন্দ্রের ১০নং নারী বুথের সামনে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরে হঠাৎ কেন্দ্রে বুথের সামনে নারী ভোটারের লাইনে অচেতন হয়ে পড়ে ওই নারী। তার বয়স প্রাশ ষাটোর্ধ্ব। অচেতন হয়ে পড়ার পর তার নাকে-মুখে ফেনা ও সারা শরীরে প্রচণ্ড ঘাম পরিলক্ষিত হয়। ভোট দিতে তার সাথে কোনো স্বজন এসেছে কিনা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের অনেকগুলো কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন পুরুষ ও নারী ভোটাররা। ভোটারের উপস্থিতিও ব্যাপক দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তবে বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। সেইসাথে কমতে থাকে কেন্দ্রের সামনে লাইনে অপেক্ষমাণ ভোটারের সংখ্যা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোটাররা কেন্দ্রের সামনে লাইন ছেড়ে দিয়ে বাইরে গাছের নিচে কিংবা ছায়াতলে অপেক্ষা করছেন। আবার অনেকেই বুথের ভেতরের কক্ষে জড়ো হয়ে অবস্থান নিয়েছেন ভোট প্রদান করতে।

ভোটাররা জানান, তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে ভোটাররা এদিক সেদিক চলে গেছে। কেউ কেউ বাড়ি ফিরে গেছে। তবে রোদের খরতাপকে উপেক্ষা করে অধিকাংশ ভোটার ভোট প্রয়োগ করতে কেন্দ্রের আশেপাশে অথবা লাইনে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এর মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

প্রসঙ্গত: সীমানাজনিত মামলা জটিলতা শেষে দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে।

;

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

;

লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু,কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্টাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। 

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোন স্থান দেয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

;