জয়পুরহাটের যে সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট ১ ও ২ আসনে অংশগ্রহণ করা ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রার্থীদের জামানত ফিরে পাওয়ার জন্য মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাওয়ার বিধান রয়েছে।
জয়পুরহাট-১ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী এ্যাড. সামছুল আলম দুদু ৯৬ হাজার ১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। অপরদিকে জয়পুরহাট-২ আসনে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এক লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের গোলাম মাহফুজ চৌধুরী পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, জয়পুরহাট-১ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ ভোট। নিয়ম অনুযায়ী জামানত ফিরে পাওয়ার জন্য প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাওয়ার বিধান রয়েছে। জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম রায়হান মন্ডল মনু (ট্রাক) তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬২৬ ভোট, জাতীয় পার্টির এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন (লাঙল) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৯ ভোট, এনপিপি রুকুনুজ্জামান (আম) পেয়েছেন ৫০৯ ভোট, তৃণমূল বিএনপি মাসুম (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৪৭০ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম (ঈগল) পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৬০ ভোট। এ আসনে প্রার্থী ছিল ৭ জন। তার মধ্যে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জয়পুরহাট ২ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের পরিমাণ হচ্ছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৯ ভোট। সেই হিসেবে জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন, জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আবু সাইদ নুরুল্লাহ পেয়েছেন দুই হাজার ৪১ ভোট, জাসদের আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন (মশাল) পেয়েছেন ৫৩৪ ভোট, এনপিপি (আম) পেয়েছেন আবু সাঈদ পান ৭৫২ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) মো. নয়ন পেয়েছেন ২০৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতোয়ার রহমান মন্ডল (ট্রাক) পেয়েছেন ৭৯৫ ভোট ও আব্দুর রাজ্জাক সরদার (ঈগল) পায় ৩৬২ ভোট। জয়পুরহাট ২ আসনে প্রার্থী ছিল ৮ জন। তারমধ্যে ৬ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।