উপজেলা নির্বাচন ঘিরে বরিশালে প্রার্থীদের জনসংযোগ বাড়ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জানাজা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে গ্রামের সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জোর প্রতিযোগিতা চলছে বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে। যদিও সাধারণ মানুষের এ নিয়ে খুব একটা ভাবনা নেই। নির্বাচন নিয়ে চা দোকানেও নেই কোনো আলোচনা। এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার পর সোজা সরল উত্তর- ‘পেটনীতি কইরা বাঁচি না, উপজেলায় আর কি? জাতীয় নির্বাচনেইতো উপজেলা লেখা আছে। যান তো ভাই।’ এমন আচরণ চন্দ্রমোহন ও চাঁদপুরা ইউনিয়নের বাজারে।

আবার টুঙ্গিবাড়িয়া, শায়েস্তাবাদ, চরবাড়িয়া ও চরমোনাই এলাকার গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখে এখন নির্বাচন মানেই চরম বিরক্তি। এ নিয়ে কথা বলতে আগ্রহ না থাকলেও সোমালিয়া থেকে বাংলাদেশের নাবিকরা উদ্ধার হয়েছে কিনা, পাকিস্তানের ইমরান খান সরকারে আসবে কিনা, জানার আগ্রহ গ্রামবাসীর। কেউ কেউ আবার বাজারের দরে বিএনপির সিন্ডিকেট কীভাবে করল, দেশে এতো আত্মহত্যা কেন হচ্ছে, জাহাঙ্গীর নগর ও জগন্নাথের আত্মহত্যা হইলো কেন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন তোলেন গ্রামের সাধারণ মানুষরা।

সরেজমিনে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরার চেষ্টায় রোববার (১৭ মার্চ) এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল টুঙ্গিবাড়িয়ার লাহারহাট ও চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের চন্দ্রমোহন বাজারে। বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এবার মনিরুল ইসলাম ছবি, মাহমুদুল হক খান মামুন, এসএম জাকির এবং মাহবুবুর রহমান মধু নামে চারজনের ব্যানার পোস্টার ও প্রচারণা চোখে পড়ে। কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এলাকাসহ ওপারে ঝুলছে এসব ব্যানার পোস্টার।

বরিশাল সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামকে ঘিরে চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত চারজনের প্রচারণা চোখে পড়ে। সকলের চেষ্টা এই উপজেলার প্রায় সোয়া দুই লক্ষ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার। এদের মধ্যে ভোটার সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই লক্ষ। তবে ২০১১ সালের জনসংখ্যা পরিসংখ্যানে মোট লোকসংখ্যা ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৯ জন, পুরুষ ৯৭ হাজার ৭৩২ জন, মহিলা ১ লাখ ০১ হাজার ৭ জন উল্লেখ রয়েছে। একই হিসেবে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮১ জন, পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ৪৫৫ জন।

তবে আপডেট করা হলে এ সংখ্যা এখন দ্বিগুণ হবে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। এ অঞ্চলের বরাবরই নারী ভোটার বেশি। তাই জাতীয় বা স্থানীয় উভয় নির্বাচনেই নারীদের ভোট বেশি গুরুত্ব বহন করে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যানরা।

বরিশাল এক বা সদর আসনের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে নদীর ওপারে চরকাউয়া, চাঁদপুরা, চরমোনাই, চন্দ্রমোহন এবং টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় সব জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) জানালেন, তারা নিজেদের এলাকার সড়ক ও ব্রিজের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাচ্ছেন না। অনেক সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্টের কারণে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এগুলো নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এর কাছে ছুটোছুটি করছেন। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না বলে জানান বেশিরভাগ চেয়ারম্যান।

তারা বলেন, এখনোতো তফশিল ঘোষণা হয়নি। যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন তাদের অনেকেই হয়তো ততদিনে উইড্র হয়ে যাবেন বলে জানান টুঙ্গি বাড়িয়ার চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান। তার এলাকায় বদিউল্লাহ, শালুকা ও চর কেউটিয়া গ্রামে ফুলতলা নদীর উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করছে গ্রামবাসী। যা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান।

তিনি বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক চর কেউটিয়াতে একটি ব্রিজের ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে একই ইউনিয়নে আরো দুটি ব্রিজ কি করে চাইবো?

এদিকে চরমোনাই ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বেশিরভাগ গ্রামেই কোনো উন্নয়ন ছোঁয়া লাগেনি। যতটুকু উন্নয়ন তার সবটাই চরমোনাই মাহফিল ময়দান ও মাদ্রাসা এলাকায়। আশেপাশের গ্রামগুলোতে এখনো মাটির সড়ক চোখে পড়ে

চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক অবশ্য চারজন প্রার্থীকেই সময় দিয়েছেন দাবি করে বলেন, মনিরুল ইসলাম ছবি সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী, আবার এসএম জাকির যখন এসেছেন তখন ইউনিয়ন পরিষদের সব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আবার মাহমুদুল হক খান মামুন এসেছিলেন একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে। এলাকার মানুষের সাথে আমিও ছিলাম সেখানে।

চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন বললেন, বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এর নির্দেশনার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। চাঁদপুরা ইউনিয়ন বাসী জাহিদ ফারুকের সমর্থন যেদিকে সেদিকেই তারা থাকবে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন।

চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নিজেই সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পরপর চারবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাংগঠনিক ভাবে আমার অবস্থান প্রচণ্ড শক্ত রয়েছে। তাই মানুষের ভোটও আমি পাবো।

এদিক দিয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মধু। লাহারহাটের গ্রামে প্রচারণারত মধুর দাবি ১০ ইউনিয়নের ১৪৭টি গ্রামের প্রতিটি ঘরে আমি গিয়েছি। যতটুকু পেরেছি ততটুকু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তারপরও সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকের নাম লেখা হয়, আমার নাম লেখা হয় না।

তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, সাংবাদিকরাতো সবাই জাকিরের লোক। কেউ কেউ অবশ্য প্রতিমন্ত্রীর সমর্থন যেদিকে সেদিকে থাকবেন। তার ওপর খান মামুন এর অঢেল টাকাও রয়েছে। তিনি তা দিয়ে দান দক্ষিণা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান মধু। তিনি আরো বলেন, দৈনিক মতবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এসএম জাকিরতো শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুযোগে সাংবাদিকদের বড় একটা অংশের সুনজরে রয়েছেন। যে কারণে তার নিজের পত্রিকাসহ অনেক পত্রিকার প্রভাব বিস্তার হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মহলে। তাই তার জনসভায় সব চেয়ারম্যান মেম্বার উপস্থিত থাকতে বাধ্য হয় বলে জানালেন ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মধু।

যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক কাউন্সিলর এসএম জাকির বলেন, মানুষেরা জানেন আমি কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। আমাকে ভোট দিলে কারো প্রতারিত হওয়ার ভয় নেই। আমি দুই লক্ষ ভোটারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করবো বলে জানান এসএম জাকির।

অন্যদিকে প্রকাশ্যে প্রতিমন্ত্রীর ছবি সমেত ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মাহমুদুল হক খান মামুন এবং মধু দুজনেই। এই দুজনের মধ্যে খান মামুন প্রচার প্রচারণায় এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে অবদান রাখছেন। এপারে কাশীপুর, কড়াপুর, চরবাড়িয়া ও শায়েস্তাবাদের প্রতিটি সড়কের মোড়ে মাহমুদুল হক খান মামুন এর ব্যানার পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে। যা তাকে স্থানীয়ভাবে আলোচিত করে তুলছে। তার সম্পর্কে লোকেরা জানান, ত্যাগী নেতা তিনি। রাজনৈতিক জীবনে দল থেকে প্রাপ্তির খাতা শূন্য হলেও জনগণের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছেন তিনি।

তবে বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, কোনো পদপদবি মোহে নয়, সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করা, তাদের বিপদে এগিয়ে আসা, ছোটখাটো উপকার এসব আমরা পারিবারিকভাবেই করছি। কারণ বংশপরম্পরায় আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা প্রয়াত শামসুল হক এই বরিশালের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ছিলেন। ১৯৮১ সাল থেকে আমি বিএম কলেজে ছাত্রলীগের ভিপি ছিলাম। তিল তিল করে আজকের এই অবস্থানে এসেছি। এবার কেন্দ্রসহ স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করছি।

আগামী ৪ মে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান- বরিশালের নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সি। তিনি বলেন, ৪ মে থেকে ২৫ মে সারাদেশের উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেই ধারাবাহিকতায় বরিশালে প্রথম পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।

স্থানীয় সরকারের ২২৩ পদে নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচন কমিশন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারে বিভিন্ন পর্যায়ে ২২৩টি পদে আগামী ২৭ জুলাইয়ের উপ-নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম নির্বাচন স্থাগিতের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারদের চিঠি দেন। তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে কারফিউর কারণে ২৭ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনগুলো স্থগিত করেছে কমিশন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ১১ জুলাই। এসব নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন সংক্ষুব্ধরা। এজন্য জেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচারে চালাতে পারেন। আগামী ২৭ জুলাই সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে৷ সে অনুযায়ী, ১১ জুলাই থেকে আগামীকাল ২৫ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ১৫ দিন প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারতেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার পাঁচটি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। ২৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

সৌদি প্রবাসীদের জন্য এনআইডি সেবা চালু জুলাইয়ে/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশি সৌদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা সহজ করতে সেই দেশে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে চলতি জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এনআইডি সরবরাহের কার্যক্রম চালু করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসীদের এনআইডি সেবাটি উদ্বোধন করতে দেশটিতে যাবেন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। এজন্য আগামী ২০ থেকে ২৯ জুলাই সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। তার সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে থাকবেন সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা।

ইসির চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স শাখার উপ-সচিব মো. আলমের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে জানা গেছে, পুরো সফরের ব্যয় বহন করা হবে স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্প থেকে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতঃমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্যে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে সৌদি আরবেও কার্যক্রমটির উদ্বোধন করা হবে।

পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এই সেবা ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিংগাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ ও কানাডাতে এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়ে কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগটি হাতে নেয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনলাইনের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসীদের মাঝে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। তার আগে একই বছর ৫ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় অবস্থারত বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে অনলাইনে আবেদন নেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরপর সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালদ্বীপে থাকা বাংলাদেশিদের জন্যও এ সুযোগ চালু করা হয়।

সে সময় অনলাইনে আবেদন নিয়ে সেই আবেদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলা থেকে যাচাই করে সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট দেশে দূতাবাস থেকে এনআইডি সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল। এরপর করোনা মহামারির কারণে থমকে যায় দূতাবাসের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই কার্যক্রমকে ফের উজ্জীবিত করেন। এক্ষেত্রে আগের আবেদনগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন করে কার্যক্রম শুরু করেন তারা।

;

ঢাকা সিটি নির্বাচন

বাড়বে প্রার্থীর জামানত, পরিবর্তন হবে আচরণবিধির



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

ছবি: বার্তা২৪.কম, নির্বাচন কমিশন

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিধিমালায় ব্যাপক রদবলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। নতুন বিধিমালায় প্রার্থীদের জামানত ও নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় পরিবর্তনের ঈঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এই লক্ষ্যে ইসি গঠিত বিধি সংস্কার কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন এই বিধিমালা কার্যকর হবে আসন্ন ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।

ইসি’র একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসন্ন সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের জামানত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটার স্বাক্ষর বিধান সংস্কারসহ একাধিক বিষয় পরিবর্তনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। সে অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীদের জামানত বাড়বে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনশতাধিক ভোটারের স্বাক্ষরসহ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোসহ একাধিক বিধিমালা সংস্কার করার বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা প্রার্থীদের জামানত বাড়ানোর বিষয়ে বিরোধিতা করেছিলেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০২৩ (আরপিও) অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেসব এলাকায় পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ধরা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ভোটার থাকলে প্রার্থীর জামানত হবে ৩০ হাজার টাকা এবং যেসব সিটিতে ২০ লাখের ওপরে ভোটার থাকবে, সেখানে মেয়র প্রার্থীর জামানত ১ লাখ দেওয়ার বিধান আছে।

সিটি নির্বাচনে বর্তমানে ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা জামানত দেওয়ার বিধান রয়েছে। নতুন বিধিমালা সংস্কার হলে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে ইসি। কিন্তু স্থানীয় সরকারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জামানত ১০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে ‘উপজেলা নির্বাচন সংশোধন আইন-২০২৪’ করা হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় এখন ইসি উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানত বাড়ানো হবে।

ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটির নেতৃত্বে আছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

সিটি নির্বাচনের নতুন বিধিমালা সংস্কারের বিষয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের মতো সিটি নির্বাচনে একাধিক বিধিমালা ও আচরণবিধি পরিবর্তন করার বিষয়টি আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্তগুলো এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। ফলে এখনি চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না।

ইসির কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আসন্ন দেশের সব সিটি নির্বাচনে আইন ও আচরণবিধি পরিবর্তন করা হবে। তার মধ্যে অন্যতম- নির্বাচনি প্রচারণায় সাদাকালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার, নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে জনসংযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে নির্বাচনি প্রচার করা, মেয়র ও কাউন্সিল প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধি, ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

 এগুলো ছাড়াও একাধিক বিষয় পরিবর্তন করতে ইসির আইন বিধিমালা সংস্কার কমিটি কাজ করছে।

তারা আরো বলেন, ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাগুলো নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। কমিটি প্রধান বিষয়টি আর পর্যালোচনার কথা বলেছেন। পরবর্তীতে কমিশন সভা খসড়ার সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত করলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিং চূড়ান্ত হলে ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিধিগুলো কার্যকর হবে।

;

বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে ২২৩ স্থানীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ২২৩টি পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ জুলাই। এই সব নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ২৭ জুলাই বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২৩টি পদে, পৌরসভার ৫টি পদে ও ইউনিয়ন পরিষদের ১৯৫টি পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ জুলাই। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের সময় ৬ থেকে ৮ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি ৯ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১১ জুলাই। আর ভোটগ্রহণ ২৭ জুলাই।

;