উপজেলা নির্বাচন

ধোবাউড়ায় টানা ২য় বার নির্বাচিত হলেন ডেভিড রানা চিসিম 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা দ্বিতীয় বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে উপজেলার ৫৪ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে  ২৮ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে  নির্বাচিত হয়েছেন ডেভিড রানা চিসিম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডা. আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট। 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মাইক প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৭৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজহারুল ইসলাম খায়রুল পেয়েছেন ২০ হাজার ২৩৫ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১০২ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিলকিস আক্তার হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১৬ ভোট।

   

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইসহ ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইয়ের জামানত বাজেয়াপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ফলাফল বিশ্লেষণে বিষয়টি জানা যায়। জামানত ফিরে পেতে কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১১ হাজার ২৮৪টি ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৬১০ ভোট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়াারী।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট। সেতু মন্ত্রীর ভাই শাহাদাত হোসেন টেলিফোন প্রতীকে ৪ হাজার ৬১০টি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। সর্বশেষ মোটরসাইকেল প্রতীকে ওমর আলী ১ হাজার ৪৮২ ভোট পেয়ে জামানত হারালেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী বলেন, জামানত হারানোয় শাহাদাত হোসেন ও ওমর আলীর চেয়ারম্যান পদের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে রাখা ১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পায়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এই বিধি অনুযায়ী শাহাদাত হোসেনকে জামানত রক্ষার জন্য পেতে হতো ১১ হাজার ২৮৪ ভোট। তা না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া অর্থ খোয়াতে হচ্ছে তাকে।

;

তৃতীয় ধাপে ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৮ শতাংশ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সচিব জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিদায়ী সচিব ও নবাগত সচিব শফিউল আজিমের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান বিদায়ী সচিব জাহাংগীর আলম।

বিদায়ী সচিব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমার তথ্য চাইতেন। অনেক সময় তথ্য থাকতো না। আপনারা আমাকে খোঁচা দিতেন। আমি হয়তোবা আপনাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছি যা শোভন না। তবে আমাদের স্বচ্ছতার কোনো ঘাটতি ছিল না।

তিনি বলেন, আমার আচরণে আপনাদের সহসা কষ্ট দিতে চাইনি। তবুও বিদায় বেলায় আপনারা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারাই আমাদের জনগণের কাছে চিনিয়েছেন।

গত ২১ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জাহাংগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বদলির আদেশ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নতুন সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমরা তো রাজনীতির ভিতরেই বসবাস করি। গণতন্ত্র সরকার রাজনৈতিক দল জনগণ সবকিছু মিলিয়েই গণতন্ত্র। কাউকে আইনের বাইরে গিয়ে সেবা দেওয়া যাবে না। আপনাদের যেটি প্রাপ্য সেটি একশভাগ দেওয়া সম্ভব।

২১ মে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিমকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচন: লক্ষ্মীপুরে টিপুর হ্যাটট্রিক জয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তৃতীয় ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিপুল ব‍্যবধানে জয় পেয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু। তিনি জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এই নিয়ে তিনবার তিনি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন।

বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট শেষে রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নের ১৯২ কেন্দ্রের চূড়ান্ত ফলাফলে টিপু পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৭০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। এ হিসেবে সালাহ উদ্দিন টিপুর ভোটের ব‍্যবধান ৬৩ হাজার ৩০৭ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বই প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৬১৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. ইউছুফ পাটওয়ারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীক নিয়ে মো. হাফিজ উল্যাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৫৬ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতিক নিয়ে ৪১ হাজার ৭৬৮ ভোটে ফরিদা ইয়াসমিন লিকা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তিনি ২০১৪ সালে মহিলা ভাইসচেয়াম্যান ও পরবর্তীতে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী খালেদা আক্তার হাঁস প্রতিকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭১৫ ভোট। তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১ জন ছাড়া আর কোন হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায় ভোট নিয়ে সাধারন ভোটারদের মাঝে উৎসাহ আমেজ পরিলক্ষিত হয়নি। তাই ভোটের শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় টানা তিনবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন সালাহ উদ্দিন টিপু। এর মধ্যে ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং ২০১৮ সালে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয় লাভ করেন টিপু।

;

নোয়াখালীতে ৩ উপজেলায় আওয়ামী লীগের জয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা।  

বুধবার (২৯ মে) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার।  এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান আনারস প্রতীকে  ৪৭ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থক এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী আরমান কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৭৬ ভোট।

বেগমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সাহেদ শাহরিয়ার দোয়াত কলম প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আজিম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭২৫ ভোট। 

অপরদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস  প্রতীকে ৪৮হাজার ১৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৯ ভোট।

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মো. শাহদাত হোসেন ও আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল। তাদের সাথে একই অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ফাতেমা বেগম ওরফে পারভীনও। ভোট গ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টার মাথায় ৭১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০টি দখল করে সিল মারার অভিযোগে তারা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় তারা এই ভোট বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি করেন। 

;