ফেনী সদর উপজেলায় নির্বাচনী আমেজ, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপে আগামী ২৯ মে ফেনীর ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে রয়েছে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলা। এরমধ্যে সব থেকে বেশি উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। নির্বাচনে অন্যকোনো হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। পাশাপাশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার।

ফেনী সদরে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে শহর থেকে গ্রামের প্রতিটি অলিগলি ছেয়ে গেছে। ব্যানার-পোস্টারের পাশাপাশি প্রচারের তোড়জোড়ে পাড়া-মহল্লায় চলছে নির্বাচনী মাইকিং। তবে অন্য কোনো প্রার্থীর তেমন কোনো প্রচারণা লক্ষ্যে করা যায়নি।

নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে

প্রচারণার মাঠে বর্তমান চেয়ারম্যানের দোয়াত-কলম ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি। শহরের অধিকাংশ পোস্টার ব্যানার দোয়াত-কলম প্রার্থীর৷ গুটিকয়েক পোস্টার রয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর।

নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে সদরের ১২ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডে পথসভা, বর্ধিত সভা, মহিলা সমাবেশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী শুসেন শীল। সভা সমাবেশে সকলকে কেন্দ্রে এসে ভোট প্রদান করে ভোট উৎসবে মেতে উঠার আহ্বান জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ মে) ইউনিয়ন পর্যায়ের মহিলা সমাবেশের শেষ দিনে নিজ ইউনিয়ন বালিগাঁওয়ে মহিলা সমাবেশে অংশ নেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল। এসময় বালিগাঁও ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার মহিলা সমাবেশে অংশ নেন এবং নিজেদের ইউনিয়নের সন্তানকে বিপুল ভোটে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বালিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হল বাহারের সভাপতিত্বে ও ফেনী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিলা আক্তার মিমির সঞ্চালনায় মহিলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জাহানারা বেগম সুরমা, সাধারণ সম্পাদক লায়লা জেসমিন বড়মনি, ফেনী পৌরসভা মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী একে শহীদ উল্ল্যাহ খোন্দকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোর্শেদা আক্তার, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নূরুল আবছার আপন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৩মে থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের ১৬ টি বর্ধিত সভা, ১২টি মহিলা সমাবেশ, পৌর এলাকায় ৬টি পথসভা এবং ফেনী শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড, প্রত্যেক ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও মহল্লায় গণসংযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফেনীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়, জেলার ওলামা ও মাশায়েখদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় এবং ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন তিনি।

আসন্ন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পৌরবাসী ও সদর উপজেলার বাসিন্দাদের ভোট উৎসবে মেতে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, শুসেন চন্দ্র শীল বালিগাঁওসহ ফেনী সদরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে হবে। নিজাম হাজারী যেভাবে ফেনীকে সুন্দর রেখেছেন আমাদের সে ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করতে হবে। দোয়াত-কলম, টিউবওয়েল ও কলস প্রতীককে বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা যেভাবে সবাই ভোট উৎসব করে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে জয়ী করেছি, আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা সবাই একসাথে কাজ করে আমাদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে চাই।

চেয়ারম্যান প্রার্থী শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ ও আমরা ভোট উৎসব করতে চাই। যে ভোটে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে আমাদের নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। দেশ গঠনে আওয়ামী লীগের অবদান সবচাইতে বেশি। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষ্যে ফেনী সদরে উৎসবের আমেজ বইছে। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে মুখিয়ে আছে। আমরা সকল ইউনিয়নে গিয়েছি, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি। মহিলা সমাবেশ, বর্ধিত সভা, মতবিনিময় সভা করেছি। এতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেনীর মানুষ ভোট উৎসবে মেতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা দেখা যায়নি। 

   

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা, উপ-নির্বাচনের নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। পাশাপাশি ওই পৌর সভায় মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রজ্ঞাপন পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক বিভিন্ন অভিযোগে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় সরকার তথা স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৮ (১২) মোতাবেক ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের আসনটি রোববার (২৩ জুন) থেকে শূন্য ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া বিধানমত পৌরসভার মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও টানা তৃতীয় বারের মতো পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল কাদের শেখকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

বরখাস্তের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন আব্দুল কাদের শেখ। গত ৬ মে ওই রিট আবেদন শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।

এ ঘটনায় পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এদিকে কাউন্সিলদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।

মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার পর পরই উপ-নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক এবং দুই বারের পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র বাবু অঙ্কন কর্মকার এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের পৌর কাউন্সিলর মোহন মিয়া।

জামালপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ শূন্য ঘোষণার বিষয়টি অবগত হয়েছে। যথা সময়ে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকরণ তথ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয় শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেবেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণ নিয়েও অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে।

সংস্থাটির উপ-সচিব মো. শাহ আলম এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব শাখায় পাঠিয়েছেন।

সম্মেলনটি আগামী ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্যামব্রিজে অনুষ্ঠিত হবে।

ইসি জানায়, ক্যামব্রিজ কনফারেন্স অন ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি শিরোনামে ওই সম্মেলনে অংশ নিতে ১৭ থেকে ২৬ জুলাই ব্রিটেন সফর করবেন মো. আহসান হাবিব খান। সম্মেলন কর্তৃপক্ষ তিনদিনের স্থানীয় থাকা খাওয়া ও যাতায়াত ব্যয় বহন করবে। বিমান ভাড়া বহন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সম্মেলন শেষে ২১ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার নিজেই ব্যয় বহন করবেন।

জানা গেছে, সম্মলেনে বিভিন্ন নির্বাচন কমিশন তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে পারবে। এছাড়া পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে থাকবে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ।

মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন কমিশনগুলোর এ সম্মেলনে সংস্থাগুলো সর্বশেষ আইনি পরিমার্জন, ভোটার শিক্ষণ পদ্ধতি, অংশগ্রহণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার ভূমিকা, গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রভৃতি নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।

;

পৌর উপনির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট

প্রয়োজনে সারারাত ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ ইসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটের হিসাব বিবরণী পাঠানোর সুবিধার্থে আগামী ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৫ জুন) ইসি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

মো. আতিয়ার রহমান বলেন, আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঞ্চন পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন এবং বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়রের শূন্যপদে উপনির্বাচনে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটগণনার বিবরণীর একটি কপি ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন।

ভোটগণনার বিবরণী যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছানোর জন্য প্রিজাইডিং অফিসার অগ্রিম ডাকমাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে বীমাকৃত ডাকযোগে অথবা প্রাপ্তিস্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠাবেন।

প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস থেকে অবশ্যই প্রাপ্তি স্বীকার গ্রহণ করবেন। এমন কী ভোটগ্রহণের পরের দিনও উল্লিখিত খামে প্রাপ্ত ভোটগণনার বিবরণী একই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।

উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, প্রিজাইডিং অফিসাররা যাতে অগ্রিম ডাক মাশুল পরিশোধ না করে কাছাকাছি যে কোনো ডাকঘর থেকে ভোটগণনার বিবরণী বীমা করে ডাকে অথবা প্রাপ্তি স্বীকার রেজিস্টার্ড ডাকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে পারেন, সে জন্য ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুন বুধবার বিকেল ৫টা থেকে প্রয়োজনে সারারাত ও পরের দিন সকাল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডাকঘরগুলো খোলা রেখে ডাকে পাঠানো ফলাফল বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

;

৪৬৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ ধাপ মিলিয়ে ৪৬৯ উপজেলায় মোট ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সোমবার (১০ জুন) বিকেলে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি এর আয়োজনে 'আরএফইডি টক' অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অতীতের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

তিনি বলেন, এবার নির্বাচন অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। অনেকে প্রভাব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, আমাদের তৎপরতায় সফল হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও বেশি সংস্কার প্রয়োজন।

;