উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যাবে না খুলনা বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে পূর্ণ আনুগত্য রেখে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না খুলনায় দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। খুলনার নয়টি উপজেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না তারা। তাহলে শক্ত প্রতিপক্ষ ছাড়াই একপেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও আশাঙ্কা করছেন ভোটাররা।

সূত্রমতে, উপজেলা নির্বাচন হবে পাঁচটি ধাপে। আর মাত্র নয়দিন পর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচন ৮ অথবা ৯ মার্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে আগাম প্রচার-প্রচারণা ও লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঠিক তার উল্টো চিত্র বিএনপি শিবিরে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আপাতত নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না বিএনপি নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল না গেলেও ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুলনা রূপসা উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, আবু হোসেন বাবু ও মোল্যা খায়রুল ইসলাম, তেরখাদার এসএম মেজবাউল আলম ও এফএম হাবিবুর রহমান, দিঘলিয়ার এম সাইফুর রহমান মিন্টু ও শরীফ মোয়াজ্জেম হোসেন, দাকোপের আবুল খায়ের খান, পাইকগাছার ডাঃ আব্দুল মজিদ, কয়রার এড. মোমরেজুল ইসলাম ও নুরুল আমিন বাবুল সকলেই এক বাক্যে উত্তর দিলেন ‘না’। তারা বলেন, 'এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়।' দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তারা।

ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ বলেন, 'গত নির্বাচনে ভোট লুটপাট চিত্র শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী দেখেছে। এ অবস্থায় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাবে না। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে সম্পূর্ণ একমত।'

ফুলতলা উপজেলা পরিষদের প্রয়াত চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর ভাই সরদার সেলিম হোসেন বলেন, 'বাবা ও ভাইকে হারিয়েছি রাজনীতির কারণেই। তারা দুজন সারাজীবন ফুলতলাবাসীর খেদমত করেছেন। দল যদি নির্বাচনে যায় আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চাইবো। তবে দল যদি নির্বাচনে না যায়, আমিও দলের সিদ্ধান্ত নেমে নেব।'

বটিয়াঘাটার সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান বলেন, 'কিছুদিন আগে দেশবাসী দেখেছে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কেমন হয়। মানুষের ভোটের অধিকার হরণকারীদের নিয়ন্ত্রিত ও ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।'

জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ সরকারের অধীনে দেশে আর কোনদিন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এ সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।'

আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবার কোন সম্ভাবনাই নেই বলে দাবি করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এ সদস্য। দলের কেউ যদি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেন, সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়, সাংগঠনিক নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

   

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

আচরণবিধি লঙ্ঘন: বরগুনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের সমর্থক নিশান বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আটককৃতদের  মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) বিকেলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন- তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজবিউল কবির জোমাদ্দারের সমর্থকরা নির্বাচনীয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করে। এ কারণে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালা ২০১৬ এর ৫ (১) ধারা ভঙ্গ ও ৩২ ধারা মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তালতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়ক অবরোধ করে শোডাউন করার কারণে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও চারজনকে আটক করার পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

;

১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সহিংসতার আশঙ্কায় দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলার মধ্য ১৬ উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন অতিরিক্ত বিজিবি, র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনার উপসচিব আতিয়ার রহমান এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

ইসি জানায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা ও বাউফল উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলা, গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলায় ২-৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব এলাকায় র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করার জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদার আলোকেই এসব এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ইন এইড টু দ্যা সিভিল পাওয়ার এর আওতায় ১৯ মে থেকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে

;

‘ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ না থাকা এবং ভোটাররাও রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ রুমে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কারো অনাস্থা নেই। বিএনপির অনাস্থা রাজনৈতিক ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, আশা করি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা মাঠে আছে সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

গোপালগঞ্জে একজন মারা গেছে, সেখান থেকে কী শিক্ষা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনা নির্বাচনের কারণে নাকি ব্যক্তিগত কারণে সেটাও দেখতে হবে। তদন্ত না হলে তো মূল কারণ বলা যায় না। এছাড়া নির্বাচন না থাকলে এদেশে সহিংসতা হয়না তাতো নয়। এখন পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া পুলিশ প্রশাসন ভোটের পরে ৪৮ ঘণ্টা থাকে। সে সময়ের মধ্যে তো কিছু হয়নি।

ধান কাটা ভোট কম পড়ার প্রধান কারণ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিষয়টা এমন নয়। আপানারা কেন বিষয়টা ওইদিকে নিয়ে আমাদের খোঁচা দেন৷ ওইদিন তাৎক্ষণিক কারণ ছিল সকালে বৃষ্টি হয়েছিলো। অন্যান্য কারণের মধ্যে ধান কাটা ছিল, বড় দল অংশ নেয়নি এসব কারণে ভোট কম পড়েছে। তাছাড়া ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। বিশেষ করে আরেকটি বড় কারণ হলো স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশনার কমিশনার আরও বলেন, এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। এটা সারা পৃথিবীতেই এমন। ভারতেও সব দল অংশ নিলেও ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে।

;