‘সংবিধানে মৃত্যুর কারণে আসন শূন্য হওয়ার কথা স্পষ্ট উল্লেখ নেই’
সংবিধানে মৃত্যুর কারণে আসন শূন্য হওয়ার কথা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। আনার সাহেব মারা গেছেন কিনা অফিশিয়ালি আমরা জানি না। এক্ষেত্রে সংসদ যেভাবে বলবে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
একজন সংসদ সদস্যের যদি সাধারণ মৃত্য কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে তাহলে সেই ক্ষেত্রে ওই আসনে কি হবে? এটি কী সংবিধানের কোথাও উল্লেখ করা আছে? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, সংবিধানের ৬৬ বা ৬৭তে এ বিষয়ে আমরা কোনো কিছু উল্লেখ দেখি না। মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে এটি আমি এ পর্যন্ত সংবিধানে দেখিনি। সাধারণত এটি ধরে নেওয়া হয়, যদি সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন তার পক্ষে তো আর সংসদে আসা সম্ভব নয়। এটি ধরে নিয়েই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং আমাদেরকে যখন জানানো হয়, আমরা সংবিধানের ১২৩ অনুযায়ী নির্বাচন করি।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের ক্ষেত্রে কি হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিক বা অপমৃত্যু যাই হোক না কেন এটা হলো সংসদের দায়িত্ব। স্পিকার যখন মৃত্যু সনদ পাবেন তখন সংসদ আসটি শূন্য ঘোষণা করবে। শূন্য ঘোষণা করলে গেজেট আমাদের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপরে আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো।
সংসদ সদস্যের মৃত্যু কারণে আসন শূন্য হবে এটি সংবিধানে উল্লেখ নেই কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি কেন উল্লেখ করা হয়নি এটি তো আমি বলতে পারবো না। সংসদ সচিব সাহেবকে জিজ্ঞেস করবেন, ওখানে যারা সংসদ সদস্যরা আছেন, উনারা বললে বলতে পারেন।
এতে অসংগতি হলো কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, থাকলে ভালো হতো। যেহেতু টানা ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে স্পিকার সংসদ সদস্য পদ শূন্য ঘোষণা করেন। যদিও সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা নাই, মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আনানের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি মারা গেছেন কি, মারা যাননি সেটি তো আমরা জানি না। আমরা অফিসিয়ালি জানি না। এটি সংসদ থেকে গেজেট করে যখন জানাবে তখন আমরা জানতে পারবো। উনি মারা গেছেন কি না। সংসদ যদি আসনটি শূন্য ঘোষণা করে তখন আমরা নির্বাচনের ব্যবস্থা করবো।
সবকিছু স্পষ্ট করে লেখা না থাকলে যে কাজ করা যাবে না তাতো নয়। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না পাবো, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন করতে পারবো না।