রাজশাহীতে গল্প-আড্ডায় সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা



হাসান আদিব, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
ভোটকেন্দ্রের সামনে এভাবে অলস সময় করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪

ভোটকেন্দ্রের সামনে এভাবে অলস সময় করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে চলছে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রোববার (১০ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহীর আটটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সব উপজেলাতেই নিরুত্তাপ ভোটের মাঠ। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রই ভোটারশূন্য। সকালে নারী ভোটারদের কেন্দ্রে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার পর কেন্দ্রগুলোও ফাঁকা হয়ে পড়েছে।

এদিকে, ভোটার না থাকায় কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্য থেকে শুরু করে পোলিং এজেন্টদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রে কর্মরত অনেককেই গল্প-আড্ডা দিতে দেখা গেছে। 

রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর, তানোর, পুঠিয়া, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাট, মোহনপুর উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে প্রায়ই একই দৃশ্য চোখে পড়েছে। ফলে কেন্দ্রের ভেতরে দায়িত্বরতদের বসে খোশ গল্পে মেতে থাকতে দেখা যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/10/1552207657519.jpg

বেলা ১১টার দিকে বাগমারা উপজেলার মচমইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একজন ভোটারও নেই। বাইরে একটি কাঠের বেঞ্চে বসে থেকে সময় পার করছেন নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। উপজেলার অন্য আরও অন্তত ১০ কেন্দ্রে গিয়েও একই দৃশ্য চোখে পড়ে।

অন্যদিকে সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ২ হাজার ৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৫৮ জন। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার খন্দকার মাহফুজুল হক বলেন, 'ভোটার কম এটা ঠিক। তবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জেলার ৮টি উপজেলার ৫২২টি কেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোদাগাড়ীর সারেংপুর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে ২ হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে ওই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪০০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানান প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুল হক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/10/1552207688212.jpg

এদিকে, যেসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন সেসব উপজেলায় ভোটাররা আতঙ্কে রয়েছেন। ফলে সংঘর্ষের শঙ্কায় অধিকাংশ ভোটার বাড়ি থেকে বের হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না। বিশেষ করে দুর্গাপুর, বাগমারা, তানোর ও গোদাগাড়ীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। জেলার ৮টি উপজেলায় প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ সদস্যের সাথে ১২ জন আনসার এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে দুই জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী জেলা জুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। এখনও পর্যন্ত আমরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। তানোরে পারিবারিক দ্বন্দ্বে মারামারি হয়েছে। সেটা নির্বাচনী কোনো সহিংসতা নয়।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/10/1552207721262.jpg

তিনি বলেন, 'ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় দুটি করে মোট ১০৯টি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে। থানায় থানায় রাখা হয়েছে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স। প্রস্তুত রয়েছে জেলা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও (কিউআরটি)। এছাড়া তিন প্লাটুন বিজিবি ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রেখেছে।'

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বেড়েছে।'

জানা গেছে, জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে বাঘা ও মোহনপুর উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুই জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া গোদাগাড়ীতে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

ফলে ছয় উপজেলায় ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন, ৮ উপজেলাতে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন ৩০ জন এবং ৭ উপজেলায় মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৯ জন প্রার্থী।

   

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে ) ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিষয়টি জানিয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন মাননীয় আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।

২৬ মে সকাল ১১ টায় এ প্রার্থীকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে ইসি।

তৃতীয় ধাপেও ২৯ মে এ উপজেলায় ভোটের কথা রয়েছে।

;

মঠবাড়ীয়ার রিয়াজের প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

ইসি সচিব বলেন, রিয়াজ উদ্দিন প্রতীক বরাদ্দের দিন বড় ধরণের শোডাউন করেছেন। যেটি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। এ জন্য রিটার্নিং অফিসার তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন। তার ব্যাখ্যা পেয়ে সন্তুষ্ট না হয়ে রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টি গোচরে আনেন।

কমিশনের নির্দেশে আজ তিনি ও দুইজন আইনজীবীকে নিয়ে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেছেন। শুনানিতে তিনি দোষ স্বীকার করে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে তার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনাটি একটি বড় ধরণের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে।

আগামী ২৯ মে এই উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

;

নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস হলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না: রাশেদা সুলতানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি। নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না এবং দেশের মানুষের জন্য কোনো মঙ্গল বয়ে আনবে না। সেই কথা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন সবগুলো নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছে। যাতে এই নির্বাচনগুলো সহিংসতা মুক্ত হয়। মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ১১টার দিকে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বেগম রাশেদা সুলতানা এসব কথা বলেন।

বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলোও আমরা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে চাই। যাতে সাধারণ মানুষেরা বলতে পারে এই নির্বাচন কমিশন ভালো নির্বাচন করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যক্তিকে বিজয় করার লক্ষে কাজ করে না। প্রশাসনকেও সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের একটাই উদ্দেশ্য নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। দেশে-বিদেশের সব জায়গায় যেন প্রশংসিত হয় বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে। নির্বাচন কমিশনের একটাই প্রত্যাশা নির্বাচন যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে। কালিমা লিপ্ত না হয়

প্রার্থীদের উদ্দেশে রাশেদা সুলতানা বলেন, আচরণবিধি মেনে প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। বিনা কারণে একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হয়ে আক্রমণ করে কথা বলা যাবে না। ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্রে আসে সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। কোনো প্রার্থীর কোনো অভিযোগ থাকলে কমিশনকে জানালে সাথে সাথে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি

নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, দেশে সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে বিরাজমান থাকে ও জোরদার হয় সেই চিন্তা করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মানুষ যেন বলে এই কমিশনের সময় নির্বাচন ব্যবস্থা কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় নাই, ধ্বংস হয় নাই।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইমতিয়াজ হোসেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

;

লালমোহনে নির্বাচনী মিছিলে ডিএসবি'র এসআইয়ের উপর হামলা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে, ভোলার লালমোহনে নির্বাচনি একটি মিছিল থেকে ডিএসবি (ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এর এক পুলিশের সদস্যের ওপর হামলার ঘটনার একটি ভিডিও এসেছে সংবাদমাধ্যমের  কাছে।

ভিডিও এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২২ মে) রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে লালমোহন পৌর শহরের হাইস্কুল সুপার মার্কেট এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পৌর শহরে মিছিল বের করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান টিটবের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থকরা। একই সময় ওই মিছিলের পিছন থেকে মিছিল শুরু করে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

এসময় মিছিলের ভিডিও ধারণ করছিলেন ডিএসবি'র এসআই একেএম আবদুল হক। তার উপর হামলা চালায় শালিক প্রতীকের সমর্থকরা। 

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শালিক প্রতীকের মিছিল থেকে হামলার শিকার হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জানান ডিএসবি'র এসআই কেএম আবদুল হক।

হামলা বিষয় জানতে শালিক প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

হামলার হামলার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম। হামলার বিষয় জানতে চাইলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মন্তব্য কোনো মন্তব্য করেননি ওসি।

এদিকে এখনও পর্যন্ত কেন এই ঘটনা কাউকে আটক করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান বার্তা ২৪ কে জানান, হামলার ভিডিওটি আমি দেখেছি, হামলার বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আআইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

;