‘মেশিনোত ভোট, ভালোয় সিস্টেম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোট কেন্দ্রে এসেছেন লোকমান মিয়া। বয়স ৭০ বছর। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছেন তিনি।

রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়া একরামিয়া ও খাঁন চৌধুরী দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা হয় লোকমান মিয়ার।

লোকমান মিয়া বলেন, 'ইয়্যার আগেরবার উপজেলাত মুই ভোট দিবার পারো নাই। মোর ভোট কায়বা আগোতে দিয়্যা গেছিল। কিন্তুক এবার মোর ভোট অন্য কায়ো দেয় নাই। মোর ভোট মুই দিনু। মেশিনোত ভোট, ভালোয় সিস্টেম। জাল ভোট নাই।'

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আজ রংপুর সদর ও মিঠাপুকুর উপজেলাতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

দুই উপজেলার মধ্যে রংপুর সদরে ইভিএম এবং মিঠাপুকুরে ব্যালট পেপারে ভোট দিচ্ছে ভোটাররা।

দুই উপজেলাতে মোট ৫ লাখ ৬ হাজার ৫৬৯ জন ভোটারের ভোট প্রদানে ১৯৫টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর সদরে ৪৭টি কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ৩৪৪টি এবং মিঠাপুকুরে ১৪৮টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭টি ভোট কক্ষ রয়েছে।

পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রংপুর সদর উপজেলায় মোট ১ লাখ ২০ হাজার ১৫৫ জন ভোটারের মধ্যে নারী ৫৯ হাজার ৮৫৯ জন এবং পুরুষ ভোটার রয়েছে ৬০ হাজার ২৯৬ জন।

এছাড়া মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৯৭৬ এবং নারী ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৩৮ জন।

দুই উপজেলাতে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দুই হাজার ৭০২ জন কর্মকর্তা ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।

এদিকে রংপুর সদর ও মিঠাপুকুরে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মিঠাপুকুরে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী নেই। তবে রংপুর সদরে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।

   

১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

নির্বাচনে তিনটি পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

এই ধাপে তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২২ প্রার্থী। রাউজান ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় সকল পদেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

১৫৬ উপজেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ১৩ হাজার ১৬টি কেন্দ্রের ৯১ হাজার ৫৮৯টি ভোটকক্ষে।

২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা ভেদে দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে। ১৬টি উপজেলায় নিয়োজিত করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন লাখ ৫৩ হাজার ৭২০ জন সদস্য ভোটের দায়িত্বে মাঠে রয়েছেন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি ৪৫৮ প্লাটুন, ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ৪৭ হাজার ৮২৯ জন, স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ ১৯ হাজার ৫৭ জন, র‍্যাবের দুই হাজার ৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য রয়েছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনের জন্য প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের জন্য রয়েছেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভোটের নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণের দু’দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম। রয়েছে মাঠ পর্যায় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং ও সমন্বয় সেল। যেই সেল যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। ইতিমধ্যে যান চলাচলও সীমিত করা হয়েছে ভোটের এলাকায়।

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে, তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। অন্যগুলোতে আগামী ২৯ মে ও ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। কয়েকটি উপজেলার মেয়াদ পূর্তি না হওয়ায় ভোটের তফসিল এখনো দেয়নি ইসি।

;

হোটেলে খেতে গিয়ে দায়িত্ব হারালেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে ভোটকেন্দ্রের বাইরে হোটেলে রাতের খাবার খেতে গিয়ে দায়িত্ব থেকে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারককে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মাজহার ইবনে মোবারক জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।

প্রত্যাহার হওয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাজহার ইবনে মোবারক বলেন, আমি রাতের খাবার খেতে বাইরে হোটেলে গিয়েছিলাম। সে সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এসেছেন। এটি আমার জানা ছিল না।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন (২য় ধাপ) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলেমান আলী বলেন, নিয়ম না মেনে তিনি কেন্দ্রের বাইরে যাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেখানে নতুন এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

;

দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন কাল, ভোটার উপস্থিতি বাড়ার প্রত্যাশা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন মঙ্গলবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি হয়নি। ওইসময় মোট ভোটারের ৩৬ দশমিক এক শতাংশ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ভোট কেন্দ্রে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি বাড়বে, ইসির এমন প্রত্যাশা নিয়ে ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।

ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের ভোট আরও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান কমিশনের সময়ে সবগুলো ভোটই শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়। ভোট পড়লেই খুশি ইসি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। আশা করি, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের চেয়েও সুষ্ঠু হবে এবং ভোটার উপস্থিতি আগের চেয়েও বাড়বে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলায় তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন। সেই সাথে তিন পদে ২২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দু'উপজেলায় তিন পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী লাভ করেছে।

ইসি জানায়, ১৫৬ উপজেলার মধ্য ২৪ উপজেয়ায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাকি ১৩২ উপজেলায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেসব এলাকায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে ওইসব এলাকায় একটি করে কারিগরি টিম গঠন করেছে ইসি।

ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা...

এদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ও সাধারণ কেন্দ্রে বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসি। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে নিরাপত্তা বিবেচনায় ১৬ উপজেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

১৫৬ উপজেলায় মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে পুলিশ থাকবে ১৯ হাজার ৫৭ জন। র‍্যাব থাকবে ২৭৬৮ জন ও আনসার সদস্য থাকবে এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।

আচরণবিধি মানাতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষ ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

ভোটার ও ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা

১৫৬ উপজেলায় মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬টি। ভোট কক্ষ রয়েছে ৯১ হাজার ৫৮৯। অস্থায়ী ভোট কক্ষ রয়েছে আট হাজার ৮৪১টি। এই ধাপের মোট ভোটার তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ৭৪৮ জন। তার মধ্য পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ পাঁচ হাজার ৪৬৪ জন। নারী ভোটার রয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২৩৭ জন।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় তফশিল ঘোষণায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানান সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট সম্পন্ন হয় গত ৮ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, দ্বিতীয় ধাপ

সেনবাগে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টকে গুমের হুমকি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ‘আনারস’ প্রতীকের এজেন্টদের ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ‘কলম’ প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান ‘হেলিকপ্টার’ প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের এক এজেন্টকে ‘গুম’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

সোমবার (২০ মে) ‘আনারস’ প্রতীকের একাধিক এজেন্ট সংবাদমাধ্যমের কাছে এ অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগের ২ নম্বর কেশারপাড় ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের একজন এজেন্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও বর্তমান চেয়ারম্যান হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন।

তারা আমাদের কর্মীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। বিশেষ করে আমার বাড়িতে প্রার্থী আবু জাফর টিপু ভোট চাইতে এসে আমার স্ত্রীকে সরাসরি হুমকি দিয়ে গেছেন। এ ছাড়াও আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করায় কেশারপাড়ের এক বাজারে আমাকে একা পেয়ে আমার গায়ে হাত তুলেছেন প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি'।

এ এজেন্ট আরো বলেন, ‘আমি পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলার রক্ষা দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতনদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আবু জাফর টিপু ও জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনীকে দমন করেন। এরা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে দিতে চায় না’।

এদিকে, ৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের বয়োবৃদ্ধ এক এজেন্ট জানান, আনারস প্রতীকের হয়ে এজেন্ট হলে তাকে গুম করে ফেলা হবে বলে আবু জাফর টিপুর লোকজন হুমকি দিয়েছেন। তিনি এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ওই এজেন্টের ছেলে শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা আনারস প্রতীকের জন্য কাজ করায় আমাদের পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। বিশেষ করে আবু জাফর টিপুর লোকজন সরাসরি গুম করার হুমকি দিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছি’।

একই অভিযোগ করেন ৫ নম্বর অর্জুনতলা ইউনিয়নের আনারস প্রতীকের আরেক নারী এজেন্ট।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে গেলে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর লোকজন। রোববার (১৯ মে) রাতে নির্বাচনি ক্যাম্পেইন করে বাড়ি ফিরে আসার সময় আমাকে বাজারের রাস্তায় আটকে এভাবে হুমকি দেয় জাফর চৌধুরীর সমর্থকেরা। আমি নিরাপত্তা চেয়ে সাইফুল আলম দিপুসহ প্রশাসনের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছি'।

অভিযোগের সত্যতা জানতে কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু ও হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার’ বলে জানান।

তবে তাদের লোকজন এমন কিছু করে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘নির্বাচনে হার-জিৎ থাকতেই পারে। তবে রাজনীতির নামে এমন নোংরামি করা উচিত নয়। প্রতিপক্ষের লোকজন পরাজয় নিশ্চিত জেনে আমার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে অন্তত ১০ জনকে আহত করা হয়েছে। আমার এলাকার কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে যেন না যায়, সেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এটাই আমার প্রত্যাশা'।

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাইফুল আলম দিপু বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। তাই, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি।

নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকে প্রতিদিনই আমাদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সাধারণ লোকজনের বিপুল উপস্থিতি দেখে তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন গত সংসদ নির্বাচনের সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এক হয়েছে। সাধারণ ভোটাররা আগামী ২১ মে ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে'।

;