দুই সিটিতে নির্বাচনের ‘ঢাক ঢাক গুড় গুড়’



শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০ সালের শুরুতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বছরের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের মনোভাব নেতিবাচক। যথাসময়ে নির্বাচন হোক আর না হোক দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই ‘ঢাক ঢাক গুড় গুড়’ শুরু হয়েছে।

এরইমধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়ররা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুনরায় প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশায় নগরবাসীর ভোট চাইতে শুরু করেছেন। থেমে নেই দুই সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও নিজ নিজ ওয়ার্ডে পোস্টার-লিফলেট দিয়ে এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি মাসে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট হবে। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহের যে কোনদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই জানানো হয়।

ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ছাড়াই করতে হবে ভোট। সে ক্ষেত্রে দুই সিটির প্রায় দুই লাখ নাগরিক ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। যেহেতু সরকারের মনোভাব জানুয়ারিতে নির্বাচনে না যাওয়া তাই এ ইস্যুতেও আটকে যেতে পারে নির্বাচনী হাওয়া।

আগামী নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শোনা গেলেও ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান মেয়রদেরই টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে পরিবর্তন চাইছেন অনেকেই। ঢাকা দক্ষিণের দায়িত্ব নিতে চান সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। এজন্য তার কর্মী-সমর্থকদের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে।

নিজের শক্তি জানান দিতে সম্প্রতি তুচ্ছ ইস্যুতে পলাশীর আলিম উদ্দিন খেলার মাঠ উদ্বোধন নিয়ে তুলকালাম করেছেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াও হয়। ওই অনুষ্ঠানেই বেশ কয়েকজনের কাছে জানা যায় আগামী নির্বাচনে ডিএসসিসি’র প্রার্থী হতে চান হাজী সেলিম।

সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টেও তার মেয়র প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। এরইমধ্যে যারা যারা আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদের অতীত রাজনীতি, দলীয় কর্মকাণ্ড, দলের প্রতি আনুগত্য—এ সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

যদিও ঢাকার দুই মেয়র আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। মেয়র সাঈদ খোকনের আসন নিয়ে একটু জটিলতা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদের পরীক্ষার জন্য পার পেয়ে যেতে পারেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সরকার চাইছে তিনি যেহেতু অল্প সময় সুযোগ পেয়েছেন তাই আগামী নির্বাচনেও তাকে প্রার্থী করে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার সুযোগ করে দিতে।

মেয়র সাঈদ খোকন সম্পর্কে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে নানা সমালোচনা থাকলেও প্রয়াত বাবা মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ইস্যুতে ছাড় পেতে পারেন তিনি। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। তিনি যাকে চাইবেন তিনিই হবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী।

এরইমধ্যে মেয়র সাঈদ খোকন ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় করে আগামী নির্বাচনে পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে বুঝিয়ে দিলেন নির্বাচন আসন্ন। এখন ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে যেসব অনুষ্ঠান নেওয়া হচ্ছে তার মুখ্য উদ্দেশ্য নির্বাচনী শো ডাউন। বিভিন্ন মহলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নিজের ও কাউন্সিলরদের পক্ষে সমর্থন চাওয়া।

তবে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নগরবাসীর কাছে আবার সুযোগ চাই। যদি আমার দল, দলীয় প্রধান, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে রাজধানীর চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন করে নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে আরও নতুনভাবে নগরকে সাজাতে চাই।

সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা মনে করি এটাই উপযুক্ত সময়। শীতের সময় নির্বাচনের জন্য ভালো সময়। তাছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি পরীক্ষা তাই এটাই বেস্ট সময়। এখন নির্বাচন কমিশন যখন সিডিউল ঘোষণা করবে তখনই নির্বাচন হবে। তবে দল হিসেবে আমরা প্রস্তুত।

এবার প্রার্থী পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের সভাপতি বলতে পারবেন। তবে আমাদের কাছে জানতে চাইলে মতামত দেব। প্রার্থী তো পরিবর্তন হতেই পারে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৭ মে। সেই হিসাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে।

স্থানীয় সরকার সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। আর সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে কর্পোরেশনে প্রথম সভার তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;