‘নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা- মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা- মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও দলের সমর্থিত কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের বাইরে দলীয় কোনো প্রার্থী না থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বাইরে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে দলের হয়ে কাজ করার নির্দেশনাও দিয়েছেন নেতারা। ব্যক্তি স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে দলের স্বার্থে কাজ করারও নির্দেশনা দেন।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে হোয়াইট হল কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক ও দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে জাতীয় নেতারা এই আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা- মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল অব. ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সংসদ সদস্য সাদেক খান, আসলামুল হক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী ও দলীয় কর্মীরা

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এটা আতিকের নির্বাচন না, আতিক মেয়র হবেন, এটা আতিকের জন্য কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি নৌকার জন্য, আমরা কাজ করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। কাজ করছি দলের জন্য।’

কাজেই কাউন্সিলর পদে যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, অনেককেই দিতে পারি নাই। দয়া করে কেউ অন্য কোনো প্রার্থী হবেন না। যদি হন মনে করবো দলের প্রতি আনুগত্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সকলে একমত হয়ে জনমত ও বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। আজ থেকে ডিএনসিসি নির্বাচনের কাজ শুরু করলাম। আমরা এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করব।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তিনি (ফখরুল) বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেই আসছেন। বিএনপি অনেক কারসাজি ও ষড়যন্ত্র করবে, বিভিন্নভাবে প্রচার করবে। বিএনপি প্রতিদিন বলে যাচ্ছে নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে না। যে নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে না বলছেন, সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন কেন? তিনি বলেন, এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। নির্বাচন অবাধ এবং নিরপেক্ষ হবে। দক্ষতার সঙ্গে ইসি নির্বাচন পরিচালনা করবে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল অব. ফারুক খান

কর্নেল অব. ফারুক খান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মেয়র নির্বাচন। এই নির্বাচনে তিনটি অংশ আছে একটি হচ্ছে মেয়র পদের নির্বাচন আরেকটি কাউন্সিলর আর একটি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন রিপোর্ট বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে কে মেয়র প্রার্থী, কে কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী। আমরা বিশ্বাস করতে চাই কোনো কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। হয়তো বা আপনাদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আবেগের বসে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মনে রাখতে হবে রাজনীতিতে আবেগের চেয়ে বেশি বাস্তববাদী হতে হবে। দলকে ভালোবাসতে হবে, বঙ্গবন্ধুর কথা বললে হবে না, বঙ্গবন্ধুর দলকে ভালোবাসতে হবে। নেত্রীর কথা শুধু বললে হবে না, নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি নেত্রীর মনোনয়ন বোর্ডের প্রার্থীর বাইরে প্রার্থী হয় তিনি নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করছেন না। এদের বুঝতে হবে। আবেগ থেকে বেরিয়ে আসেন। অবশ্যই আপনাদের দলের বিভিন্ন পর্যায়ে সুযোগ দেওয়া যাবে। তাই ৯ জানুয়ারির পূর্বে দলের অন্য প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলের প্রতি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন দেবেন। তিনি প্রতিটি কেন্দ্রে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় ছাড়া উপায় নেই। প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। যে কোন মূল্যে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। দল থেকে যে সকল কাউন্সিলরদের সমর্থন দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব হচ্ছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের জয়লাভ করানো। বিকল্প নেই, আমরা দেখতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই দলীয় সমর্থিত কাউন্সিলররা বিজয় লাভ করুক। রাজনীতি একদিনের মাঠ নয় আজ যারা পাননি কাজ করুন আগামীতে মূল্যায়িত হবেন। দল করলে নেত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে, মানতে হবে। আওয়ামী লীগ করবেন আবার নিজের স্বার্থের জন্য নেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করবেন এটা চাই না।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, যারা দল সমর্থিত নয় তারা প্রার্থী থাকবেন না। প্রত্যাহার করবেন, বসে যাবেন। আসুন সকলে নৌকার জন্য কাজ করি। নৌকার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে কেউ বেইমানি যেনো না করি।

   

নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৬ মে) রাত ১০টায় নির্বাচন পরিচালক-২ এর উপসচিব আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ভোট স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনাও পাঠিয়েছেন তিনি।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন নং ৪৭৩৪/২০২৪ দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ২৫ এপ্রিল আদেশে মনোনয়নপত্রটি বৈধ প্রার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ প্রদান করেন।

পরবর্তীতে হাইকোর্টের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিএমপি নং ৩৬৫ / 2024 ও সিপিএলএ নং ১৪৮৬/২০২৪ দায়ের করলে ৬ মে তারিখের আদেশে "No Order" প্রদান করা হয়।

এমতাবস্থায়, বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগের উক্ত আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ এর সাধারণ নির্বাচনের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সদয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

সেই হিসেবে ৮ মে ১৪০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করবে ইসি।

;

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

ভোটারকে ভয়ভীতি, সংবাদ সম্মেলনে নারী প্রার্থী সীমা

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহানা ফেরদৌসি সীমা'র ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সোমবার (০৬ মে) সন্ধ্যায় তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বড়খাতা, ফকিরপাড়া, সানিয়াজান ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের সবকটি কেন্দ্রসহ উপজেলার অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেন।

এছাড়া তার ভোটার, সমর্থক ও এজেন্টদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা ও হুমকি দেওয়ার জন্য কাপ পিরিচ মার্কার প্রার্থীকে দায়ী করেন। গত শুক্রবার তার উপর কাপ পিরিচ মার্কার লোকজন হামলা চালায় বলে তিনি জানান।

এতে জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী সীমাসহ তার সমর্থিত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ নারী প্রার্থী।

;

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি মোতায়েন

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেড় লাখেরও বেশি আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসাইন।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে দেশের ৫৯টি জেলার ১৪১টি উপজেলার ১০ হাজার ৬০৫টি ভোট কেন্দ্রে প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসিগণ (০৩ জন) অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যগণ অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।

রুবেল হোসাইন আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় ১ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৬ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি ৭৬ প্লাটুন বা ২ হাজার ২৮৮ জন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল টিমে/স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যগণ ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্বপালন করবেন। তাছাড়া এবার প্রথমবারের মতো পুলিশের মোবাইল টিম/ স্ট্রাইকিং টিমের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ৯৪ প্লাটুন বা ২ হাজার ৮২০ জন সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য।

এছাড়া মোতায়েনকৃত আনসার সদস্যদের দায়িত্বপালন তদারকের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও প্রায় দুই হাজার সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সকলেই ৬ মে থেকে আগামী ১০ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন মোতায়েন থাকবেন।

আনসারের এই কর্মকর্তা আরও জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য উপজেলা নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সদর দফতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে আগ্রহভরে অত্যন্ত উৎফুল্লভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে, সেই জন্য আনসার-ভিডিপির সদস্যরা নিরাপত্তার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি অত্যন্ত সতর্কতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের অবহেলা বা গাফিলতি বরদাশত করা হবে না বলে সকল সদস্যকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে থাকে। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৫ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য নিয়োজিত ছিল।

;

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

উপজেলা নির্বাচন: ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্রে নিষেধাজ্ঞা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১৪ দিনের জন্য বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ০৭ (সাত) দিন হতে ভোটগ্রহণের পরবর্তী ০৭ (সাত) দিন পর্যন্ত যাতে অস্ত্রের লাইসেন্সধারীগণ অস্ত্রসহ চলাচল না করেন কিংবা অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন না করেন সে জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই নির্দেশনা জারি করেছে।

এবার চার ধাপে উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪১টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;