ভোট পেছাতে ইসিকে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
সরস্বতী পূজার কারণে সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছাতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছেন দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। 
 
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ১৩ মেয়র পদপ্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে সাতশ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতীক পেয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। প্রচারের প্রথমদিন তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর চিঠিটি লিখেছেন।
 
গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা এক চিঠিতে পূজার জন্য ভোট পেছাতে দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। এই পত্র আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন পেছানোর জন্য ১০ জানুয়ারি পত্রযোগে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
 
চিঠির অনুলিপি তিনি ঢাকা মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।
 
চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখের ১৭.০০.০০০০.৩৪.৩৭.০০৯.১৯-৪৮৪ নং প্রজ্ঞাপনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ০১-২৫ নং ওয়ার্ড এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর ০১.৭৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু আগামী ৩০/০১/২০২০ তারিখে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত পূজা লগ্ন বা তিথির মধ্যে সম্পন্ন করতে হয় বিধায় পূজার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।’
 
‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর অধিভুক্ত এলাকাসমূহে ব্যাপক সংখ্যক সনাতন ধর্মালম্বীদের বসবাস। এখানে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ পূজা মণ্ডপ রামকৃষ্ণ মিশন অবস্থিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও উক্ত এলাকাতে অবস্থিত। উক্ত রামকৃষ্ণ মিশন ও জগন্নাথ হলে অত্র এলাকার আশপাশের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে পূজা উপলক্ষে প্রচুর সনাতন ধর্মালম্বী লোকের সমাগম ঘটে। এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে যে সকল প্রতিষ্ঠানে ভোটকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেহেতু পুরাতন ঢাকা একটি ঘন জনবসতি এলাকা। সেহেতু উক্ত এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীদের এসকল প্রতিষ্ঠান ছাড়া উক্ত পূজা পালন করা অনেকাংশেই সম্ভব হবে না।’
 
‘এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হল শাখা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি পত্র অত্র কার্যালয়ে দাখিল করেছে। সার্বিক বিবেচনায় সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় কাজ সুচারুরূপে পালন করার স্বার্থে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার সুপারিশের যৌক্তিকতা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত আবেদন পত্রটি মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করা হলো।’
 
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন তার সুপারিশের সঙ্গে ঢাবির জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহার আবেদনপত্রটিও জুড়ে দিয়েছেন।
 
মিহির লাল সাহা গত ৯ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখেছেন, ‘আগামী ৩০/০১/২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ২০২০ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের দিন ঢাকা শহরের সকল নাগরিক একযোগে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে ভোট দিবেন। কিন্তু আগামী ৩০/০১/২০২০ তারিখ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা সমগ্র দেশে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ পরিসরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে। পূজার দিন পূজামণ্ডপে লাখ লাখ ভক্ত ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয়ে থাকেন। ৩০/০১/২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার একই দিনে নির্বাচন কেন্দ্রে এবং পূজা মণ্ডপে উপস্থিত হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাস্তব পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়বে। অনেকেই নির্বাচন এবং পূজা অনুষ্ঠানের দুইটিতেই উপস্থিত হতে পারবেন না।
 
‘একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রত্যেক ব্যক্তির ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত থেকে ভোট দেওয়া যেমন তার গণতান্ত্রিক অধিকার, তেমনি নিজ নিজ ধর্ম পালন করাও তার ধর্মীয় অধিকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ নীতিকে ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে যখন এগিয়ে যাচ্ছে, সে সময় শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট প্রদানে সক্ষম হবো না।’
 
এখানে উল্লেখ্য যে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান লগ্ন বা তিথির মধ্যেই সম্পন্ন করতে হয় এবং সে সময় পরিবর্তন করা যায় না। এক্ষেত্রে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করলে প্রত্যেকেরই দুইটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সমানভাবে সুযোগ সৃষ্টি হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুবিধা হবে। এমতাবস্থায়, শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা উদযাপনসহ সকলের ভোট প্রদানের সুযোগ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
 
এ বিষয়ে জানতে আবদুল বাতেনকে একাধিবার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর জন্য দু’দফা ‍আবেদন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। এছাড়া নির্বাচন পেছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ। এছাড়া একই কারণে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।
   

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

ভোটের তিন বছর পর কাউন্সিলর হচ্ছেন আলী আহাম্মদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট গ্রহণের তিন বছর পর আদালতের রায়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছেন এসএম আলী আহাম্মদ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি গৌরীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে ডালিম প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসএম আলী আহাম্মদ। ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন আলী আহাম্মদ। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত পুনরায় ভোট গণনার নির্দেশ দেওয়ার পর দেখা যায় ডালিম প্রতীক ৬০৪ ভোট ও উটপাখি প্রতীক ৫৩৯ ভোট পেয়েছে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিম্ন আদালত আগের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে ডালিম প্রতীকের প্রার্থী আলী আহাম্মদকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এরপর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া। আপিলের পর উচ্চ আদালত গত ২৫ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

এরপর আবারও আইনি লড়াই শুরু হয়। গত ৩ মার্চ উচ্চ আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আপিলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন।

এস এম আলী আহাম্মদ বলেন, ‘ভোটারদের প্রতি আমার আস্থা ছিল। পাশাপাশি আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। আমার সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, তার জন্য ন্যায় বিচার পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইনি লড়াইয়ে ন্যায় বিচার পেয়ে জয়ী হয়েছি’।

অপরদিকে মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি এই বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার স্যার এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

;

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু করতে গাজীপুরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এতে সভাপতিত্ব করেন- জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

এসময় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানসহ নানা দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগে নির্বাচন কমিশনারকে গাজীপুর সার্কিট হাউজে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক। পরে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।

;

উপজেলা নির্বাচন: আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ২৩ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক সভা আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

চিঠিতে সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান সভার চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র‍্যাব/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই, মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শককে (এসবি) পাঠিয়েছেন।

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইতিমধ্যে তিন ধাপের তফসিল দিয়েছে ইসি।

প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ৬ থেকে ৮মে।

আপিল নিষ্পত্তি ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ই মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ই মে এবং ভোট ২৯শে মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট হবে।

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে৷

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

১৫০ উপজেলায় বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়াল এক হাজর ৭৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মাঠ পর্যায় থেকে পাঠানো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র। আর বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৮৬ জন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

;