ঢাকা সিটি নির্বাচন

ডিএনসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড করার প্রতিশ্রুতি

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির, ছবি: বার্তা২৪.কম

নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ নাসির, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিগত সিটি নির্বাচনে দলের টিকিট বাগাতে না পেরে ছিলেন স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী। বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০নং ওয়ার্ডের মহাখালী-গুলশানের কিছু অংশ, কড়াইল বস্তি এলাকা এবং বনানীর কিছু অংশের। এবার দলের আস্থায় ঘুড়ি প্রতীক পেয়ে একই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাসির।

নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে মোহাম্মদ নাসির বলেছেন, ‘আমি অনেক কাজ গুছিয়ে ফেলেছি, কিছু কাজ বাকি আছে। আবার নির্বাচিত হলে অল্প সময়ের মধ্যে ২০নং ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব।’

বিজ্ঞাপন

মহাখালীর নিজ অফিসে গণমাধ্যমের কাছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সমর্থিত এই কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, ‘কাউন্সিলর হিসেবে গত সাড়ে চার বছরে এলাকার উন্নয়নে অনেক কাজ করেছি এবং জনগণের সমর্থন পেয়েছি। অত্র এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট, কালভার্ট উন্নয়ন করেছি। এছাড়া গত কয়েক মাস আগে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের বাইরেও নিজ উদ্যোগে প্রায় সব এলাকায় মশা মারার ঔষধ ছিটিয়েছি এবং মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ড্রেন, কালভার্ট পরিষ্কার করেছি। এখন শুধু কয়েকটি কাজ বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ হওয়ার পর আশা করি আমার ওয়ার্ডটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মডেল ওয়ার্ড বলে ঘোষণা করতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার জনগণের দাবি ও আমার একান্ত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এলাকায় একটি খেলার মাঠ, কবরস্থান ও বিনোদন কেন্দ্র করতে পারিনি। কারণ সরকারি জায়গায় কিছু করতে হলে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্টে প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়। আর এইসব ডিপার্টমেন্টে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও কিছু জটিলতায় সম্ভবপর হয়নি । কেননা রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য কাজের জন্যও আমাকে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। যেহেতু ইতোমধ্যেই আমি বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি, তাই পুনরায় নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজের জন্য সময় দিতে পারব।’

বিজ্ঞাপন
নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রর্থিী মোহাম্মদ নাসির

অত্র এলাকার বাসিন্দাদের সমর্থনে নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে এই কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি বিগত দিনে জনগণকে কি দিতে পেরেছি আর কি দিতে পারিনি, তা আগামী ৩০ জানুয়ারি এলাকার জনগণ ভোটে তাদের রায় দিয়ে মূল্যায়ন করবেন বলে বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘এই এলাকার মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি, জনগণের সমর্থন পেয়েছি। এখানে অনেক হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের বসবাস রয়েছে। তারা যে এতো সুন্দর মনের মানুষ, তা কখনো ভাবিনি। আর এই মানুষগুলো যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে এতো ভালোবাসে তা আমি কখনো ভাবিনি। আমার বিশ্বাস, খেটে খাওয়া এ মানুষগুলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে একটা সুন্দর মডেল ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয়ে নির্বাচনে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মূল্যবান ভূমিকা রাখবেন।’