বিরোধী পক্ষ মিথ্যাচার করছে: আতিক
বিরোধী পক্ষ মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী আচারণবিধি মেনেই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিরোধী পক্ষকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি আজ আসার পথেই দেখলাম, ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে ভোট চাচ্ছে, আমরা তো কোনো বাধা দেইনি। বিরোধী পক্ষ মিথ্যাচার করছে। অতীতেও তারা মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। আমরা প্রতিটি মানুষের কাছে যাচ্ছি, ভোট চাচ্ছি। নৌকার কোনো ব্যাক গিয়ার নাই, আছে শুধু উন্নয়নের গিয়ার। জনগণ নির্বাচিত করলে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, সচল ঢাকা গড়ব।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরুর আগে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। যার ভোট, সে দেবে। আমরা মানুষের ঘরে ঘরে যাব, নৌকার পক্ষে সবাই ভোট চাইব। আমি মেয়র পদে উপ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নয় মাস কাজ করেছি। গত নয় মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, নারীবান্ধব সবুজ ঢাকা গড়ব।
খিলগাঁও এলাকায় গণসংযোগকালে আতিকুলের পক্ষে ‘উন্নয়নের মার্কা নৌকা, নৌকা' বলে স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডিএনসিসির ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেনের রেডিও মার্কায় ভোট চেয়েও স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। এ সময় কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন আতিক।
আতিকুল ইসলামের একান্ত সচিব সাইফুদ্দিন ইমন জানান, খিলগাঁও তালতলা মার্কেট থেকে গণসংযোগ শুরু করে মাটির মসজিদের সামনে দিয়ে আবুল হোটেল, রামপুরা হয়ে বাড্ডা এলাকার আলাতুন্নেসা মাদরাসা হয়ে মধ্যবাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট চাইবেন আতিকুল।
উল্লেখ্য, রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর মাজার রোডে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের গণসংযোগে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আতিকের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
ওই দিন তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করে বলেছিলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের প্রচারণায় হামলা করেছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আমরা প্রচার কাজ চালাতে পারছি না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাতে চাই। হামলায় আল আমিন নামে আমাদের এক কর্মী আহতও হয়েছেন।