ভোট ও পূজা একসঙ্গে হবে, সাংঘর্ষিক নয়: সচিব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসির সচিব মো. আলমগীর হোসেন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ইসির সচিব মো. আলমগীর হোসেন/ ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে হবে, এটি সাংঘর্ষিক হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন, সরস্বতী পূজা, এসএসসি পরীক্ষাসহ সব বিবেচনায় নিয়ে সর্বোত্তম দিন হিসাবে ৩০ জানুয়ারি ঠিক করা হয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের আবেদন ছিল ভোটের তারিখ পরিবর্তনের। কমিশনও তাদের সঙ্গে বসেছিল, তাদের কথা শুনেছে। কী কারণে ভোটের তারিখ ৩০ জানুয়ারি করা হয়েছে তাও বলেছেন। আর তারা আদালতে যে রিট করেছিল, আদালত সব পক্ষের কথা শুনে রিট খারিজ করেছেন। ফলে কমিশনের ভোট আয়োজনে বাধা নেই। ৩০ তারিখ ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি নিচ্ছি।

নির্বাচন আর পূজা একসঙ্গে হলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হতে পারে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব বিবেচনা করেই নিয়েছে। তারাও (হিন্দু সম্প্রদায়) জানেন আমাদের দেশের আইনকানুন মেনে চলতে হয়। ঢাকায় নির্বাচন জমে উঠেছে, সেখানে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে সেটা মনে করি না। তারা যেহেতু আদালতে গেছে, তাই আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা তারা মেনে নেবে বলে আশা করি। বৃহত্তর স্বার্থেই সুন্দর দিনে ভোটের তারিখ বেছে নেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভোটের কারণে পূজার আয়োজনে কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন বলেছে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূজা ও ভোট একসঙ্গে হবে, সেখানে আলাদা জায়গা রাখা হবে। পূজার জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েই বাকি জায়গায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্বাচন মানেই এমন নয় যে মারামারি হবেই বলে পূজা করা যাবে না। নির্বাচনও পূজা পবিত্র কাজ। সুতরাং কোন সমস্যা হওয়ার কথা না।

রংপুরের ভোটের সময় হিন্দুদের পূজা ছিল কোন সমস্যা হয়নি, ফলে সেখানে নির্বাচন ও পূজা একসঙ্গে একই স্থানে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আদালত যেখানে রায় দিয়েছেন কমিশনের বিষয় না, আদালতের রায়ে তারা শ্রদ্ধা জানাবে বলে আশা করছি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে শুনলাম তারা আপিল করতে পারেন, আপিলে কী আসে সে জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তবে পূজা এবং নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। রংপুরের ভোটের সময় পরিবর্তনের বিষয়েও তারা এসেছিলেন, অনেকবার কথা বলেছেন। তখন তাদের বুঝানো হয়েছে। তাদের পূজায় যেন সমস্যা না হয় সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো.খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ সিটি নির্বাচন পেছানোর রিট খারিজ করে দিয়েছেন।

এর আগে, ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওই তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবি ওঠে।