‘কেবল ভোট দেওয়ার প্রয়োজনে প্রাইভেট কার চলবে’
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের দিন কেবলমাত্র ভোট দেয়ার প্রয়োজনে প্রাইভেট কার চলবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের দিন কেবল মাত্র ভোট দেওয়ার জন্য প্রাইভেট কার ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পুলিশকে দেখাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, 'সরকারি যান চলবে। এক এলাকায় বসবাস করে কিন্তু ভোটার অন্য এলাকার, তারা তাদের প্রাইভেট কার নিয়ে ভোট দিতে পারবেন। যদি পুলিশ ধরে, বাসার ঠিকনা আর ভোটার আইডি কার্ড দেখায়ে বলতে হবে যে ভোট দিতে আসছি, তাহলে পারবে।'
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রাইভেট কার জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে প্রমাণ দেখাতে হবে। ভোট দিতে যেতে পারবে। তাই বলে এমনি ঘুরবে সেটা হবে না।
৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প করার বিধান না মানলে কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এটা যদি আচরণ বিধিমালার বাইরে হয়, তাহলে রিটার্রিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দেখবেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ তারা নিয়েছেন। শাস্তিও দিয়েছেন।
বহিরাগতদের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, 'ঢাকা শহর থেকে বহিরাগতদের বের করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ঢাকা শহরে সারাদেশ থেকে লোকজন আসে। তারপর দিনমজুর, তারা ঢাকা বাইরে আসেন। তাদের বের করা সম্ভব না।'
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র যাদের কাছে, তাদের ধরতে জোরদার পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। খারাপ কোনো পরিস্থিতির রিপোর্ট নেই। সবই ভালো। খুবই আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে সব প্রার্থী প্রচার চালাচ্ছেন।
যারা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন, তাদের জরিমানা করা হয়েছে। তারপর সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিধি ভঙ্গ করলে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে কঠোরতা বাড়ানো হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম নিয়ে ইসি সচিব বলেন, প্রস্তুতি সন্তোষজনক। কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। ভোটে প্রার্থী যারা তারা কতটা সক্রিয় থাকবে, তার ওপর ভোটারের উপস্থিতি নির্ভর করবে। অনেকেই ভোট নয়, পরিচিতি বাড়ানোর জন্য প্রার্থী হয়। কেউ সরে গেলে কী করার আছে।