পূজার সময় ভোটে ক্ষুব্ধ সিপিবি
সরস্বতী পূজার মধ্যে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরে না আসায় নতুন সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি। একই সঙ্গে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসার বিষয়টি দলটিকে ক্ষুব্ধ করেছে।
সিপিবি’র সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো এক চিঠিতে দলটির এ অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পক্ষ থেকে জামানতের টাকা কমানোসহ কতক দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। তা মানা হয়নি। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সরস্বতী পূজা থাকায়, নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বানও ঐ সংবাদ সম্মেলনে করা হয়েছিল। এই তারিখ পরিবর্তন না করে এখন নির্বাচনকে ঘিরে নতুন সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে ৩০ জানুয়ারি তারিখ পরিবর্তন করে নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ করছি।
ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটদানে অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ইভিএম বিতর্কের অবসান হয়নি। তাই, সার্বিক বিবেচনায় সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সংলাপ করারও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নির্বাচনে সকল প্রার্থীদের সমসুযোগ প্রদান গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এ লক্ষে কিছু আচরণবিধিও প্রণীত রয়েছে। কিন্তু দুঃখের সাথে দেখলাম নির্বাচনের প্রার্থিতার আবেদন জমাদান থেকে শুরু করে প্রতিদিন অনেক প্রার্থী, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। প্রতিদিনের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ চিত্র ফুটে উঠছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা আমাদেরকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।
এছাড়াও চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সকল প্রার্থীকে আচরণবিধি মানতে বাধ্য করার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।